• বঙ্গবন্ধু বিপিএল ২০২২
  • " />

     

    দাপুটে জয়ে ফাইনালে কুমিল্লা: ‘অলরাউন্ডার’ মঈন, ‘ফ্যান্টাস্টিক’ নারাইন

    দাপুটে জয়ে ফাইনালে কুমিল্লা: ‘অলরাউন্ডার’ মঈন, ‘ফ্যান্টাস্টিক’ নারাইন    

    দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার

    চট্টগ্রাম-কুমিল্লা (টস-চট্টগ্রাম/ব্যাটিং)

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৪৮, ১৯.১ ওভার  (মিরাজ ৪৪, আকবর ৩৩, জাকির ২০, মঈন ২০/৩, শহিদুল ৩৩/৩, মোস্তাফিজ ১৩/১) 

    কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৪৯/৩, ১২.৫ ওভার (নারাইন ৫৭, ডু প্লেসি ৩৩*, মঈন ৩০*, হাওয়েল ১১/১, মৃত্যুঞ্জয় ৩১/১)

    ফলাফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৭ উইকেটে জয়ী

     

    কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে পাত্তাই পেল না চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ব্যাটে-বলে তরুণ চট্টগ্রামকে উড়িয়ে বিপিএলের ফাইনালে উঠেছে অভিজ্ঞ কুমিল্লা। সুনিল নারাইনের দুর্দান্ত ইনিংসে দাপুটে এই জয়ের ভিত পায় কুমিল্লা। ফাফ ডু প্লেসিকে নিয়ে শেষটা স্বাচ্ছ্যন্দে পাড়ি দেন ‘অলরাউন্ডার’ মঈন আলী। চট্টগ্রামের ১৪৯ রানের বেঁধে দেয়া লক্ষ্য ৪৪ বল হাতে রেখেই টপকে যায় কুমিল্লা। 


    'ফ্যান্টাস্টিক' নারাইন

    শুরুতে নেমেই দারুণ সব শটে প্রতিপক্ষের বোলারদের লণ্ডভণ্ড করে দেয়া। সুনিল নারাইনের এমন একটা ইনিংসের অপেক্ষাতেই ছিল কুমিল্লা। আগের ছয় ম্যাচে না পারলেও নারাইন দারুণ এই ইনিংস খেললেন একদম মোক্ষম সময়ে। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে শরীফুল ইসলামকে ছক্কা মেরে শুরু। পরের তিন বলে আরো দুই চার। নারাইনের মারাকাটারি ব্যাটিংয়ে প্রথম ওভারেই আসে ২০ রান।

    দ্বিতীয় ওভারে ঝড় বইয়ে দিয়েছেন মিরাজের ওপর। চট্টগ্রামের আগের ম্যাচের জয়ের নায়ককে নারাইন মেরেছেন তিন ছক্কা আর এক চার। এই ক্যারিবিয়ানের মারকুটে ব্যাটিংয়ে দুই ওভার শেষে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৩। এক ওভার পর আফিফের ভাগেও পড়েছে নারাইনের এক ছক্কা। 

    ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের এই 'মেইকশিফট ওপেনার' মৃত্যুঞ্জয়কে ছক্কা মেরে ছুঁয়েছেন ফিফটি। খেলেছেন মাত্র ১৩ বল। বিপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম ফিফটি এটি।। ১৬ বলে ফিফটি করে এতদিন এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদ। নারাইনের এই ফিফটি সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে যুগ্মভাবে দ্বিতীয়। পাঁচ চার ও ছয় ছক্কায় মাত্র ১৬ বলে ৫৭ রান করেন নারাইন। 


    ‘অলরাউন্ডার’ মঈন

    ব্যাটে বলে সোনায় সোহাগা দিন গেল মঈন আলীর। প্রথম ইনিংসে বল হাতে ২০ রানের খরচায় নিয়েছেন তিন উইকেট। ঘুর্ণি জাদুতে ভেঙে দিয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যাটিং মেরুদণ্ড। একে একে ফিরিয়েছেন জাকির, শামীম ও আফিফকে। 

    ব্যাট হাতেও আলো ছড়িয়েছেন এই ইংলিশ ক্রিকেটার। সুনিল নারাইনের বিস্ফোরক ইনিংসের পর চট্টগ্রাম দেখেছে মঈনের তাণ্ডব। মাত্র ১৩ বলে খেলেছেন ৩০* রানের ইনিংস। টানা দুই ছয় মেরে দলকেও জিতিয়েছেন। 


    মিরাজ-আকবরের দৃঢ়তা 

    চট্টগ্রামের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। উইল জ্যাকস ও জাকির হাসান মিলে তিন ওভারে তুলেছিলেন ৩০ রান। দারুণ সব শটে স্কোরবোর্ডে বড় রানের স্বপ্নই দেখাচ্ছিলেন দুজন মিলে। কিন্তু ভালো শুরুর পরও দুজন আর চালিয়ে যেতে পারেননি।

    শহিদুল-তানভীরের জোড়া আঘাতের পর, স্পিন জাদু নিয়ে হাজির হন মঈন আলী। টানা দুই বলে ফেরান জাকির হাসান ও শামীম হোসেনকে। তার তৃতীয় শিকার আফিফ হোসেন। মঈনের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে আলতো হাতে খেলতে যান আফিফ। উড়ন্ত সেই বল ছুটে এসে তালুবন্দী করেন তানভীর। 

    টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন মিরাজ ও আকবর। ৫০ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর চাপ চট্টগ্রাম সামলে উঠে এই দুজনের ব্যাটে চড়েই। সপ্তম উইকেটে দুজন গড়েছেন ৬১ রানের জুটি। দুজনই ভালো সামলেছেন স্পিনারদের। বিশেষ করে আকবর, ২০ বলে খেলা ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংসের চার বাউন্ডারির তিনটিই মেরেছেন স্পিনারদের। 

    দুজনের গড়ে দেয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ১৯তম ওভারে টানা দুই ছক্কা মারেন মৃত্যুঞ্জয়। সেখান থেকে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৮।