ভিনিসিয়াস-রামোসের গোলে আবার শীর্ষে রিয়াল
ফুলটাইম
রিয়াল মাদ্রিদ ২-০ রিয়াল মায়োর্কা
পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল রিয়াল মায়োর্কার বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের জয়টাই অনুমিত ছিল। খটকা ছিল এক জায়গায়। পুরো মৌসুমে লিগে রিয়াল যে ৩ ম্যাচ হেরেছিল, তার একটি ছিল মায়োর্কার বিপক্ষে। সে ঘটনা গত বছর অবশ্য অক্টোবরের। এরপর অনেক কিছুই বদলে গেছে। বদলেছে রিয়াল মাদ্রিদও। বিশেষ করে লা লিগা আবার ফেরার পর আরও দৃঢ় হয়েছে রিয়ালের ভীত। সেই রিয়াল মায়োর্কাকে এবার আর কোনো সুযোগই দেয়নি। তাই লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আবারও উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৭ ম্যাচ বাকি থাকতে দুইয়ে থাকা বার্সেলোনার সমান পয়েন্ট নিয়েও হেড টু হেডে এগিয়ে আছে তারা।
প্রথমার্ধে গোল করেছিলেন দারুণ এক গোল করেছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। পরের অর্ধে সার্জিও রামোস ফ্রি-কিক থেকে গোল করে ব্যবধান বাড়িয়েছিলেন। থিবো কোর্তোয়াকে তেমন একটা বেগ পেতে হয়নি পুরো ম্যাচে। রিয়ালই দারুণ সব আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসেছিল। তবে গোলসংখ্যা আর বাড়ানো হয়নি তাদের।
করিম বেনজেমা, ভিনিসিয়াস তো ছিলেনই, এডেন হ্যাজার্ডের সঙ্গে একাদশে ফিরেছিলেন গ্যারেথ বেলও। এমন বিধ্বংসী আক্রমণভাগের কাছে মায়োর্কা এমনিতেই সাদামাটা দল, মাঠের খেলাও তার হেরফের হয়নি। মায়োর্কা গোলরক্ষক মানোলোকে রেইনাকে শুরু থেকেই ব্যতি ব্যস্ত রেখছিলেন ভিনিসিয়াস, বেনজেমারা। পরে ১৯ মিনিটে এই জুটিই এগিয়ে দিয়েছিলেন রিয়ালকে।
বেনজেমার পাস থেকে বক্সের ভেতর বাম কোণায় ঢুকে পড়েছিলেন ভিনিসিয়াস। অ্যাঙ্গেল ছিল কঠিন, তবে ভিনিসিয়াস দেখিয়েছেন আরও কঠিন কৌশল রপ্ত করেছেন তিনি। গোলরক্ষকের সঙ্গে হাত মেলানো দূরত্ব থেকে দারুণ এক চিপে ওই জায়গা থেকেই গোল করেছেন ভিনিসিয়াস।
খানিকক্ষণ বাদে ভিনিসিয়াস একই কাজ করেছিলেন। তবে এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে করা চিপ তখন লাগে বারপোস্টের মাথায়। তাই দ্বিতীয় গোল আর পাওয়া হয়নি ব্রাজিলিয়ানের। অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি রিয়ালকে।
৫৬ মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে ডান পাশে ফ্রি-কিক পেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। পেনাল্টির মতো ফ্রি-কিকও নিয়েছেন রামোস। টপ কর্নারে বল জড়িয়ে লিগে মৌসুমের নবম গোলও পেয়ে গেছেন রিয়াল অধিনায়ক। লা লিগায় ২০০৮-০৯ মৌসুমের এজিকুয়েল গ্যারায়ের পর লা লিগায় সর্বোচ্চ গোল এখন রামোসেরই।
রামোসের অবশ্য ম্যাচের শুরুটা ভালো ছিল না। নিষেধাজ্ঞার কারণে কাসেমিরো ছিলেন না ম্যাচে। তাই রক্ষণের ওপর চাপ বেড়েছিল খানিকটা। ৩৫ মিনিটে একবার হলুদ কার্ড দেখেছিলেন রামোস। এরপর প্রথমার্ধেই আরেকবার কার্ড দেখতে পারতেন রিয়াল অধিনায়ক। একটি কর্নারের সময় মায়োর্কার বক্সের প্রতিপক্ষের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেও অবশ্য বেঁচে গেছেন তিনি।
মায়োর্কার আক্রমণভাগে তাকে কুবো আরও একবার আলো ছড়িয়েছিলেন। তবে তাকে যোগ্য সমর্থন দিতে পারেননি কেউই। বেশ কিছু হাফ চান্স পেলেও পুরো ম্যাচে রিয়ালের রক্ষণে কাঁপন ধরানোর মতো কোনো আক্রমণ করতে পারেনি তারা। এই ম্যাচে মায়োর্কার এক খেলোয়াড় অবশ্য রেকর্ড গড়েছেন। ১৫ বছর ২১৯ দিন বয়সে বদলি হয়ে মাঠে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লুকা রোমেরো হয়ে গেছেন লা লিগার ইতিহাসের কনিষ্ঠতম খেলোয়াড়।
আর রিয়াল দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচের ভাগ্য লেখা হয়ে গিয়েছিল তখনই। বাকি সময়ে মারিয়ানো ডিয়াজ, ইস্কো, অ্যাসেনসিওদের সুযোগ দিয়ে জিনেদিন জিদানও বদলিদের বাজিয়ে দেখার সুযোগ পেয়েছেন তাই।
সোমবার আরও একবার রেলিগেশন লড়াইয়ে থাকা আরেকদল বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াল। এবার তাদের প্রতিপক্ষ এস্পানিওল। এর আগে বার্সেলোনা শনিবার রাতে খেলবে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে।