• জাতীয় ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    রেকর্ডময় ম্যাচে ১৫১ রান করেও ইনিংস ব্যবধানে বরিশালকে হারাল রাজশাহী

    রেকর্ডময় ম্যাচে ১৫১ রান করেও ইনিংস ব্যবধানে বরিশালকে হারাল রাজশাহী    

    ২য় রাউন্ড, ২য় স্তর, বিকেএসপি (টস- বরিশাল/ব্যাটিং)
    বরিশাল ১ম ইনিংস ৮২ (সানজামুল ৪/১৮, তাইজুল ৪/৩৯) ও ৬০ (সানজামুল ৬/১৫, তাইজুল ৪/২৩) 
    রাজশাহী ১ম ইনিংস ১৫১ (জুনাইদ ৪৩, তানজিদ ৩৬, সোহাগ ৬/৬৫)
    রাজশাহী ইনিংস ও ৯ রানে জয়ী 


    চার সেশন, ১১২.২ ওভার-- বিকেএসপিতে বরিশালকে হারাতে এতটুকুই লেগেছে রাজশাহীর। প্রথম ইনিংসে ১৫১ রান করেও তারা জিতেছে ইনিংস ব্যবধানে!

    ১ম ইনিংসে ৮২ রানে অল-আউট হয়েছিল বরিশাল, নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল সেটি। তবে সে রেকর্ড তারা ভেঙেছে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসেই, মাত্র ৬০ রানেই গুটিয়ে গিয়ে। রাজশাহীর দুই বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম মিলে নিয়েছেন ১৮ উইকেট। বাংলাদেশের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণিতে এটি এখন রানের হিসেবে দুই দল মিলিয়ে সর্বনিম্ন স্কোরের সম্পন্ন হওয়া ম্যাচ। ওভারের হিসেবে এর চেয়ে স্বল্পস্থায়ী ম্যাচ আছে আর একটি, ২০১১ সালে চট্টগ্রামের বিপক্ষে রাজশাহীর জেতা ম্যাচ টিকেছিল ১১১.১ ওভার।

    টসে জিতে আগে ব্যাটিং করা বরিশাল প্রথম ইনিংসে উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। শুরুটা করেছিলেন পেসার মোহর শেখ, বাড়তি বাউন্সের বলে সৈকত আলি গালিতে ক্যাচ দেওয়ার পর ফজলে রাব্বি হয়েছিলেন এলবিডব্লিউ। মইনুল ইসলাম এরপর তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন সানজামুল ইসলামের বলে, বরিশাল সেই যে পা হড়কেছে, আর দাঁড়াতে পারেনি। প্রথম দিন লাঞ্চের আগেই গুটিয়ে গেছে তারা। যথাক্রমে ১৮ ও ৩৯ রানে ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন সানজামুল ও তাইজুল। 

    প্রথম ইনিংসে ওপেনিংয়েই ৫১ রানের জুটি গড়েছিলেন রাজশাহীর তানজিদ ইসলাম তামিম ও জহুরুল হক। এরপর সোহাগ গাজির তোপে ধস নেমেছিল তাদের ইনিংসেও, ৩৫ রানের ব্যবধানে তারা হারিয়েছিল প্রথম ৮ উইকেট। একদিকে টিকে ছিলেন তিনে নামা জুনাইদ সিদ্দিক, নবম উইকেটে গিয়ে তাইজুল ইসলামের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৬২ রানের। জুনাইদ শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রান-আউট হওয়ার আগে করেছেন ৪৩ রান। আর দশে নেমে ৪২ বলে ৩৭ রান করেছেন তাইজুল, মূলত সেটির কারণে সানজামুলের চেয়ে কম উইকেট পেয়েও শেষ পর্যন্ত ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনিই। সোহাগ ৬ উইকেট নিয়েছেন ৬৫ রানে। 

    প্রথম ইনিংসে রাজশাহীর ৬৯ রানের লিড বরিশাল প্রায় টপকে গিয়েছিল এরপর, একসময় তাদের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৫৩ রান। সেখান থেকে নাটকীয় ধস নেমেছে তাদের ইনিংসে, ৭ রানে শেষ ৮ উইকেট হারিয়েছে তারা, শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে ১ রানের ব্যবধানে। দ্বিতীয় ইনিংসে সানজামুল ৬ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১৬ রানে, ফলে ৩৩ রানে ১০ উইকেট নিয়েছেন তিনি ম্যাচে। 

    দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশালের ৬০ রান বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণিতে চতুর্থ সর্বনিম্ন স্কোর, তবে দুই ইনিংস মিলিয়ে তাদের ১৪২ রান ম্যাচে কোনো দলের সর্বনিম্ন। এর আগে ২০০৯ সালে জিম্বাবুইয়ানসের বিপক্ষে বগুড়ায় ম্যাচে ১৬৭ রান করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাডেমি।