• লা লিগা
  • " />

     

    দশ জনের ওসাসুনার কাছেই হেরে গেল বার্সা

    দশ জনের ওসাসুনার কাছেই হেরে গেল বার্সা    

    খেলাটা শুরু হয়েছিল একই সময়ে। ওদিকে রিয়াল মাদ্রিদ জিতে গেলেই হয়ে যেত। তবে বার্সেলোনা নিজেদের কাজটাই করতে পারল না। দশ জনের ওসাসুনার কাছে হেরে গেল ২-১ গোলে, তাও আবার শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে। লা লিগায় ন্যু ক্যাম্পে শেষটাও হলো ভুলে যাওয়ার মতো।

    মেসিদের শরীরী ভাষাই পুরো ম্যাচে ছিল হার মানার, শুরু থেকেই যেন চলছিল না পা। বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এনেছিলেন এই ম্যাচে বার্সা কোচ কিকে সেতিয়েন। চোটের জন্য গ্রিজমানকে পাননি, ফর্মেশনেও তাই একটু বদল আনতে হয়েছিল। মেসিকে বিশ্রাম দিতে পারেননি যথারীতি, আনসু ফাতি আর ব্রাথওয়েটকে নিয়ে প্রথমার্ধে বার্সা আক্রমণও নখদন্তহীন। ১৫ মিনিটেই অবশ্য পিছিয়ে পড়ে বার্সা। ডান পায়ের ভলিতে বক্সের ভেতর থেকে গোল করে ওসাসুনাকে এগিয়ে দেন হোসে আরনাইজ। বার্সার আক্রমণগুলো দানা বাঁধছিল না তেমন, প্রথমার্ধে স্বাগতিকদের এরা সুযোগটা আসে অবশ্য মেসির মাধ্যমেই। বাঁ পায়ের ফ্রিকিকটা পোস্টে লেগে বাইরে চলে যায়, বার্সারও তাই গোল পাওয়া হয়নি। সাতটি শট নিয়ে প্রথমার্ধে একটিও গোলে রাখতে পারেনি বার্সা।

    গোল করার মতো জায়গা থেকে এরপরেও ফ্রিকিক পেয়েছিলেন মেসি, কাজে লাগাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৬২ মিনিটে গোলটা এলো সেই ফ্রিকিক থেকেই। এই মৌসুমে পাঁচবার সরাসরি ফ্রিকিক থেকে গোল করলেন মেসি, ইউরোপের শীর্ষ লিগে আর কারও এই কীর্তি নেই। গোলের পর মেসির উদযাপন অবশ্য বলছিল আগের ফ্রিকিকগুলো জালে না ঢুকায় কতটা হতাশ ছিলেন!

    এর মধ্যে বার্সা আরও কিছু সুযোগ পেয়েছিল, কাজে লাগাতে পারেনি। চোট কাটিয়ে মাঠে নেমেছেন ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং, সুয়ারেজকেও নামিয়েছেন সেতিয়েন। ৭৮ মিনিটে বার্সার ক্লেমেন্ত লংলেকে কনুই মেরে লাল কার্ড দেখেন ওসাসুনার এনরিক গ্যালেগো। কিন্তু দশজনের ওসাসুনাকে চেপে ধরতে গিয়ে উলটো বার্সা যোগ করা সময়ে খেয়ে বসে গোল। প্রথমটির মতো এবারও পিকেদের ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে। নিজেদের অর্ধে বল হারিয়ে ফেলার পর বার্সাকে শাস্তি দিয়ে গোল দিয়েছেন রবার্তো তোরেস। শেষ পর্যন্ত নিজেদের মাঠে ২-১ গোলে হেরেই মাথা নিচু করে ফিরতে হয়েছে মেসিদের।