• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    সিজন প্রিভিউ: অগ্রিম কেনাকাটার পর স্পার্সের স্বপ্ন বহুদূর

    সিজন প্রিভিউ: অগ্রিম কেনাকাটার পর স্পার্সের স্বপ্ন বহুদূর    

    ৫ আগস্ট শুরু হতে যাচ্ছে এবারের প্রিমিয়ার লিগ মৌসুম। কেমন হলো দলগুলোর ঘর গোছানো? মৌসুম শুরুর আগে কার প্রস্তুতি কেমন হয়েছে? প্যাভিলিয়নের সিজন প্রিভিউ শুরু হচ্ছে আন্তোনিও কন্তের টটেনহামকে দিয়ে।


     

    উল্লেখযোগ্য দলবদল 

    যারা ক্লাবে এসেছেন: রিচার্লিসন (৫৮ মিলিয়ন), ইউভেস বিসুমা (২৯ মিলিয়ন), ডিড স্পেন্স (১৫ মিলিয়ন) ক্লেমন লংলে (লোন), ইভান পেরিসিচ (ফ্রি), ফ্রেজার ফস্টার (ফ্রি) 

    যারা ক্লাব ছেড়েছেন: স্টিভেন বারগুয়াইন (৩১ মিলিয়ন)

    কোনো ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়ার পর সাধারণত অ্যান্তনিয়ো কন্তের প্রথম লক্ষ্য হয়ে থাকে নিজের দর্শন মাফিক একটি দল তৈরি করা। তার জন্য খুবই নির্দিষ্ট ঘরানার কিছু খেলোয়াড়কে স্কাউট করেন তিনি। সুপারস্টারদের টার্গেট করার নজির নেই কন্তের। তবে তার দাবি অনুযায়ী খেলোয়াড়দের দলে না ভেড়ালে এই ইতালিয়ান কতটা ক্ষিপ্ত হতে পারেন, তা গত জানুয়ারিতেই টের পেয়েছে টটেনহাম বোর্ড। 

    স্পার্সে আসার পর কন্তের প্রথম ট্রান্সফার টার্গেট ছিল লুইস ডিয়াজ। এই কলম্বিয়ানের দলবদল শেষ মুহূর্তে ভেস্তে যাওয়ার পর বেজায় খেপেছিলেন কন্তে, জনসম্মুখে করেছেন বোর্ডের সমালোচনাও। 

    তবে ডিয়াজের পরিবর্তে দলে ভেড়ানো সাবেক জুভেন্টাস স্ট্রাইকার দেজান কুলুসেভস্কি বেশ ভালোভাবেই মানিয়ে নিয়েছেন দলে। কুলুসেভস্কি, বেন্টাঙ্কৌরের পর এই গ্রীষ্মে বেশ কিছু কন্তে-সুলভ দলবদল করেছে স্পার্স। এরমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাইনিং হচ্ছে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রিচার্লিসন। 

    ৫৮ মিলিয়ন ইউরোয় এই এভারটন তারকাকে দলে ভিড়িয়েছে স্পার্স। আক্রমণভাগে হ্যারি কেইন ও সন হিউয়েঙ-মিনের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল স্পার্সের জন্য একটি প্রয়োজনীয় সংযোজন রিচার্লিসন। মার-কাটারি ফুটবল খেলা প্রিমিয়ার লিগ-পোক্ত এই স্ট্রাইকার খেলতে পারেন একাধিক পজিশনে, বেঞ্চ থেকে নেমেও রাখতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। কেইন-সন-কুলুসেভস্কি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘরানার এই স্ট্রাইকার দলের আক্রমণে যোগ করবেন নতুন মাত্রাও।  

    আক্রমণভাগে আরও একজনকে যোগ করেছে স্পার্স- ইন্টারের বর্ষীয়ান উইঙ্গার ইভান পেরিসিচ। বিনামূল্যে আসা এই ক্রোয়েশিয়ান আক্রমণভাগের গভীরতা বাড়াবেন। তার অভিজ্ঞতা মাঠে ও মাঠের বাইরে, দুই জায়গাতেই কাজে লাগতে পারে স্পার্সের জন্য।  

    মধ্যমাঠের নতুন সাইনিং ইউভেস বিসুমা দলে রিচার্লিসনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে উঠতে পারেন। ব্রাইটন থেকে আসা এই বক্স-টু-বক্স মিডফিল্ডার হয়ে উঠতে পারেন কন্তের মিডফিল্ডের মেরুদণ্ড। 

    মিডলসবোরা থেকে ১৫ মিলিয়ন ইউরোয় স্পার্সে আসা ইংলিশ রাইটব্যাক ডিড স্পেন্স এবং বার্সেলোনা থেকে লোনে আসা ফরাসি সেন্টার-ব্যাক ক্লেমন লংলে; দুজনই দলের রক্ষণে গভীরতা বাড়াবেন। সবচেয়ে বড় কথা, হ্যারি কেইন ও হিউং মিং সনকে ধরে রাখতে পেরেছে স্পার্স, এটাও বড় সাফল্য তাদের জন্য।

    মৌসুম শুরুর আগেঃ প্রাক মৌসুম প্রস্তুতিতে এবার স্পার্সের শুরু হয়েছিল কোরিয়ার কে লিগ ইলেভেনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে.৬-৩ গোলের জয়ে জোড়া গোল করেছিলেন হ্যারি কেন ও সন হিউইং মিন। এরপর সেভিয়ার সাথে ১-১ গোলে ড্র করার পর রেঞ্জার্সের সাথে কেনের জোড়া গোলে জয় পায় ২-১ ব্যবধানে। শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে গত শনিবার রোমার কাছে ১-০ গোলে হেরেছে কন্তের দল। সাউদাম্পটনের সাথে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে তাদের প্রিমিয়ার লিগ। 

    সম্ভাব্য একাদশঃ লরিস, ডায়ার, রোমেরো, সানচেজ, ডোহার্টি, পেরিসিচ, হয়বিয়া, বিসৌমা, কুলুসেভস্কি, সন, কেইন

    সার্বিক রায়: নিঃসন্দেহে গত মৌসুমে চারে শেষ করা দলের চেয়ে উন্নত ও ‘কন্তে-সুলভ’ একটি দল নিয়ে এ মৌসুম শুরু করবে স্পার্স। তবে এবারও তাদের লক্ষ্য একই- শীর্ষ চারে শেষ করা। এর বাইরে, ঘরোয়া কাপগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মাধ্যমে দলের দীর্ঘদিনের শিরোপা-খরা ঘুচানোরও চেষ্টা করবেন কন্তে। রিচার্লিসন-বিসুমারা তাতে কতটা সাহায্য করতে পারেন, সেটিই এখন দেখার বিষয়।