আরও তিন থেকে পাঁচ বছর খেলতে চান সাকিব
বয়স হয়ে গেছে ৩৩। ক্রিকেটারদের জন্য অবশ্য খুব বেশি হয়তো নয়, আবার একেবারে কম বলারও উপায় নেই। সাকিব আল হাসান জানেন, ধীরে ধীরে কমে আসছে সময়। তবে এই মুহূর্তে সেরকম কোনো ভাবনা মাথায় নেই তার। বরং নিষেধাজ্ঞার সময়ে খেলাটা আরও বেশি সময় চালিয়ে যেতে পারবেন বলে মনে হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আরও তিন থেকে পাঁচ বছর খেলে যেতে চান ক্রিকেট।
জুয়াড়ির কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাব গোপন করার জন্য গত বছরেই নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব। এই অক্টোবরে কেটে যাবে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ, দেখতে দেখতে এর মধ্যে পেরিয়ে গেছে আট মাস। করোনা ভাইরাসের জন্য খুব বেশি ক্রিকেটও মিস করেননি। এই সময়ে সাকিব-শিশিরের ঘর আলো করে এসেছে দ্বিতীয় সন্তান, এখন পরিবারের সঙ্গেই কাটাচ্ছেন সময়। মানসিকভাবেও কিছুটা চাঙা হয়েছেন সাকিব। ক্রিকবাজে হর্শ ভোগলেকে জানিয়েছেন, আগের চাইতে রাগ নিয়ন্ত্রণ করাটাও শিখছেন বেশি। তার দুই মেয়ে এখানে বেশি সাহায্য করছেন তাকে। তবে দীর্ঘ আলাপের এক পর্যায়ে ঘুরে ফ্রে অবসরের প্রসঙ্গটা এলোই।
সাকিব আগে একবার ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করতে টেস্ট থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। চোটের জন্য গত তিন বছরে বেশ কিছুটা সময় মাঠের বাইরেও থাকতে হয়েছে। এই মুহূর্তে সাকিব ভাবছেন, ৩৮ বছর পর্যন্তও খেলে যেতে পারেন, ‘হ্যাঁ, এখন আমার দুইটি ছোট মেয়ে আছে। আমার মনে হয় আরও কিছু বছর খেলতে পারব আমি। এই এক বছর (নিষেধাজ্ঞার সময়) আমার সময়টা আমাকে আশা দিচ্ছে, আমি লম্বা সময় ধরে খেলতে পারব। একটা সময় আমি ভেবেছিলাম, হয়তো পরিবারকে সময় দেওয়ার জন্য বা অন্য কারণে আমি আর বছর দুয়েকের বেশি ক্রিকেট খেলতে পারব না। কিন্তু এই এক বছর ও বিশ্বকাপের জন্য আমি আরও বেশি সময় ধরে খেলতে পারব। আমার মনে হয় আমি আরও তিন থেকে পাঁচ বছর খেলা চালিয়ে যেতে পারব।’
২০২৩ বিশ্বকাপে সাকিবকে খুব করেই দরকার হবে বাংলাদেশের। ওই সময় তার বয়স হবে ৩৬। সাকিব অন্তত সেই বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলতে চান। তবে উপভোগ করার শর্তটাও দিয়ে রাখলেন, ‘পারফরম্যান্স আর ফিটনেসের ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করছে। আমি যদি খেলা উপভোগ করি তাহলেই চালিয়ে যাব। যখন মনে হবে আর খেলাটা উপভোগ করছি না ছেড়ে দেব।’