টোকিও ২০২০ : না পেছালে অলিম্পিকে দল পাঠাবে না কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া
প্রথম দুই দল হিসেবে টোকিও ২০২০ অলিম্পিকে দল না পাঠানোর বার্তা দিয়েছে কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া। জুনের ২৪ তারিখ থেকে জাপানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্পোর্টিং ইভেন্টটি। জাপান প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে প্রথমবারের মতো অলম্পিক আয়োজন নিয়ে শঙ্কার কথা জানানোর কয়েক ঘন্টা পর এসেছে কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার এই হুঁশিয়ারি।
কানাডিয়ান অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিক কমিটির তাদের বিবৃতিতে বলেছে, যথা সময়ে অলিম্পিক চললে সেটা অ্যাথলেটদের স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। "খেলোয়াড়রা এখন অনুশীলন করলে সেটা তাদের সঙ্গে তাদের পরিবার তথা পুরো কানাডিয়ান কমিউনিটিকে ঝুঁকিতে ফেলবে। এই মুহুর্তে কানাডিয়ানদের যে স্বাস্থ্যসুরক্ষা নির্দেশিকা মেনে চলতে বলা হয়েছে সেটারও পরিপন্থী হবে এই নিয়ম।"
"আমরা জানি হুট করে এমন একটি ইভেন্টের দিন-তারিখ পিছিয়ে দেওয়া কঠিন সিদ্ধান্ত। তবে খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখতে হবে সবার আগে।"
"শুধুমাত্র খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য নয়। এটা গণ স্বাস্থ্যের বিষয়। কোভিড ১৯ যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এর ভেতর অ্যাথলেট বা তার পরিবার ও কানাডিয়ান কমিউনিটিকে ঝুঁকির ভেতর ফেলে তাদের অনুশীলনে পাঠানো নিরাপদ নয়।"
এদিকে টেলিকনফারেন্সে অস্ট্রেলিয়ার অলিম্পিক কমিটির এক নির্বাহী সভায় সোমবার ২০২০ অলিম্পিকে দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বর্তমান অবস্থায় অলিম্পিকের জন্য দল তৈরি করে সেটি পাঠানোর মতো অবস্থায় নেই অস্ট্রেলিয়া। কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "আমাদের অ্যাথলেটদের এখন নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখাটা সবচেয়ে বেশি জরুরী। এটা অনেকটা পরিষ্কার যে, জুলাইতে অলিম্পিক আয়োজন সম্ভব নয়। আমাদের অ্যাথলেটরা ভালোভাবে অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল, কিন্তু বর্তমান অনিশ্চিত পরিস্থিতি এবং স্ট্রেস তাদের সামনে বড় একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। তাই তাদেরকে স্বস্তি দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
কানাডার পক্ষ থেকে অন্তত এক বছরের জন্য অলিম্পিক স্থগিত করতে বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশও একই ধরনের মত দিয়েছে। জাপানের অলিম্পিক কমিটি অবশ্য এক মাস সময় চেয়েছে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে। তবে বড় দেশগুলো একের পর এক সরে দাঁড়ালে এর আগেই নতুন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হতে পারে অলিম্পিক কমিটি।