প্লেয়ার রেটিং : বায়ার্নের বিপক্ষে বার্সা খেলোয়াড়রা কতো পাবেন?
ইউরোপে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হার নিয়ে ফিরেছে বার্সেলোনা। বায়ার্ন মিউনিখের কাছে গুনে গুনে খেয়েছে ৮ গোল। গোলরক্ষক থেকে স্ট্রাইকার- একজনও বলতে পারবেন না এই ম্যাচে তারা দিয়েছেন নিজেদের সেরাটা। দলগত ভাবেই ব্যর্থ হয়েছে বার্সা।
মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান ২.৫/১০
ম্যানুয়েল নয়্যারের জায়গা নিতে চেয়েছিলেন। তার মুখোমুখি দাঁড়ানোর রাতে ভালো কিছু করতে হত। টের স্টেগান ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে ম্যাচটাই খেললেন। এতে তার দোষ অবশ্য খুব বেশি না। তার সামনের ডিফেন্ডাররাই ডুবিয়েছেন তাকে। তবে বল পায়ে স্বাচ্ছন্দ্য ছিলেন না মোটেই। বায়ার্নের প্রেস তাকেও এলোমেলো করে দিয়েছিল।
নেলসন সেমেদো ২/১০
দুঃস্বপ্নে আলফোন্সো ডেভিসকে দেখবেন সেমেদো। ওই এক মুহুর্তে পুরো ম্যাচে সেমেদোর অবস্থা আসল চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে।
জেরার্ড পিকে ১/১০
হাল ছেড়ে দিয়েছেন বহু আগে। পিকে এখন স্মৃতির গৌরব মাত্র।
ক্লেমেন্ত ল্যাংলেট ১/১০
কী হচ্ছে, কী হতে যাচ্ছে, কী হতে পারে- তার কোনোকিছু নিয়েই কোনো ধারণা ছিল না। ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার দ্বিতীয় গোলে পেরিসিচকে ক্লোজ ডাউন করে আনতে পারতেন। হয়ত এতো বড় বিপর্যয় তখন ঠেকিয়ে দিতে পারত বার্সা।
জর্দি আলবা ৩/১০
প্রথম গোলে তার অবদান ছিল। কিন্তু সেই পুরোনো গতি এখন আর নেই আলবার। জশুয়া কিমিখ তাকে ফাঁকি দিয়ে সারা মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন।
সার্জিও বুস্কেটস ২/১০
বুস্কেটস ভালো খেললে বার্সা জিতে যায় ম্যাচ। বুস্কেটস দুই পেলে বার্সা বোধ হয় সেই রাতে ৮ গোল খায়।
ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং ৪.৫/১০
মন্দের ভালো। ডাচ মিডফিল্ডারের ওপর বড় দায়িত্ব ছিল। অল্প বয়সে বড় বোঝা নিতে গিয়ে নুয়ে পড়েছেন।
আর্তুরো ভিদাল ২.৫/১০
ভিদালকে নামিয়ে আদতে কোনো লাভ হয়নি কিকে সেতিয়েনের। যে আশায় নামিয়েছিলেন তার কিছুই কাজে দেয়নি।
সার্জি রবার্তো ২/১০
বল হারিয়েছেন বারবার। দ্বিতীয়ার্ধের আগেই বদলি হয়েছেন।
লিওনেল মেসি ৪/১০
লুইস সুয়ারেজের দ্বিতীয় গোলে অবদান ছিল মেসির। তবে এই ম্যাচে বড় কিছু করতে হত আর্জেন্টাইনের। আরও একবার বড় মঞ্চে ব্যর্থ হলেন।
লুইস সুয়ারেজ ৪/১০
সুয়ারেজের গতি কমে গেছে। বায়ার্নের হাই ডিফেন্সিভ লাইন ফাঁকি দিয়ে পেছনের ফাঁকা জায়গা যে কাজে লাগাবেন সেই সক্ষমতাই ছিল না তার। বার্সার দ্বিতীয় গোল করে অবশ্য আশা দেখিয়েছিলেন।
বদলি
আন্টোয়ান গ্রিযমান ৩/১০
আনসু ফাতি ৩/১০