• লা লিগা
  • " />

     

    মেসিদের পা আর চলছে না, বললেন বার্সা কোচ সেতিয়েন

    মেসিদের পা আর চলছে না, বললেন বার্সা কোচ সেতিয়েন    

    করোনা ভাইরাসের জন্য লিগ শুরু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক ম্যাচ খেলছেন মেসিরা। এর মধ্যে পয়েন্ট খুইয়ে বার্সার শিরোপা সম্ভাবনা অনেকটাই শেষ। মৌসুমের শেষ দিকে এসে বার্সা কোচ কিকে সেতিয়েন স্বীকার করছেন, এখন আর পা চলছে না মেসিদের।

    ভায়াদোলিদের বিপক্ষে ম্যাচেই দেখা গেছে বার্সার এই ক্লান্তিকর অবস্থা। চোটের কারণে বেঞ্চে তেমন খেলোয়াড় ছিল না, মেসি-গ্রিজমানকে সামনে রেখে ৩-৫-২ এর একটু অদ্ভুত ফর্মেশনেই দল সাজাতে হয়েছিল সেতিয়েনকে। প্রথমার্ধে বার্সা অবশ্য খারাপও খেলেনি। তবে চোটের কারণে গ্রিজমান খেলতে পারেননি দ্বিতীয়ার্ধে, যদিও সেটা গুরুতর নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে শেষ দিকে মেসিদের পা প্রায় চলছিলই না। ভ্যালাদোলিদ চেপে ধরে গোলটা পেতে পেতেও পায়নি। শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে এখনো কাগজে কলমে শিরোপার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে বার্সা।

    ম্যাচ শেষে দ্বিতীয়ার্ধের ওই পারফরম্যান্সের জন্য সেতিয়েন দায়ী করেছেন ক্লান্তিকেই, ‘আমরা যেভাবে খেলছিলাম তাতে প্রথমার্ধের মধ্যে দুই-তিন গোল দিয়ে দিতে পারতাম। ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি আমাদের। কিন্তু এর পরেই ক্লান্তি ধরে আমাদের। ৭২ ঘণ্টাও হয়নি এসপানিওলের সাথে আমরা ম্যাচ খেলেছি। মাঠে অনেক গরম ছিল, সবাই আসলে ঠিক চাঙা ছিল না।’

    বিশেষ করে ধকলটা মেসির ওপর দিয়েই বেশি যাচ্ছে। এই মৌসুমে বার্সার একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিটা মিনিট খেলেছেন, সংখ্যার হিসেবে যা ৮১০ মিনিট। কাল ভ্যালাদোলিদের সঙ্গে একটা গোল করিয়েছেন বটে, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে একেবারেই খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন মেসি। ৩৩ পেরিয়ে এভাবে টানা খেলার ধকল যে মেসি নিতে পারছেন না, সেটা স্বীকার করলেন সেতিয়েনও, ‘হ্যাঁ, আমি জানি ওর বিশ্রাম লাগবেই। আজকে প্রথমার্ধে আমরা আর এক গোল পেয়ে গেলে সেটা হয়তো দিতে পারতাম। কিন্তু এক গোলে এগিয়ে থাকায় ওর সঙ্গে আলাপ করেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছি।  আর এক দুই গোল দিলে আরও কয়েকজনকে বিশ্রাম দিতে পারতাম আমরা।’

    দ্বিতীয়ার্ধে অমন পারফরম্যান্সের কারণ হিসেবে সেতিয়েন দায়ী করেছেন তাই ক্লান্তিকেই, ‘আমাদের আসলে পা- চলছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে অমন খেলার অন্য কোনো কারণ ছিল না। চাপটা একটু বেশিই যাচ্ছে আমাদের।’

    এই মুহূর্তে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে এক পয়েন্ট পেছনে আছে বার্সা। তবে ম্যাচ খেলেছে একটি বেশি। রিয়াল পরের ৩ ম্যাচ থেকে ৫ পয়েন্ট পেলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে।