• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    বার্সা-জুজু দেখছেন না ওয়েঙ্গার

    বার্সা-জুজু দেখছেন না ওয়েঙ্গার    

    চ্যাম্পিয়নস লিগের মাঠে বার্সেলোনা নামটা আর্সেনাল সমর্থকদের জন্য একরকম বিভীষিকাই হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউরোপসেরা নির্ধারণের এই লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত বার্সাকে টপকে পরের কোনো পর্বে যেতে পারে নি গানাররা। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে গ্রুপ পর্বে একটি ড্র আর একটিতে হার দিয়ে শুরু। এরপর ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো ইউরোপসেরার মুকুট ঘরে তোলার স্বপ্নটাও আর্সেনালের শেষ হয়ে যায় কাতালানদের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে।

     

    ২০১০ সালের কোয়ার্টার ফাইনালেও শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ওয়েঙ্গার শিষ্যদের স্বপ্নভঙ্গের কারণ ঐ স্প্যানিশ জায়ান্টরাই। সেবার ন্যু ক্যাম্পে ৩-১ ব্যবধানে হারের আগে প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছিল আর্সেনাল। টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে বার্সেলোনার বিপক্ষে গানারদের জয়ের রেকর্ড এখনো পর্যন্ত ওই একটিই। আর সেটিকেই এবারের দ্বৈরথের আগে প্রেরণা মানতে চান আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার।

     

    সে ম্যাচে প্রথমার্ধে পিছিয়ে গিয়েও দ্বিতীয়ার্ধের শেষভাগে ভ্যান পার্সি ও আন্দ্রেই আরশাভিনের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্সেনাল। সে রাতটিকে তাই এমিরেটসের মাঠে ‘অন্যরকম রাতগুলোর অন্যতম’ বলে মনে করেন ওয়েঙ্গার, “সে ম্যাচের একটা বড় অংশ জুড়ে আমরা ভুগেছিলাম। প্রথমার্ধে তো কিছুই করতে পারি নি। দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে ধীরে ধীরে আধিপত্য বিস্তার করে শেষ পর্যন্ত ভয়ংকর হয়ে উঠি। ওই জয়টা নিঃসন্দেহে আমাদের প্রেরণা যোগাতে পারে। এবারের খেলায়ও যদি আমরা কোনো সময় কোনো ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ি, তাহলে এই ভেবে সাহস পেতে পারি যে, যে কোনো পরিস্থিতিতেই ম্যাচ বের করা সম্ভব।”

     

    পরের সপ্তাহেই অবশ্য বার্সেলোনার মাঠে ৩-১ ব্যবধানে হেরে গিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ে আর্সেনাল। সে অভিজ্ঞতাও ভোলেন নি আর্সেনাল কোচ, “সেবার বুঝেছিলাম ফুটবল খেলাটা আসলে কী। সপ্তাহের ব্যবধানে উত্থান-পতন দুটোই দেখতে হয়েছিল। তারপরও এমিরেটসের সেই রাত আলাদা করে মনে থাকবে।”


    ‘আলাদা’ সেই রাত আবারও ফিরিয়ে আনতে চান ওয়েঙ্গার। তবে এ যাত্রায় কেবলই এমিরেটসে নয়, ন্যু ক্যাম্পেও! ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা বার্সেলোনার বিপক্ষে সেটা কতোটা পারবেন তা সময়ই বলে দেবে।