• বাংলাদেশের আরব আমিরাত সফর
  • " />

     

    আফিফের আগ্রাসনের পর শঙ্কা কাটিয়ে মিরাজ-শরিফুলে বাংলাদেশের জয়

    আফিফের আগ্রাসনের পর শঙ্কা কাটিয়ে মিরাজ-শরিফুলে বাংলাদেশের জয়    

    ১ম টি-টোয়েন্টি, দুবাই(টস-আরব আমিরাত/বোলিং)
    বাংলাদেশ-১৫৮/৫, ২০ ওভার (আফিফ ৭৭*, সোহান ৩৫*, লিটন ১৩, মেইয়াপ্পান ২/৩৩, সাবির ১/১৬, আফজাল ১/১৬)
    আরব আমিরাত-১৫১, ১৯.৪ ওভার (সুরি ৩৯, আফজাল ২৫, লাক্রা ১৯, মিরাজ ৩/১৭, শরিফুল ৩/২১, মোস্তাফিজ ২/৩১)
    ফলাফল: বাংলাদেশ ৭ রানে জয়ী

     

    প্রস্তুতি হিসেবেই আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে গেলেও প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের মাথার ঘাম, পায়ের ঘাম এক করে ছাড়ল স্বাগতিকরা। ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের হাল ধরে আফিফ হোসেন-নুরুল হাসান সোহানের রেকর্ড জুটিতে লড়াই করার উপলক্ষ পেয়েছিল বাংলাদেশ। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমানদের বিচক্ষণ বোলিংয়ে ৭ রানের জয় নিয়ে সেই পুঁজি নিয়ে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

    ১৫৯ রানের লক্ষ্যে আরব আমিরাতের শুরুটা হয়েছিল সাবধানী। ৫ম ওভারে মুহাম্মাদ ওয়াসিম রান আউটের শিকার হয়ে ফিরে গেলেও চিরাগ সুরি-আরিয়ান লাক্রা জুটি ভালভাবেই এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। আক্রমণে এসে ২৪ বলে ৩৯ রান করে ছুটতে থাকা সুরিকে থামানোর পর ১৯ রানে থাকা লাক্রাকেও ফেরান মিরাজ।

    মিরাজের মোড় ঘোরানো ওই দুই ওভারের পর ধুঁকতে থাকে আরব আমিরাত। রিজওয়ানকে ১১তম ওভারে মোস্তাফিজ ফেরানোর এক ওভার পরেই বাসিল আহমেদকে ফিরিয়ে উইকেটের খাতা খোলেন আরেক বাঁহাতি পেসার শরিফুল। বৃত্ত অরবিন্দ অন্য প্রান্তে টিকে থেকে ইনিংস মেরামত করার চেষ্টা করলেও ১৬ রানে তাকে ফিরিয়ে নিজের ৩য় শিকারের দেখা পান মিরাজ। ম্যাচে যখন বাংলাদেশ সহজ জয়ের আশা করছিল তখনই ম্যাচে উত্তেজনার সঞ্চার করেন আয়ান আফজাল খান। হিসেব করে ইনিংস এগিয়ে নিতে থাকা আফজালের জন্য শেষ দুই ওভারে ২ উইকেট হাতে নিয়ে আমিরাতের সমীকরণ হয়ে দাঁড়ায় ২১ রান। সাইফ উদ্দিনের ওপর চড়াও হওয়া আফজাল তার করা ১৯তম ওভারেও নেন ১০ রান। শেষ ওভারে আফজালের প্রচেষ্টা ভেস্তে ১৭ বলে ২৫ রানের ইনিংস শেষে তাকে থামানোর পরের বলেই জুনাইদ সিদ্দিকীকে ফিরিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন শরিফুল।

    এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ঘোর বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারেই রানের খাতা খোলার আগে সাব্বির রহমান ফেরার পরের ওভারেই ১৩ রানে ফেরেন লিটন। ৫ম ওভারে ওপেন করতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজও ফিরলে এক প্রান্ত আগলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আফিফ। তবে লেগ স্পিনার মিয়াপ্পান এসে দারুণ এক গুগলিতে ইয়াসির আলীর স্টাম্প উপড়ে ফেলার পর মোসাদ্দেক হোসেনকেও বোকা বানিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ দেখালে ৭৭ রানেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে সেই মিয়াপ্পানের ওপর চড়াও হয়েই হাত খোলেন আফিফ।

    গিয়ার পাল্টাতে গিয়ে আফিফ অবশ্য মিড উইকেটে মামুলি ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন। নুরুলকে নিয়ে এরপর কিছুটা সাবধানী ইনিংস খেলে ৩৮ বলে পেয়ে যান তার ৩য় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটির দেখা।  ফিফটির পরে পেসারদের ওপর চড়াও হন আফিফ, সাথে নিয়মিত প্রান্ত বদল করে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন সোহান। ১৮তম ওভারেও অবশ্য ডিপ মিড উইকেটে সরাসরি ক্যাচ তুলে দিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন আফিফ। দুই ক্যাচ মিসের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে নুরুলকে নিয়ে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন আফিফ। ৫৫ বলে ৭৭* রান করে আফিফ ও ২৫ বলে ৩৫* রান করে সোহান ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে এনে দেন লড়াই করার উপলক্ষ। দুজনের ৫৪ বলের ৮১* রানের জুটিটা একই সাথে ৬ষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটিও।