• বঙ্গবন্ধু বিপিএল ২০২২
  • " />

     

    কুমিল্লার কাছে সাকিবদের বরিশালের অসহায় আত্মসমর্পণ

    কুমিল্লার কাছে সাকিবদের বরিশালের অসহায় আত্মসমর্পণ    

    কুমিল্লা-বরিশাল, মিরপুর (টস-বরিশাল/বোলিং)
    কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স- ১৫৮/৭, ২০ ওভার ( জয় ৪৮, জানাত ২৯*, মুমিনুল ১৭,  ব্রাভো ৩/৩০, সাকিব ২/২৫, লিনটট ১/১৮)
    ফরচুন বরিশাল- ৯৫, ১৭.৩ ওভার ( শান্ত ৩৬, হৃদয় ১৯, নুরুল ১৭, নাহিদুল ৩/৫, তানভীর ২/১৯, শহিদুল ২/২২)
    ফলাফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৬৩ রানে জয়ী


    আরও একদিন উজ্জ্বল নাহিদুল ইসলাম; মাঠে নেমেই হেসেছে মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাট। ফলশ্রুতিতে কুমিল্লা পেয়েছে বড়। সাকিব আল হাসানের বরিশালের অসহায় আত্মসমর্পণের দিনে ম্যাচের পুরোটা জুড়েই ছিল কুমিল্লা খেলোয়াড়দের দাপট।


    জয়ের দারুণ শুরু

    এদিন প্রথম কুমিল্লার হয়ে নেমেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। নেমেই দিলেন নিজের সক্ষমতার প্রমাণ। সাকিব চেয়েছিলেন স্পিনে কাবু করতে। সাকিবের সেই পরিকল্পনা নস্যাৎ করে শুরু থেকেই নাঈম হাসানের ওপর চড়াও হয়েছেন জয়, সাকিবকে দেখে খেলেছেন, এরপর তাইজুলের খারাপ বলের সুযোগ নিতেও ভুল করেননি। নিয়মিত সিঙ্গেল বের করে নিয়ে রানের চাকা সচল রেখে বোলারদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছেন। ৩৫ বলে ৪৮ রান করে জেক লিনটটের বলে ফেরার আগে জয় তৈরি করে দিয়েছেন কুমিল্লার ইনিংসের ভিত

    করিম জানাতের তুলির শেষ আঁচড়

    জয় সামলেছেন শুরুর স্পিন; করিম জানাত উইকেটে এসে সামলেছেন ব্রাভোদের। উইকেটে আসার পরের ওভারেই সাকিবকে মেরেছিলেন দারুণ ছয়। জিয়াউর-ব্রাভোর শেষ দুই ওভারে তার বদৌলতে এসেছে ২৪ রান। ১৬ বলে ২৯* রানে অপরাজিত থেকে কুমিল্লার স্কোর ১৫০ রানের ওপারে নিয়ে গিয়ে মানসিকভাবেই পিছনে ঠেলে দিয়েছেন বরিশালকে। পরে বল হাতে তৌহিদ হৃদয় ও নাঈম হাসানের উইকেট নিয়ে প্রকৃতার্থেই ব্যাটে- বলে বরিশালের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছেন।  

    নাহিদুল শো

    আগের ম্যাচের পর এই ম্যাচেও ম্যাচ সেরা নাহিদুল। এদিন তার চার ওভারের স্পেলেই কার্যত ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছিল বরিশালের জন্য। বোলিংয়ে ওপেন করতে এসে প্রথম ওভারেই ফেরালেন সৈকত আলীকে, দিলেন উইকেট মেইডেন। পাওয়ারপ্লেতে নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফেরালেন সাকিব আল হাসানকে, গুনলেন মোটে ১ রান। ম্যাচের দশম ওভারে নিজের চার ওভারের কোটা পূর্ণ করতে এসে ফেরালেন ক্রিস গেইলকেও। ওই ওভার শেষে বরিশালের স্কোর বলছিল: ৪৬/৪। আর নাহিদুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ের প্রমাণ ছিল তার বোলিং ফিগারেই: ৪-১-৫-৩! নাহিদুলের স্পেলের সেই ধাক্কা ম্যাচের কোনও পর্যায়েই আর সামলে উঠতে পারেনি বরিশাল। পরে শহিদুল-তানভির-জানাতদের বোলিং নৈপুণ্যে পরিপূর্ণতা পেয়েছে কুমিল্লার দাপুটে এই পারফর্ম্যান্স।