• বঙ্গবন্ধু বিপিএল ২০২২
  • " />

     

    কুমিল্লার প্রথম হার: ঝড়ো মাহমুদউল্লাহ, ‘ইনসাইড এজ’, ‘রান আউট’, রাসেল-এবাদতদের বোলিং তোপ

    কুমিল্লার প্রথম হার: ঝড়ো মাহমুদউল্লাহ, ‘ইনসাইড এজ’, ‘রান আউট’, রাসেল-এবাদতদের বোলিং তোপ    

    কুমিল্লা-ঢাকা (টস-কুমিল্লা/বোলিং)

    মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা- ১৮১/৬, ২০ ওভার (মাহমুদউল্লাহ ৭০*, তামিম ৪৬, তানভীর ৩৬/২) 

    কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স- ১৩১, ১৭.৩ ওভার  (জয় ৪৬, কায়েস ২৮, রাসেল ১৭/৩, কাইস ২৭/২, এবাদত ২১/২)

    ফলাফল- ঢাকা ৫০ রানে জয়ী

     

    চারে চার হলো না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার ১৮২ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁতে গিয়ে ১৩১ রানে গুটিয়ে গেছে দলটি। আন্দ্রে রাসেল-এবাদত হোসেনদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫০ রানের ব্যবধানে চলতি বিপিএলে প্রথম হারের স্বাদ পেল কুমিল্লা। এর আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ পায় ঢাকা। 


     

    মারকুটে 'অধিনায়ক' মাহমুদউল্লাহ


    আজ ঢাকার ব্যাটিং হাইলাইটসে দুজনই। তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তামিমের ব্যাট আজও ওভাবেই ঝলকাচ্ছিল। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। ছন্দ তুলেও আউট হয়েছেন ফিফটির দ্বারপ্রান্তে গিয়ে। মিডল অর্ডারে রাসেল-শুভাগতরাও ব্যর্থ; দায়িত্ব নিতে হলো অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকেই। দলের প্রয়োজনে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান খেললেন আদর্শ টি-টোয়েন্টি ইনিংস।

    শুরুতে রয়েসয়ে খেললেও ইনিংসের দৈর্ঘ্য বাড়ার সাথে সাথে হাত খুলেছেন তিনি। ৩৪ বলে করেছেন ফিফটি। ইনিংসের শেষ ওভারে ঝড় বইয়ে দিয়েছেন করিম জানাতের ওপর। দুই ছক্কায় তুলেছেন ২০ রান। শেষ পাঁচ ওভারে ঢাকা তুলেছে ৬৪ রান, এর মধ্যে ৩৫-ই মাহমুদউল্লাহর।  তার ৪১ বলে ৭০* রানের অধিনায়কোচিত ইনিংসেই ঢাকা পেয়েছে লড়াই করার পুঁজি। চারটি ছক্কার সাথে মেরেছেন তিনটি চার। 

     

    রাসেল, ইনসাইড এজ আর রান আউটেই কুমিল্লার সর্বনাশ

    দল ১৩ রানে দুই উইকেট হারানোর পরও দারুণ খেলছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। মাশরাফির ওভারে মেরেছেন তিনটি চার। অফস্পিনার শুভাগত হোমও পাত্তা পাননি, তাকে মেরেছেন টানা চারটি বাউন্ডারি। কুমিল্লার উড়তে থাকা এই ওপেনার আউট হয়েছেন রাসেলের বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হয়ে। 

    সেই ওভারের প্রথম বলে একইভাবে আউট হয়েছেন কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও। ম্যাচের মোড়টাও ঘুরেছে সেখানেই। দশ ওভার শেষে কুমিল্লার স্কোরবোর্ড বলছিল; ৮২/২। রাসেলের এক ওভারেই পাল্টে গেল চিত্রনাট্য। 

    ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ তো ছিলই। কিন্তু রান আউটে কাটা পড়েছেন কুমিল্লার গত ম্যাচের দুই পারফর্মার, ফাফ ডু প্লেসি ও ক্যামেরন ডেলপোর্ট। জয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে ডু প্লেসি আউট হন ইনিংসের তৃতীয় ওভারে। ডেলপোর্ট ফিরেছেন জানাতের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে। 


    রাসেল-এবাদতদের বোলিং কারিশমা, ৪৯ রানে পড়ল শেষ ছয় উইকেট

    ১৮২ রান টপকাতে উড়ন্ত সূচনার বিকল্প ছিল না কুমিল্লার। তা আর হলো কই?  সেই সম্ভাবনার দুয়ারে খিল আটকে দেন রুবেল হোসেন। ওপেনার লিটন দাস ফিরেছেন প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই। আগের ম্যাচের নায়ক ডু প্লেসিও আজ পারেননি চমক দেখাতে। কায়েসকে নিয়ে হাল ধরেছিলেন ওপেনার জয়। দুজনের ৭০ রানের জুটি ভাঙেন রাসেল। তার জোড়া আঘাতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় কুমিল্লা। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি কুমিল্লা। 

    শেষ ছয় উইকেট পড়েছে মাত্র ৪৯ রানে। মাঝে ধ্বস নামিয়েছেন আফগান লেগ স্পিনার কাইস আহমাদ। আরিফুল আর নাহিদুলকে ফিরিয়েছেন তিনি। এবাদতের দুই শিকার থিতু হতে চাওয়া জানাত ও শহীদুল। শেষ উইকেটটা পেয়েছেন রাসেল।