এলচের সঙ্গে ড্র করে সাতে সাত হলো না রিয়ালের
চ্যাম্পিয়নস লিগের সেই ঘুরে দাঁড়ানোর পর থেকে সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল রিয়াল মাদ্রিদের। কিন্তু বছরের শেষ দিনে এসে হোঁচট খেতে হলো আবার। এলচের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে রিয়াল, তার আগে গেতাফেকে ১-০ গোলে হারিয়ে শীর্ষে নিজেদের অবস্থানটা আরও জোরালো করেছে অ্যাটলেটিকো।
লা লিগায় কাল নিজেদের কাজটা আগেই সেরে রেখেছিল অ্যাটলেটিকো। লুইস সুয়ারেজের একমাত্র গোলে ডিয়েগ সিমিওনে জয় পেয়েছেন অ্যাটলেটিকোর হয়ে তার ৫০০ত ম্যাচ। এলচের বিপক্ষে মাঠে নামার সময়েই রিয়াল জেনেছিল, জয়ের বিকল্প নেই। প্রথমার্ধে সেই ইচ্ছার কমতি ছিল না তাদের।
ম্যাচের শুরু থেকেই এলচেকে চেপে ধরে রিয়াল। ২০ মিনিটে পেয়ে যায় গোলটা। মার্কো আসেনসিওর দূর থেকে গোলার মতো শট বার কাঁপিয়ে ফিরে আসে। ঠিক জায়গায় ছিলেন লুকা মদ্রিচ, ফিরতি বলটা জড়িয়ে দেন জালে। প্রথমার্ধে তেঁড়েফুঁড়েই খেলছিল রিয়াল। গোলের আগে টনি ক্রুস ফ্রি হেডার মিস করেছেন, মার্সেলোর শট ফিরে এসেছে পোস্টে লেগে। পেনাল্টিও পেয়েছিল রিয়াল, কিন্তু ভিএআরের পর সেটা বাতিল হয়ে যায়।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে এলচে গুছিয়ে আনার চেষ্টা করে। রিয়ালও যেন এই সময় খানিকটা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সেই সুযোগটা নিয়েছে এলচে। ৫২ মিনিটে দানি কারভাহাল বক্সের ভেতর ফাউল করলে পেনাল্টি পেয়ে যায় এলচে। যদিও পেনাল্টি নিয়ে ম্যাচ শেষে নিজেদের আপত্তির কথা বলেছে রিয়াল। সেখান থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ফিদেল। এরপর রিয়াল চেষ্টা করেছিল, কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন এলচে গোলরক্ষক। কারভাহাল আর রামোসের চেষ্টা দুইটি ঠেকিয়ে দিয়েছেন দারুণভাবে। সুযোগ পেয়েহচিল এলচেও, কিন্তু পোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আর ম্যাচের একদম শেষ দিকে কোর্তোয়া ঠেকিয়ে দিয়েছেন ফ্রিকিক।
টানা ছয় ম্যাচের জয়যাত্রা কাল থেমে গেল রিয়ালের। এই ড্রয়ের পর এখন ১৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩৩, ১৪ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে অনেকটা এগিয়ে থেকেই নতুন বছর শুরু করবে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো। রিয়ালের জন্য কাল একটাই স্বস্তি, চোট কাটিয়ে আবার দলে ফিরেছেন এডেন হ্যাজার্ড।