নয়্যারকে নিয়ে বুফনের "দ্বিধা"
রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলায় মাঠে নামছে বায়ার্ন ও জুভেন্টাস। তুরিনে জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে মাঠের দুই প্রান্তে দেখা মিলবে দুই প্রজন্মের সেরা দুই গোলকিপারের। জুভেন্টাস গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফনকে বলা হয় গত এক যুগের সেরা গোলকিপার। অন্যদিকে বায়ার্নের ম্যানুয়েল ন্যয়ার তাঁর ভিন্ন ধাঁচের গোলকিপিংয়ে ইতিমধ্যেই দুনিয়াজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তবে ন্যয়ারকে সেরা মানলেও এত জলদি ইতিহাসের সেরাদের কাতারে রাখতে রাজি নন বুফন।
নিজের চেয়ে নয় বছরের ছোট ন্যয়ারের গোলকিপিং সম্পর্কে এই ইতালিয়ান কিংবদন্তি যেন এখনো কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত, “আমি সৌভাগ্যবান যে আমি কতগুলো অসাধারণ এবং অসংখ্যগুণ সম্পন্ন বিশ্বস্ত গোলকিপারকে দেখতে পেরেছি। ন্যয়ারও এই দলেরই একজন। সে দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন স্তম্ভ। কিন্তু, কিংবদন্তি গোলরক্ষকদের কথা চিন্তা করলে, যেমন- ক্যাসিয়াস, চেক, অলিভার কান এবং আরো যাদের নাম মনে আসছে না; তাঁদের সাথে তাঁর তুলনা করা এখনি ঠিক হবে না।”
নিজের বর্তমান রেকর্ড নিয়েও খুব একটা গা ভাসাচ্ছেন না জিজি। তাঁর করা একটানা ৬৫৪ মিনিট গোল না খাওয়ার রেকর্ডের কৃতিত্বটুকু নিজের চেয়ে বেশি তাঁর সতীর্থদেরকেই দিলেন, “আমি জানি অনেকদিন হয়েছে আমি গোল খাইনি। তবে কয় ম্যাচ বা কত মিনিট সেটা জানতাম না। এখন আপনারাই জানালেন, এটা নাকি ছয় শ’রও বেশি মিনিট! যাক এটাই জানিয়ে দিচ্ছে আমাদের খুব ভালো ডিফেন্স রয়েছে। তার মানে এই না যে আমাদের গোলকিপারই সেরা।” “ভালো মানের বিশ্বস্ত খেলোয়াড়কে ডিফেন্সে পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার। তবে গোল খেয়ে বসলে দলগতভাবে নিশ্চিত করতে হবে প্রতিপক্ষের আক্রমণ যেন ভয়ানক না হয়ে উঠতে পারে।”
বায়ার্নের বিপক্ষে আরেকটি ক্লিনশিট হলে বুফনের রেকর্ডে যোগ হবে আরো ৯০ মিনিট। আর ঠিক এমনটাই চান জুভেন্টাস কোচ মাসিমিলিয়ানো অ্যাল্লেগ্রি, “ গত বছর ০-০ ফলাফলের কথা বলায় আমাকে অনেক অপমান শুনতে হয়েছে। কিন্তু, ঘরের মাঠে ০-০ ভালো ফলাফল। দুইরকম সম্ভাবনা নিয়েই তাঁদের মাঠে খেলতে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কারণ, অ্যাওয়ে গোল ডাবল হিসেবেই ধরা হয়। তবে কালকের (আজ রাতের) ম্যাচ মনে হয় না ০-০ তে শেষ হবে। আমি তো অনেকগুলো গোল দেখতে পাচ্ছি।”