অ্যাটলেটিকো-সোসিয়েদাদকে ছুঁয়ে রিয়ালের চারে চার
দুঃসময়টা পেছনে ফেলে এখন এগিয়েই চলছে রিয়াল মাদ্রিদ। কাল অ্যাথলেটিক বিলবাওকে হারিয়েছে ৩-১ গোলে, সব প্রতিযোগিতা মিলে জয় পেয়েছে টানা চার ম্যাচে। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে এখন শীর্ষে থাকা সোসিয়েদাদ ও অ্যাটলেটিকোর সমান পয়েন্টের রিয়ালের। যদিও অ্যাটলেটিকো রিয়াল ও সোসিয়েদাদের চেয়ে দুই ম্যাচ কম খেলেছে।
সেভিয়া, মনশেনগ্লাডবাখকে হারানোর পর জিদানের জন্য তৃপ্তি হয়ে এসেছে ডার্বিতে অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে জয়। কাল বিলবাওকে রিয়াল দেখাল, তারা ঠিক পথেই আছে। কাল একাদশে একটা পরিবর্তন এনেছিলেন জিদান, সাসপেনশনে থাকা কাসেমিরোর জায়গায় নামিয়েছেন চোট কাটিয়ে ফেরা মিডফিল্ডার ফেদেরিকো ভালভার্দেকে। ১৩ মিনিটের মধ্যেই অবশ্য ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা গড়া হয়ে যায়। দুইটি হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বিলবাওয়ের রাউল গার্সিয়া। প্রথম গোলটা পাওয়ার জন্য প্রথমার্ধের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদকে। দারুণ একটা স্ট্রাইকে স্নাইপার টনি ক্রুস গোল করে এগিয়ে দেন দলকে।
বিলবাও অবশ্য দশ জন নিয়েই চেষ্টা করে যাচ্ছিল, প্রথমার্ধে কিছু সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। ৫২ মিনিটেই সমতা ফেরায় তারা। আন্দের কাপার শটটা কোর্তোয়ার হাত ফসকে বেরিয়ে গেলে রিবাউন্ড থেকে কাপাই শট করে গোল করেন, সমতায় ফেরান দলকে। ৭৪ মিনিটে হেড করে দলকে এগিয়ে দেন এই মৌসুমে লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা করিম বেনজেমা। এরপর বিলবাও সমতা ফেরানোর চেষ্টা করেছিল, তবে দারুণ এক সেভে চেষ্টা রুখে দেন কোর্তোয়া। যোগ করা সময়ে আরেকটি গোল করে বেনজেমা নিশ্চিত করেন দলের জয়।
ম্যাচ শেষে জিদান তাই বললেন, বেনজেমাই তার মতে ফ্রান্সের সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকার, ‘হ্যাঁ, আমার মনে হয় এটা নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। ওর গোল, ট্রফি দেখলেই এটা বোঝা যায়। হ্যাঁ, সেই সেরা।আজ সে খুব ভালো খেল্পতে পারেনি কিন্তু দুই গোল করেছে। আর গোল করার চেয়েও বড় ব্যাপার, তার পাসিং, লিংক আপ প্লে এসব। নাম্বার নাইনের চেয়েও পরিপূর্ণ একজন ফুটবলার হয়ে উঠছে সে, এটাই আমি চেয়েছিলাম।’