করোনা ভাইরাসে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতির মৃত্যু
এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ফুটবল জগতের অনেকেই। সর্বশেষ জানা গেছে পাওলো দিবালা ও পাওলো মালদিনির নাম। তবে করোনা ভাইরাসে কালই মারা গেছেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক সভাপতি লরেঞ্জো সাঞ্জ। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে ফুটবলে সংশ্লিষ্ট কারও এবং সেই সঙ্গে স্পেনেরও কোনো হাই প্রোফাইল লোকের প্রথম মৃত্যুর ঘটনা এটি।
স্পেনে এর মধ্যেই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে গেছে কোভিড-১৯। সাঞ্জও গত আট দিন থেকে জ্বরে ভুগছিলেন, হাসপাতালে না গিয়ে সেলফ কোয়ারান্টিনে থেকে বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তবে অবস্থার অবনতি ঘটলে মঙ্গলবার তাকে নিয়ে যাওয়ায় হয় হাসপাতালে। কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন আগে থেকেই, সেখানে সংক্রমণ দেখা দেয়। সেই সঙ্গে ফুসফুসের সমস্যায় শনিবার চলে গেলেন চিরতরে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
সাঞ্জের ছেলে লরেঞ্জো জুনিয়র রিয়াল মাদ্রিদের বাস্কেটবল দলে খেলে। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রথম বাবার অসুস্থতার খবর জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, বাবার এই বয়সে সমস্যাগুলো জটিল আকার ধারণ করছে। তবে দুঃখের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘সবচেয়ে কঠিন অংশ হচ্ছে বাবাকে দেখতে না পাওয়া’। পরে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন আরেক ছেলে ফার্নান্দো।
১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাঞ্জ। তার সময়েই ৩২ বছর পর আবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতে রিয়াল মাদ্রিদ। ১৯৯৮ সালের সেই শিরোপার পর মাদ্রিদ শহরে হয়েছিল অভূতপূর্ব উদযাপন। দুই বছর পর আবারও সাঞ্জের সময়ে আরেকটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতে রিয়াল, তবে এরপর ক্লাব নির্বাচনে সাঞ্জ হেরে যান ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের কাছে।
তবে সাঞ্জ তার সময়ে রিয়ালে অনেক হাই প্রোফাইল ফুটবলারকে নিয়ে এসেছিলেন। রবার্তো কার্লোস, ডেভর সুকার, ক্ল্যারেন্স সিডর্ফদের সই করিয়েছিলেন তিনি। বিশ্বরেকর্ড গড়ে নিয়ে এসেছিলেন ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার নিকোলাস আনেলকাকে।
সাঞ্জের ছেলে ফার্নান্দোও তার সময় রিয়ালে খেলেছিলেন। মারা যাওয়ার সময় সাঞ্জ রেখে গেছেন স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়েকে। রিয়াল মাদ্রিদ এক শোকবার্তায় জানিয়েছে শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা সাঞ্জের উদ্দেশে শ্রদ্ধা অর্পণ করবে।