ম্যাক্সিতে ম্লান স্টেগান, ভ্যালেন্সিয়ায় বার্সা
ফুলটাইম
ভ্যালেন্সিয়া ২-০ বার্সেলোনা
কিকে সেতিয়েন দায়িত্ব নেওয়ার পর তৃতীয় ম্যাচেই বার্সেলোনার প্রতিপক্ষ ছিল ভ্যালেন্সিয়া। কঠিন পরীক্ষাই ছিল বার্সার নতুন কোচের জন্য। তবে প্রথম কঠিন পরীক্ষায় আর উতরাতে পারেনি সেতিয়েনের বার্সা। সেতিয়েনের মধুচন্দ্রিমা তাই হোঁচট খেল শুরুতেই। মেস্তায়ায় ভ্যালেন্সিয়ার দাপট শুধু একটি হার নয়, লা লিগার শীর্ষ স্থান থেকেও হঁটিয়ে দিতে পারে বার্সাকে। ভায়াদিলিদের সঙ্গে জিতে গেলেই বার্সার চেয়ে তিন পয়েন্টে এগিয়ে শীর্ষে উঠে যাবে রিয়াল মাদ্রিদ।
মেস্তায়ায় মোটেই সুবিধা করতে পারেননি বার্সা। ম্যাচের ১০ মিনিটে হোসে গায়াকে ফাউল করে ভ্যালেন্সিয়ারকে পেনাল্টি উপহার দিয়েছিলেন জেরার্ড পিকে। সঙ্গে হলুদ কার্ডও দেখেছেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। তবে পিকে কিছুক্ষণ পর কিছুটা স্বস্তিই পেয়েছিলেন। মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান ম্যাক্সি লোপেজের পেনাল্টি ঠেকিয়ে দিয়ে ভ্যালেন্সিয়াকে আর এগিয়ে যেতে দেননি।
তবে এর পরও হুশ ফেরেনি বার্সার। প্রথমার্ধে ভ্যালেন্সিয়ার আঁটসাঁট রক্ষণ একবারের জন্যও নড়বড়ে করে দিতে পারেননি লিওনেল মেসিরা। উলটো প্রতি আক্রমণে বারবার ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল ভ্যালেন্সিয়া। প্রথমার্ধে বার্সা পিছিয়ে পড়েনি টের স্টেগানের বীরত্বে। পেনাল্টিসহ মোট ৬ টি দুর্দান্ত সেভ করে ভ্যালেন্সিয়ার নিশ্চিত সব গোল ঠেকিয়ে দিয়েছেন বার্সার গোলরক্ষক। স্টেগান একপাশে সমর্থন দিয়ে গেলেও অন্য প্রান্তে তার সতীর্থরা হতাশ করেছেন স্টেগানকে।
প্রথমার্ধটা কোনোমতে গোলশূন্যভাবে কাটালেও পরের অর্ধে আর ভ্যালেন্সিয়ার লাগাম টেনে ধরতে পারেনি বার্সা। বিরতির পর খেলা শুরুর দুই মিনিটের মাথায় গোল পেয়ে যায় ভ্যালেন্সিয়া। সেই ম্যাক্সির বক্সের ভেতর থেকে করা শট জর্দি আলবার গায়ে লেগে ঢুকে যায় স্টেগানের গোলে।
গোলটা আলবার নামে গেলেও ম্যাক্সি আনুষ্ঠানিকভাবে শাপমোচন করেছেন ৭৭ মিনিটে। ফেরান তোরেসে পুরো ম্যাচে বার্সার রক্ষণকে বেশ ভোগাচ্ছিলেন। আরেকবার ভুগিয়েছেন তখন। তার পাস থেকে ম্যাক্সি এবার নিজেই গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
দুই গোল হজমের আগে, পরেও বার্সার আক্রমণ ছিল নিষ্প্রভ। পুরো ইয়াচে ৬৩ শ্তানশশ বল পজেশন থাকলেও ভ্যালেন্সিয়ার রক্ষণ গলে বেরুতে পারেননি গ্রিযমান-মেসিরা। আনসু ফাতিও যতক্ষণ মাঠে ছিলেন ততোক্ষণ দিশেহারার মতো ঘুরেছেন। তাকে বদলি করে অ্যালেক্স কোলাদোকে নামিয়েও জাদুমন্ত্রের দেখা পাননি সেতিয়েন।
বদলি হয়ে আর্তুরো ভিদাল, ইভান রাকিটিচিরাও নেমেছিলেন। তবে মেসি এদিন ছিলেন ছায়া হয়ে। বেশ কয়েকবার ভুল পাস দিয়েছেন, একাধিকবার ফ্রি-কিক পেয়েও মেরেছেন দিক-নিশনাহীন শট। মোট ১১ বার গোলে শট করেছেন মেসি, সফল হননি একবারও। লা লিগায় এতোবার গোলে শট করে গোলবঞ্চিত থাকার রেকর্ড মেসির আছে আর একটি। ২০১৭ সালে ১১ বার গোলে শট করেই শূন্য হাতে ফিরেছিলেন তিনি। মেসি যেদিন আলো ছড়াতে পারেননি, সেদিন আরও একবার অন্ধকারে ডুব দিয়েছে বার্সা। এই গল্প তো নতুন কিছু নয়!।