• ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    কোহলি-সূর্যকুমারের সাঁড়াশি আক্রমণের পর আঁটসাঁট বোলিংয়ে ভারতের সহজ জয়

    কোহলি-সূর্যকুমারের সাঁড়াশি আক্রমণের পর আঁটসাঁট বোলিংয়ে ভারতের সহজ জয়    

    সুপার ১২, সিডনি (টস-ভারত/ব্যাটিং)
    ভারত- ১৭৯/২, ২০ ওভার (কোহলি ৬২*, রোহিত ৫৩, সূর্যকুমার ৫১*, ভ্যান মিকেরেন ১/৩২, ক্লাসেন ১/৩৩)
    নেদারল্যান্ডস-১২৩/৯, ২০ ওভার (প্রিঙ্গল ২০, আকারম্যান ১৭, শারিজ ১৬*, ভুবনেশ্বর ২/৯, অক্ষর ২/১৮, আশ্বিন ২/২১)
    ফলাফল: ভারত ৫৬ রানে জয়ী

     

    অনুমিতভাবেই ডাচদের বিপক্ষে বড় জয় পেল ভারত। শুরুতে ডাচ পেসাররা ভারতীয় ব্যাটিংয়ের শিরদাঁড়ায় কাপন ধরিয়ে দিলেও সেটা সামাল দিয়ে ভারত অধিনায়ক পেয়েছিলেন ফিফটির দেখা। তারই ধারাবাহিকতায় ভিরাট কোহলি-সূর্যকুমার যাদবের ৪৮ বলে ৯৫* রানের জুটিতে বড় সংগ্রহ পাওয়ার পর ভুবনেশ্বরের অবিশ্বাস্য ওপেনিং স্পেল, দুই স্পিনার অক্ষর পাটেল-রবিচন্দ্রন আশ্বিনের আঁটসাঁট স্পেলে ডাচদের পর্যুদস্ত করে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে ভারত।

    জয়ের রাস্তা ভারতকে শুরুতেই দেখিয়েছেন তাদের পেসার ভুবনেশ্বর। পাওয়ারপ্লেতে দুই ওভারের দুটি দিয়েছেন মেইডেন, সেই সাথে বিক্রমজিত সিংয়ের স্টাম্প উপড়ে ফেলে ডাচদের চেপে ধরেছিলেন। সেই চাপে ম্যাক্স ও’ডাউডও ফিরে যান অক্ষরের শিকার হয়ে। পাওয়ারপ্লেতে ডাচরা তাই তুলতে পারে মোটে ২৭ রান।

    তারই পরিক্রমায় বাস ডি লিডকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানিয়ে দুর্দান্ত এক স্পেল শেষ করেন অক্ষর। সেখান থেকে স্পিনের ব্যাটনটা তুলে নেন অভিজ্ঞ আশ্বিন। এক ওভারেই ফেরান ১৭ রানে থাকা কলিন অ্যাকারম্যান ও টম কুপারকে। দীনেশ কার্তিক মাঝে স্টাম্পিংয়ের সুযোগ ফেলে দিলেও ১৩ ওভার শেষেই নেদারল্যান্ডসের স্কোরবোর্ড বলছিল ৬৪-৫; ওখানেই কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ডাচরা। সেখান থেকে পরে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেছিলেন আরশদীপ সিং। আরও একবার বল হাতে নিয়ে অবিশ্বাস্য এক স্পেলে ভুবনেশ্বর পেয়েছিলেন আরও এক শিকারের ঘ্রাণ। তবে পুরো ম্যাচে ডাচদের বলতে স্বস্তি বলতে ওই গুটিয়ে না যাওয়াটাই ছিল। শেষ ওভার পর্যন্ত টিকে থেকে হারের ব্যবধান তারা কমিয়েছেন ঠিকই।

    এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে ভারত শুরু করে শ্লথ গতিতে। সেটার জন্য ডাচদের পেস বোলিংয়ের কৃতিত্ব প্রাপ্য। দুই ওপেনারকে কোণঠাসা করে এরপর রাহুলকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন পল ভ্যান মিকেরেন। এক ওভার পরে ফ্রেড ক্লাসেনের বলে সহজ এক সুযোগ দিয়েও বেঁচে যান ভারত অধিনায়ক রোহিত। পাওয়ারপ্লেতে ভারত এরপর তুলতে পারে মোটে ৩৮ রান। দশম ওভারে গিয়ার পালটানোর ইঙ্গিত দিয়ে ১৪ রান তুললেও ওই ওভার শেষে ভারতের হয় রান হয় ৬৭।

    পরের ওভার টানা দুই চারে রোহিত ৩৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করলে পরের ওভারে ক্লাসেনের শিকার হয়ে ফিরে যান ৩৯ বলে ৫৩ রান করে। এরপর উইকেটে সূর্যকুমার আসতেই দৃশ্যপটে আসে পরিবর্তন। ততক্ষণে উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া কোহলিও রানের চাকা সচল রাখতে মারমুখী হয়ে ওঠেন। ১৪তম ওভারে দুজন মিলে ১১ রান নিয়ে দলীয় শতরান পূর্ণ করেন। ১৭তম ওভারে ক্লাসেনকে ডিপ কাভারের ওপর দিয়ে দুর্দান্ত এক ছয় মারার পরের বলে ৩৭ বলে টানা দ্বিতীয় ফিফটি পূর্ণ করেন কোহলি। মাঝে ১৯তম ওভারে নিজের স্পেলের শেষ ওভার করতে এসে ভ্যান মিকেরেন দারুণ এক ওভার করলেও কোহলি-সূর্যকুমারের দক্ষতায় শেষ ওভারে আসে ১৭ রান; আর ২৫ বলে সূর্যকুমার তুলে নেন নিজের ফিফটি। শেষ ৫ ওভারে দুজন মিলে ৬৫ রান তুলে ভারতকে এনে দেন ১৭৯ রানের পুঁজি দিনশেষে যেটা ডাচদের নাগালের বাইরেই থেকে যায়।