• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    ইতিহাদে ইতিহাস!

    ইতিহাদে ইতিহাস!    

    বিটলসের 'হেই জুড' গানের তালে সুর মেলাচ্ছে তখন পুরো ইতিহাদ স্টেডিয়াম। একটু আগে পেনাল্টি মিস করা আগুয়েরোও ভুলে গেলেন নিজের ব্যর্থতা। ডি ব্রুইনের চোখে তৃপ্তির স্পষ্ট ছায়া। জো হার্ট ব্যস্ত সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে। ওদিকে লরা ব্লার সাথে করমর্দনের পর  চিলির বয়ষ্ক লোকের বিকারহীন সেই চেহারা!

    ততক্ষণে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি। পিএসজিকে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হারিয়ে, দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে জিতে ইতিহাদেই ইতিহাস গড়লো পেলেগ্রিনির শিষ্যরা। অথচ মাত্র ক’দিন আগেই পরের মৌসুমে এই দলের ম্যানেজার হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়ে গেছে পেপ গার্দিওলার। অভিযোগটা ছিল ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় সিটিজেনদের অতোটা ভালো করতে না পারা! ম্যানচেস্টার সিটির দুবাই এর মালিকেরা এখন আফসোস করতেই পারেন!

    স্টাডে ডি ফ্রান্সে ২-২ গোলে ড্র করায় ফেভারিট হিসেবেই শুরু করেছিল ম্যান সিটি। শুরুটাও ছিল দুর্দান্ত। মাত্র ৩০ মিনিটের মাথায়ই পেনাল্টি পেয়ে যায় সিটিজেনরা। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেন আগুয়েরো। আর্জেন্টাইনের পেনাল্টি মিসে একটু একটু করে চাপেও পড়তে শুরু করলো সিটি। সিটির ওপর জেঁকে বসার কথা যখন পিএসজির ঠিক তখনই ইনজুরির কারনে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় থিয়াগো মত্তাকে। ভেরাত্তি ছিলেন না। মাতুইদিও খেলতে পারেননি কার্ড জটিলতায়। থিয়াগো মত্তার সাথে পিএসজির বিদায় ঘণ্টাটাও বেজে গিয়েছিল আসলে তখনই।

    দ্বিতীয়ার্ধের ৭৬ মিনিটে ডি ব্রুইন গোল করে সিটিজেনদের আনন্দে ভাসালে, পিএসজির জন্য সমীকরণটা আরও কঠিন হয়ে যায়। এর আগে অবশ্য জোহার্টের বেশ কয়েকটি ভালো সেভ ম্যাচে টিকিয়ে রাখে সিটিকে। এক গোল হজম করে ম্যাচে আর ফিরে আসা হয়নি পিএসজির। হতাশাজনক এক পারফরম্যান্সেই চ্যাম্পিয়ন লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই টানা চতুর্থবারের মতো থেকে বিদায় নিল লরা ব্লার পিএসজি। আর ইংল্যান্ডের একমাত্র ক্লাব হিসেবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি প্রথমবারেই বাজিমাত করলো। চলে গেল সেমিফাইনালে।