অ্যাটলেটিকোকে রিয়াল দেখাল, কেন তারা লা লিগা চ্যাম্পিয়ন
উড়তে উড়তে ডি স্টেফানো স্টেডিয়ামে এসেছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। লিগে নিজেদের সর্বশেষ হার সেই ২৬ ম্যাচ আগে, আর এবারের লিগে তো দশটির মধ্যে আটটি জিতে এখনও সবার ওপরেই। কিন্তু নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঠে এসেই মুখ থুবড়ে পড়ল, ম্যাচটা হেরে গেল ২-০ গোলে। রিয়াল মাদ্রিদ আরও একবার দেখাল, কেন তারা লা লিগা চ্যাম্পিয়ন।
জিনেদিন জিদানের ওপর এই সপ্তাহেরও আগে ছিল বিষম চাপ। চ্যাম্পিয়নন্স লিগে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে হলো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। মাদ্রিদ ডার্বির আগে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলেও নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে বেশ পিছিয়ে রিয়াল। শিরোপাস্বপ্ন ভালোমতো টিকিয়ে রাখতে হলে কালকের ম্যাচটা জয় পাওয়ার কোনো বিকল্পই ছিল না। সেই কাজটা কী অনায়াসেই না করল রিয়াল! এখন তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকার তিনে, অ্যাটলেটিকোর সঙ্গে ব্যবধান কমে হয়েছে তিন পয়েন্ট। যদিও সিমিওনের দল একটা ম্যাচ কম খেলেছে, তবে কালকের হারটা অ্যাটলেটিকোর জন্য অশনী সংকেত হিসেবে দেখতে পারেন সিমিওনে।
ম্যাচের শুরু থেকেই রিয়াল জানান দিয়েছে, তারা প্রতিপক্ষকে গুড়িয়ে দিতে যায়। শুরুতেই করিম বেনজেমার শট গোল হয়েই যেত, কিন্তু অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষক অবলাকের দুর্দান্ত সেভে সেটা আর পাওয়া হয়নি। তবে প্রথম গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি রিয়ালকে। ১৫ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে কাসেমিরো এগিয়ে দেন দলকে।
গোল খাওয়ার পর অ্যাটলেটিকোকে আরও চেপে ধরে রিয়াল। প্রথমার্ধে সিমিওনের দল কোনো সুযোগই পায়নি। মরিয়া সিমিওনে দ্বিতীয়ার্ধে তাই তিনটি পরিবর্তন করেন। তাতে অবশ্য কিছুটা দেয়, খানিকটা গুছিয়ে খেলায় ফেলার চেষ্টা করে অ্যাটলেটিকো। মার্কোস লরেন্তের লো ক্রস থেকে টমাস লেমার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও সাইডনেটে লাগালে সমতা ফেরানো হয়নি অ্যাটলেটিকোর। সেই শাস্তিটা তাদের খানিক পরেই দিয়েছে রিয়াল। ৬৪ মিনিটে চোট থেকে ফেরা রাইটব্যাক দানি কারভাহাল প্রতিআক্রমণের পর দুর্দান্ত এক শট নেন। সেটি পোস্টে লাগার পর অবলাকের গায়ে লেগে ঢুকে যায় জালে। এরপর রিয়াল গোলরক্ষক কোর্তোয়াকে একবারই দিতে হয়েছে বড় পরীক্ষা, সল নিগেজের হেডটা সেভ করেছেন তিনি। মাচে রিয়ালের গোলে ওই একটাই শট সিমিওনের দলের।