• ক্রিকেটারদের আলাপ
  • " />

     

    "আমরাও ভাবি নাই, ওই ম্যাচ জিততে পারব"

    "আমরাও ভাবি নাই, ওই ম্যাচ জিততে পারব"    

    “সত্যি করে বলছি, আমি এরপরও পাঁচবার যদি এমন অবস্থায় থাকি, বলবো যে আমরা জিততে পারবো না। আমার মনে হচ্ছিল, আপনি রান করছেন, সাকিব করছে। করতে থাকুক। যতটুকু কাছাকাছি যেতে পারি। ভাবি নাই জিতব। তো আপনারা কী বলছিলেন?” 

    তামিম ইকবালের এমন প্রশ্ন মাহমুদউল্লাহকে, ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে। ২৬৬ রানতাড়ায় ৩৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপরই সাকিব আল হাসানের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর ২২৪ রানের জুটি বদলে দিয়েছিল দৃশ্যপট। 

    ইনস্টাগ্রাম লাইভে তামিমের ওপরের প্রশ্নের জবাবে মাহমুদউল্লাহর সোজা-সাপ্টা উত্তর, “আমরাও ভাবি নাই (যে জিততে পারব)।” সে জুটিতে শুরুর দিকে সাকিবের সঙ্গে জয়ের প্রসঙ্গে কেন, কোনও কিছু নিয়েই কথা হয়নি তার, “আমরা কিছুই বলি নাই। সাকিব ওর  মতো এসে গ্লাভস ট্যাপ করে চলে যায়, কোনো কথাই হয় নাই।”

    তবে তাদের জুটি ১০০ হওয়ার পর মাহমুদউল্লাহর উপলব্ধি হয়, “সুযোগ এসেছে, হারানো যাবে না”। “এরপর সাকিব সম্পৃক্ত হয়। এরপর ধীরে ধীরে কথা বলি।” সাকিব-মাহমুদউল্লাহ, দুজনই সেদিন করেছিলেন সেঞ্চুরি। জয়ের একটু আগে সাকিব আউট হয়ে গেলেও মাহমুদউল্লাহ ছিলেন শেষ পর্যন্ত। 

    সাকিবের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন হয় বলে জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, “বেশিরভাগ সময়ই সাকিবের সঙ্গে কথা বলা হয় না ব্যাটিংয়ের সময়। ওর সাথে শরীরী ভাষায় যথেষ্ট হয় হয়তো আমাদের।”

    “তুই (তামিম) যেমন আসিস, কথা বলিস। বুঝানোর চেষ্টা করিস, পরিস্থিতি। আমিও ফিডব্যাক দিই। মুশির (মুশফিকুর রহিম) ক্ষেত্রেও তাই। ফিডব্যাক দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কার্যকর থাকি। কিন্তু সাকিবের সাথে যখন ব্যাটিং করি, তখন খুবই সামান্য কথা বলি। কিন্তু একজন আরেকজনকে বুঝতে পারি, যে কে কী করতে চায়।” 

    সব ফরম্যাট মিলিয়ে ৮২ বার একসঙ্গে ব্যাটিং করেছেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ। সব মিলিয়ে দুজনের জুটি থেকে এসেছে ২৫৪৭ রান। বাংলাদেশে রানসংখ্যায় বেশি জুটি আছে আর ৫টি।