• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    শেষ মুহূর্তের গোলে ইন্টারকে হারাল রিয়াল

    শেষ মুহূর্তের গোলে ইন্টারকে হারাল রিয়াল    

    নির্ধারিত সময়ের খেলা প্রায় শেষের দিকে। এমন সময় দারুণ একটা ওয়ান টুয়ের পর রবক্সের ভেতর এদুয়ার্দ কামাভিঙ্গার পাস, সেখান থেকে বাঁ পায়ের শটে রদ্রিগোর গোল। আর তাতেই ম্যাচের ভাগ্য ঠিক হয়ে গেল, সেই গোলেই ইন্টার মিলানের মাঠে এসে তাদের হারিয়ে দিয়ে গেল রিয়াল মাদ্রিদ। 

    প্রথমার্ধ চলেছে প্রায় সমানতালেই, তবে সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে ছিল ইন্টার মিলান। রিয়ালের ডিফেন্সকে বারকয়েক ভুগিয়েছে তারা ভালোমতোনই। যদিও গোল নিয়ে বিরতিতে যেতে পারেনি সিমোনে ইনজাগির শিষ্যরা। রিয়ালও সেভাবে বলতে গেলে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পেরেছে হাতেগুণে দুয়েকবারই। কাসেমিরোর লং রেঞ্জের শট গেছে সামান্য বাইরে দিয়ে, মিলিতাওরের জোরালো হেডারও তাই। প্রথমার্ধ শেষে স্কোরলাইনে দুদল তাই সমানে সমান। 

    অবশ্য ব্যবধান গড়ার খুব কাছেই গিয়েছিল ইন্টার মিলান। ম্যাচের শুরুতেই দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলো তারা। মার্টিনেজের থ্রু বলে রিয়ালের ডিফেন্স চিরে জেকো শট নিয়েছেন, কর্তোয়া সেভ দিয়েছেন সেটি। আরও বারদুয়েক রিয়ালকে বাঁচিয়েছেন বেলজিয়ান এই গোলকিপার। বাঁ পাশ থেকে করা পেরিসিচের ক্রসে মার্টিনেজের মারা সোজা হেড সেভ দিতে খুব কষ্ট হয়নি কর্তোয়ার। আরেকবার এদেন জেকোর শটও তাকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। মার্টিনেজ অবশ্য একটুর জন্য ব্যবধান গড়িয়ে দিয়েছিলেন। ডান পাশ থেকে করা বারেল্লার ক্রসে মাথা লাগিয়েছিলেন, কিন্ত সেটি চলে গেছে সামান্য বাইরে দিয়ে।

    প্রথমার্ধে যেটির অভাব ছিল, সেই গোল পেতে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে দুদল মরিয়া হয়ে। রিয়াল মাদ্রিদ আক্রমণে আরও ধারালো হয়ে উঠলেও গোলের পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিলো না। আক্রমণের সময়ে লেফট উইঙ্গে নাচো উপরে না উঠলেও কারাভাহাল উঠছিলেন বেশ উপরে, মাঝে মধ্যে জায়গা পরিবর্তন করে সেন্ট্রাল পজিশনেও আসছিলেন। একবার বেনজেমার পাস থেকে ডান দিকে একটা সুযোগও পেয়ে যান তিনি। তবে ইন্টার গোলকিপার হান্ডানোভিচ পেরিয়ে বল পাঠাতে পারেননি জালে। 

    অন্যদিকে ইন্টারকে গোলের সবচেয়ে কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে একবার। কর্নারে এদেন জেকোর হেড দারুণ রিফ্লেক্সে কর্তোয়া সেভ দেওয়ার পর সিক্স ইয়ার্ড বক্সের সামনে থাকা স্ক্রিনিয়ারের বলকে গোললাইন অতিক্রম করানোর কাজটাই শুধু বাকি ছিল। কিন্ত ঠিক নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি স্ক্রিনিয়ার, হাঁটুর সামান্য উপরে লেগে যায় বল। এরপর ইন্টার আর ভালো সুযোগ পায়নি। তবে বেশ ভালোভাবে ডিফেন্স সামলিয়ে যাচ্ছিলো তারা। কিন্ত শেষ পর্যন্ত আর তাদের রক্ষা হয়নি, ৮৯ মিনিটে গোল পেয়েই যায় রিয়াল। ডি বক্সের ভেতর বাঁ দিক থেকে কামাভিঙ্গার পাসে বল পেয়ে যান বদলি নামা রদ্রিগো, এরপর বাঁ পায়ের শটটা তার পৌছে যায় জালে। তাতে স্তব্ধতা নেমে আসে ইন্টার শিবিরে। 

    গেলবারের চ্যাম্পিয়ন্স লীগে যে দুবার ইন্টার মুখোমুখি হয়েছিল রিয়ালের, পয়েন্ট নিতে পারেনি একটিও। এবারের শুরুর ম্যাচে পুরো তিন পয়েন্ট নেওয়ার সম্ভাবনাই জাগিয়েছিলো তারা, কিন্ত শেষ মুহুর্তের গোলে তাদের খালি হাতেই ছাড়তে হলো মাঠ।