পরের বছর পর্যন্ত পেছাতে পারে বিপিএল, মার্চে এনসিএল, মে-তে প্রিমিয়ার লিগ
বিপিএলের জন্য এ বছর দুটি আলাদা ‘উইন্ডো’র ভাবনা বিসিবির কাছে থাকলেও সেটা পিছিয়ে সামনের বছর জানুয়ারিতে যেতে পারে। সঙ্গে মার্চে শুরু হতে পারে জাতীয় লিগ, আর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ মে মাসে। রবিবার সাংবাদিকদের এসব বলেছেন বিসিবির ডিরেক্টর ও বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সেক্রেটারি ইসমাইল হায়দার মল্লিক।
বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক সিস্টেমে শেষ হয়েছিল ২০১৮-১৯ মৌসুমে। এরপর নিয়মিত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির সঙ্গে লভ্যাংশ শেয়ারিং মডেল নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় ২০১৯ সালে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় স্পন্সর জোগাড় করে বঙ্গবন্ধু বিপিএল নামে টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল বিসিবি। গত বছর বিপিএল হয়নি কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে, সেবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ নামে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল বিসিবি।
কোভিড-১৯ মহামারির মাঝেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচিতে ব্যস্ততা বাড়ছে বাংলাদেশের। এ পরিস্থিতিতে বিপিএল সামনের বছর জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মল্লিক, “বিপিএল হচ্ছে কি হচ্ছে না সেটা আমরা আমাদের সূচি দেখে বলতে পারবো। দুইটা উইন্ডো খোলা আছে। একটা নভেম্বরে। ওই সময়ে আবার পাকিস্তানে যাওয়ার কথা আছে (এফটিপি অনুযায়ী, পাকিস্তান আসবে বাংলাদেশে)। আবার ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড আসার কথা খুব সম্ভবত (এফটিপি অনুযায়ী, বাংলাদেশ যাবে নিউজিল্যান্ডে)। সেখানে বিপিএল পিছিয়ে জানুয়ারিতে হতে পারে।”
বিপিএলের বাইরে গত বছরের মার্চে এক রাউন্ড পর স্থগিত হয়ে গিয়েছিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, আর জাতীয় লিগ শেষ হয়েছে ২০১৯ সালে। সেসবের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে মল্লিক বলেছেন, “আমরা ক্রিকেট ক্যালেন্ডার নিয়ে দুদিন মিটিং করেছি। আমাদের জাতীয় দলের যে ব্যস্ত সূচি। এর ফাঁকে ফাঁকে ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি সাজাতে হচ্ছে। এর মধ্যে আমাদের ঢাকা লিগ আছে। জাতীয় লিগ এবং বিসিএল ও বিপিএল আছে। এখন পর্যন্ত ক্যালেন্ডার চূড়ান্ত হয়নি। এখন পর্যন্ত প্রাথমিক সিদ্ধান্ত মার্চে এনসিএল এবং মে মাসে ঢাকা লিগ শুরু করবো। সব কয়টি আলোচনার (পর চূড়ান্ত) সিদ্ধান্ত হবে।”
জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যাতে বিপিএলে অংশ নিতে পারেন, সে অনুযায়ী সাজানো হচ্ছে ক্রিকেট ক্যালেন্ডার, জানিয়েছেন মল্লিক, “দেখুন ক্যালেন্ডার মিটিংয়ে আমরা পাঁচ বছরের জন্য ক্যালেন্ডার ঠিক করছি। সেখানে এসব কথা এসেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের যে পরিমাণে ব্যস্ত সফর ও সিরিজ আছে ভবিষ্যতে অনেক সময়ই জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা এনসিএল, বিসিএল বা ঢাকা লিগে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আমরা চেষ্টা করবো বিপিএলে যেন জাতীয় দলের সব ক্রিকেটার আছে (থাকে)।”