দুই গোলের জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের লড়াই জমিয়ে রাখল লেস্টার-ম্যান ইউনাইটেড
চেলসি নরউইচকে হারিয়ে আগেই এগিয়ে গিয়েছিল কিছুটা। কঠিন ছিল লেস্টার সিটির পরীক্ষা, শেফিল্ড ইউনাইটেড যে আগের ম্যাচে চেলসিকে উড়িয়ে দিয়ে এসেছিল। কিন্তু লেস্টার শেফিল্ডকে সহজেই হারিয়ে চাপ বাড়িয়ে রেখেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ওপর। ক্রিস্টাল প্যালেসের সাথে হারলে বা ড্র করলেই শীর্ষ চারের স্বপ্নে বড় একটা ধাক্কা খেত ইউনাইটেড। সেটা হয়নি, প্যালেসকে ২-০ গোলে হারিয়ে ইউনাইটেড এখনও ভালোমতোই বাঁচিয়ে রেখেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আশা।
লেস্টারের কাজটাই তিন দলের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন ছিল। একে তো শেফিল্ড ফর্মে ছিল, তার ওপর চোট আর নিষেধাজ্ঞায় বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে পাননি লেস্টার কোচ ব্রেন্ডন রজার্স। শেষ পর্যন্ত একাদশে রাখতে হয়েছে ১৯ বছর বয়সী লেফটব্যক লুকাস টমাসকে, প্রিমিয়ার লিগের অফিসিয়াল লিস্টেই নাম ছিল না যার। কাকতালীয়ই বটেই, এই তরুণের পাস থেকে গোল করেই লেস্টারকে শুরুতে এগিয়ে দিয়েছেন আইজো পেরেজ। পুরোটা সময় শেফিল্ডকে চেপে ধরেছিলেন ভার্ডিরা। ডিন হেন্ডারসন বাধা না হয়ে দাঁড়ালে অন্তত গোটা চারেক গোল লেস্টার পেতেই পারত।
শেষ পর্যন্ত ৭৯ মিনিটে আর ঠেকাতে পারেননি আজ ক্যাপ পরে নামা হেন্ডারসন। এবার ভার্ডির পাস থেকে ডেমারাই গ্রে গোল করে লেস্টারকে এগিয়ে দিয়েছেন। স্বস্তি নিয়েই ম্যাচ শেষ করেছে লেস্টার।
টানা পাঁচ ম্যাচ একই একাদশ নামানোর পর আজ দুইটি বদল এনেছিলেন ইউনাইটেড কোচ ওলে গানার সোলশার। মাতিচকে বিশ্রাম দিয়ে নামিয়েছিলেন ম্যাকটমিনেকে, আর ইনজুরড লুক শর জায়গায় নেমেছিলেন ফসু মেনসা। ইউনাইটেডকে শুরু থেকে খানিকটা ক্লান্ত মনে হচ্ছিল, তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোল পেয়ে যায়। দারুণ একটা আক্রমণ থেকে মার্শ্যাল-ব্রুনো হয়ে বক্সের ভেতর দুর্দান্ত এক ফিনিশে গোল করেন রাশফোর্ড। কয়েক দিন আগেই ডক্টরেট পাওয়া রাশফোর্ডের এবারের লিগে এটি ১৭তম গোল, অথচ আগের দুই মৌসুম মিলেই করেছিলেন ১৭টি।
দ্বিতীয়ার্ধে মাতিচ নামার পর একটু নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায় ইউনাইটেড। তবে প্যালেস চাপ দিয়ে যাচ্ছিলই। ওদিকে ম্যাগিরী কর্নার থেকে এর মধ্যেই নষ্ট করেছেন ফ্রি হেডার। তবে পুরো ম্যাচ অসাধারণ খেলা মার্শিয়ালই শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত করেছেন জয়। এবারও ব্রুনোর পাস থেকে রাশফোর্ডের ডিফেন্সচেরা থ্রু খুঁজে নিয়েছে মার্শিয়ালকে। ডান পায়ের ফিনিশিংয়ে গোল করেছেন ইনফর্ম মার্শিয়াল।
এই মুহূর্তে ৩৬ ম্যাচ শেষে ইউনাইটেড ৬২ পয়েন্ট নিয়ে আছে পাঁচে। লেস্টারেরও সমান ম্যাচে ৬২ পয়েন্টই, গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় আছে চারে। আর সমান ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে চেলসি।