বদলি হিসেবে নেমে পিছিয়ে পড়া বার্সাকে উদ্ধার করলেন মেসি
একাদশ ঘোষণা করার পরেই অনেকের কপাল হয়তো কুঁচকে গিয়েছিল, লিওনেল মেসি আর ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ং প্রথম একাদশেই নেই! রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত যখন পিছিয়ে বার্সেলোনা, মেসিকে নামানো ছাড়া উপায় ছিল না রোনাল্ড কোমানের। নামার পরেই জাদুমন্ত্রের মতো ম্যাচটা বদলে দিলেন মেসি। প্রথমে একটা গোল করলেন, আর পরের দুই গোলে রাখলেন সরাসরি অবদান। ৩-২ গোলের জয়ে বার্সা উঠে এলো পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে।
পরের সপ্তাহেই সেভিয়ার বিপক্ষে কোপা দেল রের ম্যাচ, সেজন্যই বোধ হয় মেসিদের বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোমান। কিন্ত ১২ মিনিটেই রোনাল্ড আরাউহো চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে উঠে যান, কোমান ডি ইয়ংকে নামিয়ে দেন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিসেবে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি শুরুতে, ৩৮ মিনিটে বোরহা ইগলেসিয়াসের গোলে এগিয়ে যায় বেতিস।
দ্বিতীয়ার্ধে শেষ পর্যন্ত ৫৬ মিনিটে মেসিকে নামান কোমান। দুই মিনিটের মধ্যে বাঁ পায়ের ট্রেডমার্ক শটে গোল করে সমতায় ফেরান মেসি। ৬৮ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সা। এবার মেসির পাস থেকে আলবার ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল জালে জড়িয়েদেন ভিক্টর রুইজ। কিছুক্ষণ পরেই রুইজ শুধরে নেন ভুলটা, এবার নাবিল ফেকিরের ফ্রিকিক থেকে হেডে গোল করে সমতায় ফেরান।
তবে নাটকের আরও বকি ছিল। ম্যাচ যখন শেষের দিকে, বেতিসের অর্ধে বল পেয়ে যান মেসি। তার ক্রসটা ক্লিয়ার করেছিলেন বেতিসের ডিফেন্ডার, কিন্তু সেটা বক্সের মাথায় পেয়ে যান পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ত্রিনকাও। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাঁ পায়ের বুলেট শটে বল জালে জড়িয়ে দেন। বার্সার হয়ে এটাই তার প্রথম গোল। পর পর দুই ম্যাচে বার্সা পিছিয়ে পড়ার পর পেয়েছে জয়। আর সর্বশেষ ছয়টি লা লিগার ম্যাচেই জিতেছে বার্সা।
এই জয়ে ২১ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে বার্সা। ১৯ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে অ্যাটলেটিকো।