টেস্ট অধিনায়কত্বকে চ্যালেঞ্জ নয়, সুযোগ হিসেবে দেখেন মুমিনুল
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব মুমিনুল হক পেয়েছেন কিছুটা হুট করেই, সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার পর। টেস্টে বাংলাদেশের ধারাবাহিকতারও অভাব আছে নিশ্চিতভাবেই। তবে চ্যালেঞ্জ নয়, অধিনায়কত্বকে মুমিনুল দেখেন ‘সুযোগ’ হিসেবেই। তামিম ইকবালের ফেসবুল লাইভ শো-তে মুমিনুল বলেছেন, এই দলটাকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সবচেয়ে ভাল মনে হয়েছে তার।
‘টেস্টে অধিনায়ক হওয়ার চেয়ে সম্মানের কিছু আছে কিনা আমি জানি না’ উল্লেখ করে তামিম মুমিনুলকে বলেছেন, তিনিই সবচেয়ে উপযুক্ত মানুষ নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য, “যদিও টেস্ট আমাদের শক্তির জায়গা না। তবে তুই ভাল করতেছিস। মাঝে দুই-একটা ঝাড়ি আমাদেরকেও দিয়া দ্যাস। আশা করি তুই অনেকদূর যাবি।”
“তবে মুমিনুল এই চ্যালেঞ্জটা কঠিন, সবসময় জিততেছিও না আমরা। তো এই সময়ে দলকে, নিজেকে উজ্জীবিত করিস কীভাবে?
জবাবে মুমিনুল বলেছেন, “আমার কাছে মনে হয়, অধিনায়কত্বের অফার যখন পেয়েছিলাম, আমার মনে হয়েছিল এটাই সবচেয়ে ভাল দল অধিনায়কত্ব করার। আমার কাছে ৪টা সিনিয়র ক্রিকেটার, যারা প্রায় ১০ বছর খেলেছে। ৩-৪টা জুনিয়র ক্রিকেটার, যারা খুব ভাল অবস্থায় আছে। ভাল স্পিনার আছে। তো আমি চ্যালেঞ্জ না, মনে করেছি আমার জন্য ভাল একটা সুযোগ। টেস্ট ক্রিকেটটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুযোগ।
“সত্যি বলতে কী, আপনারা যে ৪-৫ জন সিনিয়র আছেন, তারা আমার প্রেরণা দিয়েছে। আপনারা আরও অনেক দিন খেলবেন। জুনিয়র যারা আছে, তারাও। এসব ভেবেই এগুচ্ছিলাম। একটু চাপ আছে। সেটা থাকবে। হয়তো সেই চাপ ভাল করার একটা তাগিদ দেয়। শুধু উপভোগ করতে চাই। আশা করি ভবিষ্যতে ভাল কিছু পাব।
অবশ্য আপাতত তামিমের চাওয়া একটাই, “উপভোগ কর, কিন্তু ঝাড়ি-টাড়ি কম-টম দিস ভাই, বয়সে তো বড় আমি তোর!”
শুধুমাত্র একটি ফরম্যাটে খেলার চ্যালেঞ্জটা কেমন, মুমিনুল ব্যাখ্যা করেছেন সেটিও, “কঠিন। তবে পুরোটাই মানসিক ব্যাপার। যখন থেকে বুঝেছি যে শুধু টেস্টই খেলব, তখন থেকে মানসিকতা এভাবেই ঠিক করে নিয়েছি। যখনই সিরিজ আসবে। কঠিন, একটা টেস্ট খেলবেন ১ মাস পর, ২ মাস পর। তবে এর থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় মানসিকভাবে সেট করে নেওয়া। এখন আল্লাহর রহমতে সমস্যা হয় না।”
তামিম অবশ্য আশা করেন, মুমিনুল অন্য ফরম্যাটেও সুযোগ পাবেন বাংলাদেশের হয়ে, “তোকে সবসময়ই বলেছি, তুই তিন ফরম্যাটেই খেলার জন্য যোগ্য। আল্লাহ সুযোগ দিলে খেলবি।”