বার্সেলোনায় তার আর প্রয়োজন নেই, শোনার পর কেঁদে ফেলেছিলেন সুয়ারেজ
বার্সেলোনার প্রতি লুইস সুয়ারেজের অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রমাণ দেখা গিয়েছিল ক্লাবে তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে কথা বলার সময় তার আবেগে ভারী হয়ে ওঠা গলা বারবার ধরে আসছিল। ন্যু ক্যাম্প ছেড়ে আসার পর জানালেন, সেই দিনের আরও আগেই তার হৃদয় ভেঙে খানখান হয়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে ছয় বছর ক্লাবে কাটানোর পর, এত অর্জনের পর যখন এক ফোনকলে তাকে জানানো হল কোচের পরিকল্পনায় নেই তিনি, তখনই তিনি আর আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।
উরুগুয়ের হয়ে এখন দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলছেন সুয়ারেজ। আর সেখানেই এক সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনা থেকে তাকে যেভাবে বিদায় করা হয়েছে সেই প্রক্রিয়ায় তিনি কষ্ট পেয়েছেন, “তারা স্কোয়াডে পরিবর্তন আনতে চায় এটা আমাকে অন্যভাবেও বলা যেত। যেভাবে এটা করা হয়েছে তাতে মনে হয়েছে তারা আমাকে ছুড়ে ফেলছে, এই বিষয়টি আমাকে বেশি কষ্ট দিয়েছে। ওই দিনগুলো খুব কঠিন ছিল।”
আগস্টে ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই সুয়ারেজকে ফোনে নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যান জানিয়ে দেন, তার পরিকল্পনায় নেই তিনি। যদিও পরবর্তীতে নিজের কাজকে ডিফেন্ড করেছিলেন কোমান। ক্লাব তার মাধ্যমে সুয়ারেজকে খবরটি পৌঁছাতে চেয়েছিল বলেই তিনি বলেছেন বলে উল্লেখ করেছিলেন কোমান, ক্লাব আগেই সুয়ারেজকে বিদায় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে তখন জানান বার্সার নতুন কোচ।
সুয়ারেজ সেই খবর পাওয়ার পরই আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি, “আমার সাথে যা হচ্ছিল তা সহ্য করতে না পেরে আমি কেঁদেছি। ক্লাবের এই বার্তাটিকে আমি সহজভাবে নিতে পারিনি।”
সুয়ারেজকে বিদায় করার ক্ষেত্রে ক্লাবের কর্মকাণ্ডে ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন মেসিও। ইনস্টাগ্রামে সুয়ারেজকে উদ্দেশ্য করে বিদায়ী বার্তায় ক্লাবের কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বার্সা অধিনায়ক। সুয়ারেজের সাক্ষাৎকারে সেই বিষয়টিও উঠে এসেছে, “বার্সা যেভাবে কাজটা করেছে সেটা ঠিক ছিল না, আর এই বিষয়টাতে লিও-ও বিরক্ত হয়েছে। সে দেখেছে আমরা কী অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। আপনি ক্লাবে অনুশীলন করতে যাচ্ছেন, আর সেখানে আপনাকে একা অনুশীলনে করতে বলা হচ্ছে। ক্লাবের দুই একাদশের মাঝে খেলায় আপনাকে নেওয়া হচ্ছে না। আমার স্ত্রী-ও দেখেছে আমি কতটা বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম।”
অবশ্য বার্সেলোনা ছেড়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে আসার পর সুয়ারেজের মুখে হাসি ফুটতে বেশি সময় লাগেনি। অভিষেকে গ্রানাডার বিপক্ষে বদলি হিসেবে নেমে দুই গোল এবং এক অ্যাসিস্ট দিয়ে নিজের অ্যাটলেটিকো অধ্যায় শুরু করেছিলেন।