• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি ২০২১
  • " />

     

    সুযোগ পেয়েও মুশফিক ও আবাহনীকে আটকাতে পারলো না ব্রাদার্স

    সুযোগ পেয়েও মুশফিক ও আবাহনীকে আটকাতে পারলো না ব্রাদার্স    

    ব্রাদার্স ইউনিয়ন ১০১/৫, ১১ (১১) ওভার (জাহিদুজ্জামান ২৫*, আলাউদ্দিন ২৫*, মিজানুর ২০, জুনাইদ ২০, সাকিব ৩/৯, আরাফাত সানি ২/৫)
    আবাহনী লিমিটেড ১০২/১, ৯.৫ (১১) ওভার (মুশফিক ৩৭*, নাইম ৩৬*, মুনিম ২৫, হাবিবুর ১/১৯) 
    আবাহনী ৯ উইকেটে জয়ী 


    জাহিদুজ্জামানের সঙ্গে আলাউদ্দিন বাবুর শেষদিকের ঝড়ে আবাহনীর বিপক্ষে বেশ ভাল একটা সংগ্রহ পেয়েছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। তবে সেই বাবুই ফিল্ডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ফেললেন মুশফিকুর রহিমের লোপ্পা ক্যাচ, আবাহনীকেও আর আটকাতে পারলো না ব্রাদার্স। ১১ ওভারের ম্যাচে ব্রাদার্সের ১০২ রানের লক্ষ্য আবাহনী ছুঁয়ে ফেলেছে ৭ বল বাকি থাকতেই। এ জয়ে লিগের প্রথম তিন ম্যাচের সবকটিতেই জিতল আবাহনী, প্রাইম দোলেশ্বরকে টপকে টেবিলের শীর্ষেও উঠে গেছে তারা। 

    বেশ জোরালো বৃষ্টি থামার পর ম্যাচ নেমে এসেছিল ১১ ওভারে, সেখানে ওপেনিংয়ে জুনাইদ সিদ্দিক ও মিজানুর রহমানের মোটামুটি শুরুর পর আরাফাত সানি এবং সিনিয়র লেভেলে টি-টোয়েন্টি অভিষেক করা তানজিম হাসান সাকিবের তোপে পড়েছিল ব্রাদার্স। ৫ম ওভারে প্রথম বোলিং করতে এসে নিজের তৃতীয় বলেই সফল হয়েছেন সাকিব, যদিও তার ফুলটসটার ফল ১৪ বলে ২০ রান করা মিজানুরের উইকেটের বদলে হতে পারত অন্যকিছু।



    পরের ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়েছেন আরাফাত সানি- প্রথমে মাইশুকুর রহমান হয়েছেন সুইপ করতে গিয়ে কট-বিহাইন্ড, এরপর সোজা হওয়া বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন রাহাতুল ফেরদৌস। নিজের দ্বিতীয় ওভারে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন সাকিবও, ২৩ বলে ২০ রান করা জুনাইদ সিদ্দিক ও ৭ বলে ৪ রান করা হাবিবুর রহমানের দুজনই তাকে তুলে মারতে গিয়ে দিয়েছেন ক্যাচ। 

    ৮ ওভার শেষে ব্রাদার্সের স্কোর ছিল ৫১, সেই তারাই শেষ ৩ ওভারে তুলেছে ৫০ রান। তাইজুল ইসলামকে দুই ছয়ে সে ঝড় শুরু করেছিলেন বাবু, এর মাঝে প্রথমটি গিয়েছিল লেগ-সাইডে শের-ই-বাংলার ইস্টার্ন গ্যালারিতে। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনকেও গ্যালারিতে পাঠিয়েছেন তিনি, এবার টেনে মারা শটটা গেছে গ্র্যান্ড-স্ট্যান্ডে। অবশ্য একজন বোলারকে ৩ ওভার করানোর ক্ষেত্রে সাকিবের বদলে সাইফউদ্দিনকে বেছে নেওয়ার মুশফিকের সিদ্ধান্তটাও হয়েছে বুমেরাং। শেষ ওভারে এসেছিলেন ততক্ষণে একমাত্র ওভারে ১৫ রান দেওয়া মেহেদি হাসান রানা, বাবু ততক্ষণে নন-স্ট্রাইকে থাকলেও ঝড় থামেনি ব্রাদার্সের। সে ওভারে জাহিদুজ্জামান মেরেছেন দুটি করে চার ও ছয়, একটি শর্ট বলে আম্পায়ার ওয়াইড দিলে রানা হয়তো দিতেন ২২ রানেরও বেশি। 

    এরপর রানতাড়ায় আবাহনী লক্ষ্য ছিল পরিষ্কার, দুই ওপেনার নাইম শেখ ও মুমিন শাহরিয়ারও খেলেছেন সেভাবেই। ১২ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ২৫ রান করে হাবিবুরের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন মুনিম, চতুর্থ ওভারে প্রথম ব্রেকথ্রু পেয়েছে ব্রাদার্স। পরের ৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নাইম-মুশফিককেও আটকে রেখেছিলেন তারা। 

    ১৭ রানে সুজন হাওলাদারের বাইরের বল স্লগ করতে গিয়ে মিড-উইকেটে ক্যাচ তুলেছিলেন মুশফিক, বাবু সেটি ফেলে দিয়েছেন। মুশফিককেও আর থামাতে পারেনি ব্রাদার্স, পরের ওভারে বাবুকেই দুই চার, এবং এরপর মানিক খানকে তিন চার মেরে খেলা শেষ করেছেন আবাহনী অধিনায়ক, যিনি এদিন অপরাজিত ছিলেন ২১ বলে ৩৭ রানে। অন্যদিকে নাইম ২৬ বলে করেছেন ৩৬, একটি করে চার-ছয়ে। 

    অভিষেকে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাকিব।