রিয়ালকে জয় পাইয়ে দিল ভিনিসিয়াসের গোল আর কোর্তোয়ার সেভ
ফুলটাইম
লেভান্তে ০-২ রিয়াল মাদ্রিদ
আরও একবার ভিনিসিয়াস জুনিয়রের গোলেই রক্ষা পেল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে লেভান্তের মাঠে জয় পেতে রিয়ালকে ভালোই খাটুনি পোহাতে হয়েছে। ম্যাচের ১৬ মিনিটে ভিনিসিয়াস গোল পেলেও বাকি সময়ে রিয়াল আর ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেনি। সেই সুযোগে লেভান্তে বেশ কয়েকবার চোখ রাঙিয়েছে রিয়ালের রক্ষণে। থিবো কোর্তোয়া তখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আর পথ হারাতে দেননি রিয়ালকে। ম্যাচের একেবারে শেষ কিকে গোল করে করিম বেনজেমা জয়ের ব্যবধানটা বাড়িয়েছেন আরও।
আগের ম্যাচে রিয়ালের জয়ের নায়ক ভিনিসিয়াস ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো রিয়ালের হয়ে টানা দুই ম্যাচে গোল করে একাদশে নিজের দাবিটা আরও জোরালো করেছেন। ১৬ মিনিটে কর্নার থেকে বক্সের ভেতর বাম পাশে বল পেয়েছিলেন ভিনিসিয়াস। তাকে লেভান্তের কেউই নজরে রাখেননি। বলটাও ভিনিসিয়াস পেয়েছিলেন লেভান্তে কর্নার ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হওয়ার পর। এরপর সেখান থেকেই ডান পায়ের বাঁকানো শটে সামনে থাকা জটলা ভেদ করে জালে বল জড়ান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
গোল খাওয়ার আগ পর্যন্ত লেভান্তে বেশ কয়েকটি সম্ভাবনময় আক্রমণ সাজিয়েছিল। তবে পিছিয়ে পড়ার পর লেভান্তে খুব বেশি বিপদে আর ফেলতে পারেনি রিয়ালকে। বরং বারবার বল পজেশন হারিয়ে রিয়লাকে আক্রমণে আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখছিল তারা। বেনজেমা, আসেনসিও, ভিনিসিয়াসের আক্রমণভাগ সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেনি। ৪-৩-৩ ফরমেশনে মিডফিল্ডে ছিলেন লুকা মডরিচ, ফেদেরিকো ভালভার্দে আর কাসেমিরো। আর রাইটব্যাকে পজিশনে নেমেছিলেন নাচো ফার্নান্দেজ। তবে এই দল নিয়ে, এক গোলে এগিয়ে থেকেও রিয়ালের স্বাভাবিক ছন্দ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না খেলায়। সে অর্থে প্রথমার্ধ একরকম ম্যাড়মেড়েই গেছে।
তবে দুই দলের ম্যাচ আসলে জমে উঠেছিল বিরতির পর থেকে। বেনজেমার শট বারপোস্টে লেগে ফেরত আসার পর ভিনিসিয়াসকে দারুণ এক সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে দফায় ভিনিসিয়াসও ব্যর্থ। গোলের সামনে থেকে বলে পা ছোঁয়াতে পারলেই হয়ত রিয়ালের জয়ের রাস্তা আরও সহজ করতে পারতেন তিনি। এসব কিছুই ঘটেছে দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দশ মিনিটের ভেতর।
ম্যাচে এরপর লেভান্তে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আর কোর্তোয়া তাদের সামনে পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়ে গেছেন। পুরো ম্যাচে অন্তত তিনটি নিশ্চিত গোল ঠেকিয়েছেন কোর্তোয়া। এর ভেতর এনিস বারধিকেই দুইবার গোল বঞ্চিত করেছেন কোর্তোয়া। দুইবারই বক্সের বাইরে থেকে শট করেছিলেন লেভান্তে উইঙ্গার। একবার গোলের মাঝামাঝি জায়গা থেকে ঠেকিয়েছেন কোর্তোয়া, আরেকবার উলটো দিকে ঝাঁপ দিয়েও পা দিয়ে ঠেকিয়ে দিয়েছেন বারধির প্রচেষ্টা। আরেকবার দফায় কার্লোস ক্লার্ককে এগিয়ে গিয়ে বক্সের ভেতর কোণাকুণী জায়গা থেকে গোলবঞ্চিত করেছেন কোর্তোয়া।
এসবের ভেতর অবশ্য ফ্রি-কিক থেকে হেডে সার্জিও রামোস একবার জালে বল জড়িয়েছিলেন। তবে পরে ভিএআরে সেই গোল বাতিল হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত দ্বিতীয় গোলটা রিয়াল পেয়েছে আক্ষরিক অর্থেই মায়চের শেষ কিকে। লেভান্তে যখন রিয়ালের অর্ধে সমতাসূচক গোলের জন্য হন্যে হয়ে আক্রমণ করছে তখন কাউন্টার অ্যাটাকে বদলি রদ্রিগো বল বাড়ান বেনজেমার দিকে। পরে গোলরক্ষকের সঙ্গে ওয়ান অন ওয়ানে মৌসুমের প্রথম গোল পেয়ে যান বেনজেমা।