• সাকিবের নিষেধাজ্ঞা
  • " />

     

    সতীর্থদের 'সন্দেহ' আর 'অবিশ্বাস' কাটিয়ে আবার আস্থা পাওয়ার আশা সাকিবের

    সতীর্থদের 'সন্দেহ' আর 'অবিশ্বাস' কাটিয়ে আবার আস্থা পাওয়ার আশা সাকিবের    

    ঘোষণাটা দিয়েছিলেন আগেই। এক বছর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর সাংবাদিকদের পাশাপাশি ভক্তদেরও কিছু প্রশ্নের উত্তর দেবেন। সাকিব আল হাসান ইউটিওউবে সেই প্রশ্নগুলোরই উত্তর দিয়েছেন। নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবারের সঙ্গে ভক্ত বা দেশবাসীর সমর্থনের কথা বলেছেন বার বার। এর মধ্যেই এসেছে কিছু স্পর্শকাতর প্রশ্নও। জাতীয় দলের সতীর্থেরা তার ফেরাটা কীভাবে নেবেন, সেই প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন সাকিব। সেখানে অস্বস্তি বা সন্দেহ থাকতে পারে, স্বীকার করে নিয়েছেন তাও। তবে আশা করছেন, সতীর্থদের বিশ্বাস পুরোপুরি অর্জন করতে পারবেন।

    নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর সতীর্থদের অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে স্বাগত জানিয়েছেন সাকিবকে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, সাকিবের এখনো এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা আছে। এই সময় তার আচরণের ওপর নির্ভর করছে শাস্তি বাড়বে কি না। সবচেয়ে বড় কথা, গায়ে কালো দাগ একটা লেগেই গেছে। সেটা আর চেষ্টা করলেও ওঠাতে পারবেন না সাকিব। জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করার জন্য যে শাস্তি পেতে হয়েছে, তাতে সতীর্থদের প্রতিক্রিয়া নিয়েও সাকিব সচেতন। ড্রেসিংরুমে যে খানিকটা অস্বস্তি থাকতে পারে, সেটা তাই স্বীকার করে নিয়েছেন, ‘আসলে প্রশ্নটা একটু ডিফিকাল্ট। কার মনের ভেতরে কী আছে সেটা তো বলা কঠিন। সন্দেহ থাকতেই পারে, অবিশ্বাস থাকতে পারে। সেটা তো আমি কখনো অস্বীকার করিনি।এর ভেতর আমার সাথে অনেকের কথা হয়েছে, যোগাযোগ ছিল, আলাদা করে ওরকম কিছু টের পাইনি। আশা করছি, ওই জায়গায় খুব বেশি সমস্যা হবে না। আগে যেভাবে বিশ্বাস করত, এখনো সেভাবে করবে বলে মনে করি।’

    এরপর সাকিব আবারও স্বীকার করেছেন, খানিকটা অস্বস্তি থাকতে পারে, ‘অবিশ্বাস আসলে করতে পারে, এখানে অস্বীকার করার কিছু নেই। মনের কোনায় আফসোস জাগতে পারে, সেখানে আফসোসের কিছু নেই। ঘটনাটাই আসলে এরকম। তবে আমার ধারণা, আমার প্রতি সবার আগে যে বিশ্বাস ছিল, এখনো তাই থাকবে।’

    গোপন করার এই ভুল থেকে সাকিব শিক্ষা নিয়েছেন, সেটা বলেছেন অনেক বার। এবারও বললেন, সামনের কোনো বিতর্কে আর জড়াতে চান না, ‘আমি মনে করি বিতর্কে কেউই জড়াতে চায় না। সবাই চায় সচেতন থাকতে। সামনে আমি আরও সতর্ক থাকার চেষ্টা করব যেন একদমই বিতর্ক না হয়।’

    সব মিলে নিষেধাজ্ঞার সময়টা সাকিবের জন্য কঠিন ছিল বলে বলেই করেন, ‘আমার তো মনে হয় খুবই চ্যালেঞ্জিং। অনেক দিন ধরেই তদন্ত চলছিল। স্বাভাবিকভাবেই আমার জন্য অস্বস্তিকর ছিল, এটা ভালো কিছু না যেটা মাথায় রেখে আমি ঘুমাতে চাইবেন। আমি জানতাম, কিছু একটা হতে পার। আবার ভেবেছি, নাও হতে পারে। কারণ বুঝতে পারছিলাম না, কী ধরনের ফল আসছে। তবে এটা ঠিক, তদন্তের সময়টা আমার জন্য উপভোগ্য ছিল না।’  

    সবকিছু কাটিয়ে সাকিব তাকাচ্ছেন সামনের দিকে। দেশে পৌঁছানোর কথা আজ, বিসিবির কর্পোরেট টি-টোয়েন্টির আগে শনিবার ফিটনেস টেস্টও দেওয়ার কথা।