• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    ইউরোপে অঘটন আর রোমাঞ্চের রাত

    ইউরোপে অঘটন আর রোমাঞ্চের রাত    

    ফলাফলঃ  চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল (১ম লেগ):

    উলফসবুর্গ ২-০ রিয়াল মাদ্রিদ

    পিএসজি ২-২ ম্যানচেস্টার সিটি


    ম্যাচ শুরুর আগে যদি ফলাফল অনুমান করতে বলা হতো, এই দুই ফলের একটিও খুব কম লোকই বলতেন। পিএসজির মাঠে গিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির ২-২ গোলে ড্র করে আসাকে যদি অঘটন বলতে হয়, তাহলে উলফসবুর্গের মাঠে গিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের ২-০ গোলে হেরে আসাটা বলতে হবে মহা অঘটন।

     

    রিয়ালের ম্যাচটার কথাই ধরুন। বুন্দেসলিগায় এই মুহূর্তে আটে আছে উলফসবুর্গ, গত তিন ম্যাচে করতে পেরেছিল মাত্র একটি গোল। তারাই কিনা প্রথম ২৫ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে এগিয়ে! রিকার্ডো রদ্রিগেজের পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান ম্যাক্সিমিলিয়ান আরনল্ড। এর পর রিয়াল অনেক চেষ্টা করেও একটা গোল করতে পারেনি। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা-র মতো চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন করিম বেনজেমা। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও নিজেকে দুষতে পারেন, অন্তত দুইটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন। তবে রিয়ালের জন্য আশার ব্যাপার হচ্ছে, প্রথম লেগ দুই গোলে এর আগে তিনবার হেরেছিল রিয়াল। দুইবারই তারা পরের পর্বে যেতে পেরেছিল। আর পরের লেগটিও নিজেদের মাঠে হওয়ায় কিছুটা সুবিধা তো পাবেই রিয়াল। 

     

    পিএসজি-সিটি ম্যাচটাও কম বিস্ময় উপহার দেয়নি। নিজেদের মাঠে ১৪ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল পিএসজি। কিন্তু ইব্রাহিমোভিচের পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন জো হার্ট। ৩৮ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনের গোলে এগিয়ে যায় সিটি। কিন্তু সমতা ফেরাতে মাত্র তিন মিনিট সময় নিয়েছে পিএসজি। সেটিও যতটা না ইব্রার গোল, তার চেয়েও অনেক বেশি ফার্নান্দোর ভুল। ম্যান সিটি মিডফিল্ডারের স্কুলপড়ুয়া ছেলেদের মতো হাস্যকর ভুলের সুযোগ নিয়েছেন ইব্রা।

     

     

    ৫৯ মিনিটে কর্নার থেকে আদ্রিয়ান র‍্যাবিওটের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। কিন্তু ৭২ মিনিটে সিটি আবার সমতা ফেরায়, এবার দুর্দান্ত এক গোল করেন ফার্নান্দিনহো। পিএসজির জন্য আশঙ্কা, এর আগে যে তিনবার নিজেদের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করেছিল, প্রতিবারই তারা পরের পর্বে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল। আর সিটি যে দুইবার প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে ২-২ গোলে ড্র করে এসেছিল, প্রতিবারই তারা পরের পর্বে উঠেছিল।