• " />

     

    ফিরেছে ক্লাব ফুটবল: কেমন গেল শীর্ষ পাঁচ লিগের গেমউইক

    ফিরেছে ক্লাব ফুটবল: কেমন গেল শীর্ষ পাঁচ লিগের গেমউইক    

    আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতি শেষে আবারও মাঠে নেমেছে ক্লাব ফুটবল। মৌসুমের শেষ অংশের শুরুটা জমজমাটভাবেই করেছে বড় দলগুলো। ফেরার পর প্রথম গেমউইকেই অনেক কিছু ঘটে গেছে শীর্ষ লিগগুলোয়। গেল সপ্তাহে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোকে নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন-  

    প্রিমিয়ার লিগ: রোববারে নজর সিটি-লিভারপুলের 

    দুই ক্লাবের জন্য এপ্রিলের সবকটি ম্যাচই ফাইনাল। ইন্টারন্যাশনাল ব্রেক শেষে সেরকম রণপ্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামে দু দল। এপ্রিলের প্রথম ম্যাচটা উভয়ের জন্যই অপেক্ষাকৃত সহজ ছিল। অবনমনের অঞ্চলে থাকা দুই দল ওয়াটফোর্ড ও বার্নলির বিপক্ষে নিজেদের সেরা ফুটবল না খেলেও সহজ জয় পেয়েছে লিভারপুল ও সিটি। 

    এই দুই ম্যাচের পর এখন সবার চোখ আগামী রোববারে। যেদিন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিটির মুখোমুখি হবে গত ১০ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট ঘরে তোলা লিভারপুল। ১১তম ম্যাচেও জয় নিয়ে ফিরলে মৌসুমে প্রথমবারের মতো টাইটেল ফেভারিটের তকমা পাবে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। কিন্তু ইতিহাদ স্টেডিয়ামে যে বিনা যুদ্ধে সুচাগ্র মেদিনী দিতে চাইবে না পেপ গার্দিওলা, সেটাও জানা আছে সবার। 

    গত কয়েক মৌসুমে ইংলিশ ফুটবলের সবচেয়ে সফল দুই দলের এই মুখোমুখি লড়াই যেন মৌসুমেরই ফাইনাল। এ ম্যাচকে যে সেরকম গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে, শনিবার সেটিও স্বীকার করলেন দুই ম্যানেজার।

    লা লিগা: সেভিয়াকে টপকে দুইয়ে বার্সা 

    সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে বার্সেলোনা ম্যানেজার জাভি হার্নান্দেজ বলেছিলেন, তার জন্য এই ম্যাচ ফাইনালের মতো। তার শিষ্যরাও এই ম্যাচকে দিয়েছে ফাইনালের মতো গুরুত্বই। প্রেসিং ও আক্রমণাত্মক ফুটবলের মহড়া সাজিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ সবসময়ই নিজেদের কাছে রাখে বার্সা। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দেয় বার্সার বিস্ময়-বালক পেদ্রির কয়েক সেকেন্ডের জাদু। পেদ্রির গোলের পর জাভির আগ্রাসী উদযাপনও নজর কাড়ে সবার।  

    পর পর দুই ম্যাচে দুই স্প্যানিশ পরাশক্তিকে (রিয়াল ও সেভিয়া) হারিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠে গেছে বার্সা। এ নিয়ে ১৪ ম্যাচ ধরে অপরাজিত থাকা জাভির বার্সা যেন কাতালুনিয়ায় এক নতুন সময়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

    লিগ ওয়ান: স্কোরশিটে মেসি-নেইমার-এমবাপে 

    চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়ালের কাছে হেরে বাদ পড়ার পর থেকেই চাপের মধ্যে ছিল এই পিএসজি ত্রয়ী, বিশেষ করে মেসি ও নেইমার। ইন্টারন্যাশনাল ব্রেকটা তাই ঠিক সময়েই এসেছিল তাদের জন্য।

    মাদ্রিদের দুঃস্বপ্ন ভুলে গিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ব্রেক-পরবর্তী জীবন হেসেখেলেই শুরু করেছে পিএসজি। ঘরের মাঠে লরিওঁকে ৫-১ গোলে হারিয়েছে প্যারিস। গোলের খাতায় নাম লিখিয়েছেন মেসি, নেইমার ও এমবাপে।

    প্রথমবারের মতো এই তারকা ত্রয়ীর তিনজনই একই ম্যাচে গোল পেলেন। এদিন বরাবরের মতোই পিএসজির সবচেয়ে উজ্জ্বল তারকা হিসেবে মাঠে উপস্থিত ছিলেন এমবাপে। দুটি গোলের পাশাপাশি তিনটি অ্যাসিস্ট করেন এই ফরাসি বিশ্বকাপজয়ী। জোড়া গোল করেন নেইমারও। ম্যাচের অপর গোলটি করেন মেসি। 

    সিরি আ: বিতর্কিত পেনাল্টিতে ইতালিয়ান ডার্বি ইন্টারের 

    জুভেন্টাস ও ইন্টার মিলানের মধ্যকার ম্যাচকে বলা হয় 'ডার্বি দি ইতালিয়া', বা ইতালিয়ান ডার্বি। কারণ, এই ম্যাচ সাধারণত পুরো ইতালিকে দুই ভাগ করে দেয়। প্রতিবারের মতো এবারের ডার্বিতেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে দুই দল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয় এক বিতর্কিত পেনাল্টি। 

    ভিএআরের পরামর্শে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ইন্টারকে পেনাল্টি উপহার দেওয়া হয়। হাকান চালহানোলুর সেই পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন জুভেন্টাস গোলরক্ষক উচেক শিজনি। দু মিনিট পর আবার খেলা থামায় ভিএআর। এবার দেখা যায়, পেনাল্টি নেওয়ার আগেই বক্সে ঢুকে পড়েছিল জুভেন্টাসের কয়েকজন খেলোয়াড়। পুনরায় পেনাল্টি নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। দ্বিতীয়বারে পেনাল্টি জালে জড়িয়ে দলকে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পয়েন্ট এনে দেন তুরস্কের মিডফিল্ডার চালহানোলু। 

    এই জয়ের ফলে এখনও শিরোপার দৌড়ে টিকে আছে ইন্টার। মিলানের সঙ্গে তিন পয়েন্টের ব্যবধান চুকানোটাই এখন সিমন ইনজাঘির লক্ষ্য।