মেসির ফেরার দিনে কাদিজের কাছে হেরে আরও পিছিয়ে পড়ল বার্সা
তিন ম্যাচ জিতে একটু স্বস্তি পেতে শুরু করেছিলেন রোনাল্ড কোমান। কিন্তু বার্সেলোনার কোচের গলায় আরও একবার কাঁটা হয়ে ঢুকল নবাগত কাদিজ। এবার বার্সা হেরে গেছে ২-১ গোলে, শিরোপাদৌড় থেকে পিছিয়ে পড়েছে আরও।
লিওনেল মেসি একাদশে ফিরেছিলেন বিশ্রাম শেষে, সেরে উঠে ফিরেছিলেন কুতিনিও-ও। কিন্তু বার্সাকে উদ্দীপ্ত করার মতো কিছু করতে পারেননি কেউ। রক্ষণের ভুলেরই মাশুল দিতে হয়েছে বার্সাকে। প্রথম গোলটা ছিল অস্কার মিনগুয়েজার ভুলের ফসল। কর্নার থেকে ট্যাপ ইন করে কাদিজকে এগিয়ে দেন আলভারো হিমেনেজ। এই গোলটাই জাগিয়ে তোলে বার্সাকে, কিন্তু মার্টিন ব্রাথওয়াইট কাছাকাছি যাওয়ার পরেও প্রথমার্ধে আর কাদিজের জালে গোল দিতে পারেনি বার্সা।
দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নামেন ত্রিনকাও, আর কুতিনিওর জায়গায় নামেন দেম্বেলে। তাতে একটু ধার ফেরে বার্সার খেলায়। শেষ পর্যন্ত গোলটাও ৫৭ মিনিটে। মেসির পাস থেকে আলবা বল পেয়েছিলেন। কঠিন অ্যাঙ্গেল থেকে নেওয়া শটটা কাদিজের পেদ্রো আলসালার পায়ে লেগে দিকবদল করে ঢুকে যায় জালে। আত্মঘাতী গোল হিসেবেই লেখা হয়েছে সেটি।
কিন্তু সেই স্বস্তির রেশ বেশিক্ষণ টেকেনি বার্সার। পাঁচ মিনিট পরেই একটা থ্রো ইন থেকে গোলরক্ষক টের স্টেগান ও ডিফেন্ডার ক্লেমেন্ত লেংলের ভুল বোঝাবুঝিতে বল পেয়ে যান কাদিজের আলভারো নেগ্রেদো। ট্যাপ ইন করে দ্বিতীয় দফায় দলকে এগিয়ে দেন। এরপর কাদিজ রক্ষণ আর সেভাবে সুযোগ দেয়নি বার্সাকে। মেসি দুইটি সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু গোল আর হয়নি। ম্যাচটা তাই হেরেই গেছে বার্সা।
১৯৯১ সালের পর এই প্রথম বার্সাকে হারাল কাদিজ। তবে ফর্মের হিসেবে ফলটা খুব চমক নয়, এই মৌসুমে যে এর আগে রিয়াল মাদ্রিদকেও হারিয়েছে কাদিজ। সব মিলে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার আশাও জিইয়ে রেখেছে। ওদিকে বার্সা ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে সাতে, শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকোর চেয়ে ১২ পয়েন্ট পেছনে। টানা চারটি অ্যাওয়ে ম্যাচে জয়হীন রইল বার্সা, কোমানের কপালে চিন্তার ভাজ তাই আরও বড় হচ্ছে।