ঘরের মাঠে সেল্টার কাছে আটকে গেল রিয়াল মাদ্রিদ
ফুলটাইম
রিয়াল মাদ্রিদ ২-২ সেল্টা ভিগো
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রথমার্ধ শেষে রিয়াল মাদ্রিদ পিছিয়ে ছিল। বিরতির পর যেমন ফেরার দরকার ছিল সেভাবেই দ্রুত সময়ে দুই গোল দিয়ে ঘরের মাঠে ম্যাচের আধিপত্যও নিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। অনিশ্চয়তার এক গোলের লিড রিয়াল গিয়ে হারাল ৮৫ মিনিটে। এর বাকি সময়ে আর ফেরাও হয়নি জিনেদিন জিদানের দলের। ঘরের মাঠে সেল্টার কাছে বাধা পড়ে রিয়ালের শীর্ষস্থানে তিন পয়েন্টের লিড কমে হয়েছে এক। বার্সেলোনার ৫২, আর রিয়ালের ৫৩। লিগের বাকি আর ১৪ ম্যাচ। এই ড্রয়ে তাই নতুন করে আরেক প্রস্থ জমে গেল আসলে লিগের শিরোপা দৌড়।
ম্যাচের শুরু আর শেষ- দুইভাগে দুই গোল করেছে সেল্টা ভিগো। ৭ মিনিটে ইয়াগো আসপাসের থ্রু পাস ধরে গোল করে ফেদর স্মেলভ এগিয়ে দিয়েছিলেন দলকে। ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানের ওপরই ভার ছিল স্লেলভকে সামলানোর। কিন্তু অ্যাটাকিং থার্ডে বেশ খানিকটা জায়গা পেয়েছিলেন তিনি। এর পর এক দৌড়ে দারুণ ফিনিশ করে রিয়ালের প্রাপ্র্য শাস্তিটি বুঝিয়ে দেন সেল্টা স্ট্রাইকার।
রিয়াল মাদ্রিদের একাদশে এদিন ফিরেছিলেন এডেন হ্যাজার্ড। ৭১ পর মাঠে গ্যারেথ বেল-করিম বেনজেমাদের সঙ্গে মিলে আক্রমণে ধার বাড়াচ্ছিলেন তিনি। প্রথমার্ধেও রিয়ালের সেরা খেলোয়াড়ই সম্ভবত ছিলেন তিনি। যদিও সেভাবে কোনো সুযোগই তখন তৈরি করা হয়নি রিয়ালের। উলটো সেল্টা ডিফেন্ডার জোসেপ আইডোর হেড থিবো কোর্তোয়া দারুণ সেক সেভে আটকে না দিলে আবার এগিয়ে যেতে পারত সেল্টাও।
প্রথমার্ধে মনমতো খেলতে না পারলেও বিরতির পর ৭ মিনিটের সময়ই রিয়ালকে সমতায় ফেরান টনি ক্রুস। মার্সেলোর বাম প্রান্ত থেকে দেওয়া বল বক্সের ভেতর থেকে বাম পায়ে শট করেন জার্মান মিডফিল্ডার। এর পর ৬৫ মিনিটে এডেন হ্যাজার্ডকে ফাউল করে রিয়ালকে পেনাল্টি দিয়ে বসেন সেল্টা গোলরক্ষক রুবেন ব্লাঙ্কো। লম্বা একটা সময় মাঠের বাইরে থাকলেও তাতে লা লিগায় এই মৌসুমে সবচেয়ে বেশি পেনাল্টি আদায় করা খেলোয়াড়ও হয়ে গেছেন হ্যাজার্ড। সার্জিও রামোস গোল করে দলকে প্রথমবারের মতো এগিয়ে নেন তখন।
এগিয়ে যাওয়ার পরই খানিকটা ঢিমাতালে খেলে শেষদিকে গিয়ে কপাল পুড়েছে রিয়ালের। হ্যাজার্ড, ক্রুসদের জিদানও উঠিয়ে নিয়েছিলেন। সেল্টাও যেভাবে খেলছিল তাতে তাদের ম্যাচে ফেরা সম্ভাবনা কম বলেই মনে হচ্ছিল। ৮৫ মিনিটে এক মুহুর্তে বদলে গেছে সেই হিসাব নিকাস। সাবেক বার্সা মিডফিল্ডার ডেনিস সুয়ারেজের পাস থেকে সামি মিনা অফসাইড ফাঁদ ফাঁকি দিয়ে গোল করে বার্নাব্যুকে চমকেই দিয়েছিলেন।