অবহেলার ছলে কিছু নেওয়া উচিৎ নয়, নিষেধাজ্ঞা থেকে সাকিবের শিক্ষা
অবহেলার ছলে কোনো কিছু দেখা উচিৎ না- নিজের নিষেধাজ্ঞা থেকে সবচেয়ে বড় এ শিক্ষা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। আপাতত সাড়ে পাঁচ মাস পর খেলায় ফেরাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিনি। গত বছরের অক্টোবরে দুর্নীতির প্রস্তাব গোপন করায় আইসিসি নিষিদ্ধ করেছিল বাংলাদেশের তখনকার টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিবকে। এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি।
আপাতত করোনাভাইরাস মহামারিতে লকডাউন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে নিজের পরিবারসহ অবস্থান করছেন সাকিব। সম্প্রতি দ্বিতীয় কন্যাসন্তানের বাবা হওয়া সাকিব নিজের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কথা বলেছেন ডয়চে ভেলে বাংলার এক অনুষ্ঠানে।
“এটা তো মনে হতেই থাকে, খেলতে পারছি না বা খেলতে পারব না। যদিও এখন খেলা হচ্ছে না, তবে যখন হবে তখন খেলতে পারব কিনা-- জানি না তো, কারণ আমার নিষেধাজ্ঞা এখনও আছে প্রায় পাঁচ মাস-ছয় মাসের মতো। খেলা ১ মাস পর যদি শুরু হয়ে যায়, তাহলে তো খেলতে পারব না”, বলেছেন সাকিব।
আরও পড়ুন- সাকিব আল হাসান : নিন্দিত কিংবা নন্দিত নরকে
“তবে এখানেও শিক্ষা আছে। অনেক সময় আমরা অবহেলার ছলে দেখি, বা নেওয়ার চেষ্টা করি। যেটা নেওয়া উচিৎ না। এই শিক্ষাটা আমি ভালভাবে পেয়েছি।”
খেলা ছাড়া থাকাটা তার জন্য অনেক হতাশার বলেও আরেকবার মনে করিয়েছেন, “যখন খেলছি, কোথায় খেলছি সেটা না, খেলছি এটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যখন সেটা পারছেন না, তখন সেটাই হতাশার।”
বিশ্বকাপে সাকিব ছিলেন অসাধারণ
নিষেধাজ্ঞার আগে দারুণ এক বিশ্বকাপ কাটিয়েছিলেন তিনি, টুর্নামেন্টসেরার দৌড়ে ছিলেন ভালভাবেই। ৮৬.৫৭ গড়ে ৬০৬ রানের সঙ্গে নিয়েছিলেন ৩৬.২৭ গড়ে ১১টি উইকেট। খেলায় ফিরলে আবারও শেষ যেখানে করেছিলেন, সেখান থেকেই শুরু করতে চান তিনি। “আগে খেলায় ফিরতে চাই। সাড়ে পাঁচ মাস পরে খেলায় ফিরব। বাকি সব সিদ্ধান্ত পরে। তার আগে আসলে কোনো সিদ্ধান্ত নাই। আগে চিন্তা করছি, এই সময়টা আসলে কীভাবে তাড়াতাড়ি যাবে। যেখানে আমার খেলাটা শেষ হয়েছে, যেন সেখান থেকে শুরু করতে পারি।”
“এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর কোনো চ্যালেঞ্জ নাই। নিজের কাছে প্রত্যাশা। আর কোনো বাড়তি চ্যালেঞ্জ নাই, চিন্তা করব কিনা, সেটাও পরের বিষয়।”
তার নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে আকসু বা দুর্নীতিদমন ইউনিটের বাইরে কারও ‘প্রভাব’ আছে, এমন ধারণা থাকলে সেটি না করতে বলেছেন তিনি, “আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট যেটা আছে, তারা স্বাধীনভাবে কাজ করে। যদিও তারা আইসিসির অধীনে, আইসিসিও ওদের কিছু বলতে পারে না। ওদেরকে সে স্বাধীনতা দেওয়া আছে। এমন ধারণা যাদের আছে, আমার মনে হয় এমন না করাই ভাল।”
এ বছরের ২৯ অক্টোবর ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন তিনি।