• ক্রিকেটে করোনাভাইরাস
  • " />

     

    ২০ মাসের মধ্যেই চলে যেতে হলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী রবার্টসকে

    ২০ মাসের মধ্যেই চলে যেতে হলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী রবার্টসকে    

    ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে যেতে হলো কেভিন রবার্টসকে। কভিড-১৯ মহামারিতে বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি, রাজ্যভিত্তিক সংস্থাগুলির সঙ্গে ক্রিকেটারদের সংস্থার সঙ্গে আর্থিক দরকষাকষিতে ‘ব্যর্থতা’র প্রেক্ষিতে তার সঙ্গে চুক্তি শেষ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তার জায়গায় অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্থানীয় আয়োজক কমিটির প্রধান নিক হকলিকে। দীর্ঘমেয়াদে কাউকে খুঁজে পাওয়ার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন হকলি। 

    প্রায় ১৮ বছর দায়িত্ব পালন করার পর জেমস সাদারল্যান্ড সরে যাওয়ার পর তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল রবার্টসকে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। তবে ২০ মাসের মাঝেই সরে যেতে হলো তাকে। সিএর চেয়ারম্যান আর্ল এডিংস বলেছেন, গত তিন-চার মাস ধরেই এ বিষয়ে কাজ করছেন তারা। ক্রিকেটের কল্যাণের জন্য নতুন নেতৃত্ব খোঁজার এটাই উপযুক্ত সময় বলে মনে হয়েছে তাদের। 

    কেপটাউনে বল-টেম্পারিং কেলেঙ্কারির পর দলকে পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে বেশ সাফল্য পেয়েছিলেন রবার্টস। তবে তাকে সবসময়ই শর্তসাপেক্ষে এ পদে রেখেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, তিন বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ করতে পারলে বাড়তি দুই বছরের প্রস্তাবও ছিল। এ বছর কভিড-১৯ মহামারি আসার আগ দিয়েই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট মৌসুম প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে তাদের ওপর দিয়ে ঝড় কম যাবে, ভাবা হয়েছিল এমন। তবে বেশি কিছু সফর বাতিল হয়ে যাওয়া, সামনের গ্রীষ্মের পরিকল্পনা মিলিয়ে আর্থিক দিয়ে ঝড় গেছে তাদের ওপর দিয়েও। 
     


    রবার্টসের জায়গায় অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পেয়েছেন নিক হকলি


    ফলে কভিড-১৯ মহামারিতে কর্মকর্তাদের বেতনের ৮০ শতাংশ এবং দেশজুড়ে ফান্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আর্থিক মডেল আসার পর রবার্টসের যোগাযোগের সামর্থ্য প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে নতুন করে। ক্রিকেটার, রাজ্যসংস্থা এবং গভর্নিং বডির কর্মকর্তাদের আস্থা তাই হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। 

    বোর্ডের সবকিছুর দায়িত্ব তার নিজের উল্লেখ করে এ পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন চেয়ারম্যান এডিংস, “সবকিছুর পর বোর্ডকেই সব দায়িত্ব নিতে হবে, চেয়ারম্যান হিসেবে সংস্থার দায়িত্ব আমার ওপরই বর্তায়। এ কারণেই আজ (মঙ্গলবার) এসব পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। পরের দিনগুলিতেও তাই করব। এসব ব্যাপারে আমরা যথাযথভাবেই সাড়া দিয়েছি। একটা অভূতপূর্ব সময় পার করছি আমরা, দেশের অন্যান্য খেলার অভিভাবক সংস্থার মতো আমরাও একইভাবে এই ব্যাপারে গত তিন মাস ধরে সাড়া দিচ্ছি।” 

    “অন্য খেলাগুলির মতো অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে কোনও প্রভাব পড়বে না, এটা ভাবা বোকামো। গোটা বিশ্বেরই একই অবস্থা। এই মুহুর্তে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের কল্যাণের জন্য বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এবং হ্যাঁ, এর কারণে কিছু কঠিন সিদ্ধান্তও নিতে হতো, এবং সেটিই করেছি আমরা। এটার কথা এড়িয়ে যাচ্ছি না আমি, কারণ এই সঙ্কটকালে আমাদের নিজেদের রক্ষা করতে হবে। যদি ব্যাপার-স্যাপার বদলায়, তাহলে আমরা নতুন পরিকল্পনার দিকে এগুবো। তবে সবকিছুর পর এটা আমার দায়িত্ব, বোর্ডের দায়িত্ব।” 

    রবার্টসের জায়গা নেওয়া হকলি এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় হয়ে যাওয়া উইমেনস টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন, যে টুর্নামেন্ট দারুণ সাফল্য পেয়েছে। এমসিজিতে রেকর্ডগড়া দর্শকের উপস্থিতিতে ফাইনালে জিতেছে ভারত। এ বিশ্বকাপের আগে ২০১৫ বিশ্বকাপেও কাজ করেছিলেন হকলি। তার আগে লন্ডন অলিম্পিক কমিটিতে ছয় বছর দায়িত্ব পালন করেছিলেন ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া হকলি। সাদারল্যান্ডের সঙ্গেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব ছাড়লেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বোর্ড-ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করছেন সাদারল্যান্ড।