• ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    হাসারাঙ্গা-ধনঞ্জয়াদের দক্ষতায় আফগানদের পরাস্ত করে সেমির আশা টিকিয়ে রাখল শ্রীলঙ্কা

    হাসারাঙ্গা-ধনঞ্জয়াদের দক্ষতায় আফগানদের পরাস্ত করে সেমির আশা টিকিয়ে রাখল শ্রীলঙ্কা    

    সুপার ১২, ব্রিসবেন (টস-আফগানিস্তান/ব্যাটিং)
    আফগানিস্তান- ১৪৪/৮, ২০ ওভার (গুরবাজ ২৮, ঘানি ২৭, ইব্রাহিম ২২, হাসারাঙ্গা ৩/১৩, লাহিড়ু ২/৩০, ধনঞ্জয়া ১/৯)
    শ্রীলঙ্কা-১৪৮/৪, ১৮.৩ ওভার (ধনঞ্জয়া ৬৬*, মেন্ডিস ২৫, আসালাঙ্কা ১৯, মুজিব ২/২৪, রশিদ ২/৩১)
    ফলাফল: শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে জয়ী

     

    দুই ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার পর অবশেষে শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে মাঠে নামার সুযোগ হল আফগানিস্তানের; এশিয়া কাপের মত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এখানেও দারুণ একটা শুরুই হয়ত চেয়েছিল তারা। তাদের সেই আকাঙ্ক্ষা পন্ড করে সেমি-ফাইনালের গাণিতিক সমীকরণে টিকে থাকল শ্রীলঙ্কা। লাহিড়ু কুমারার গতিতে কোণঠাসা আফগানদের পরে স্পিনের জালে বেঁধে ফেলেছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বিচক্ষণ ইনিংসে আফগানদের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য সহজেই উৎরিয়ে গিয়েছে এরপর শ্রীলঙ্কা।

    ১৪৫ রানের লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কার শুরুটা অবশ্য ছিল নড়বড়ে। মুজিবের দুর্দান্ত এক বলে পর্যুদস্ত হয়ে ১০ রানে স্টাম্প খুইয়ে ফেরেন পাথুম নিসাঙ্কা। পাওয়ারপ্লেতে শ্রীলঙ্কা ২৮ রান তুলতে পারার পর আফগানদের আশার পালে লেগেছিল জোর হাওয়া। তবে রশিদ-মুজিবদের সামলে অন্য প্রান্ত থেকে পেসারদের লক্ষ্য বানিয়ে খেলার পরিকল্পনা নিয়ে সফল হন কুসাল মেন্ডিস ও ধনঞ্জয়া। রশিদ যদিও ঠিকই ২৭ বল ২৫ রান করে ধুঁকতে থাকা মেন্ডিসকে থামিয়েছিলেন। তবে ধনঞ্জয়া ছিলেন নিজের পরিকল্পনায় অটল।

    উইকেটে এসে চারিথ আসালাঙ্কাও একই পন্থা অবলম্বন করেন। ম্যাচের মোড় পাল্টাতে রশিদ প্রান্ত বদল করলে সেটাই কাজে লাগান ধনঞ্জয়া। ছোট বাউন্ডারি কাজে লাগিয়ে সুইপের দারুণ ব্যবহার করে রশিদের লাইনও এলোমেলো করে দেন তিনি। আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে যদিও ম্যাচে নিজের আত্মবিশ্বাস ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন রশিদ। তবে দারুণ খেলতে থাকা ধনঞ্জয়ার সাথে এরপর ভানুকা রাজাপাকসা যোগ দিয়ে তার কাজটা আরও সহজ করে দেন ফারুকীকে আক্রমণ করে। ধনঞ্জয়া নিজের ফিফটি পেয়ে যান ৩৬ বলে; ওই ওভারে মুজিবকে এরপর টানা ২ চার মেরে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেলে জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে ১৮ রানে ফেরেন ভানুকা। তবে পরের ওভারেই দারুণ এক চার মেরে ৪২ বলে ৬৬* রানে জয় নিয়েি মাঠ ছাড়েন ধনঞ্জয়া।

    এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে পাওয়ারপ্লেতেই ৪২ রান তুলে ফেলেছিল রহমানউল্লাহ গুরবাজ-উসমান ঘানি জুটি। তবে পাওয়ারপ্লের ঠিক পরের বলেই লাহিড়ুকে তুলে মারতে গিয়ে স্টাম্প খুইয়ে ২৮ রানে ফেরেন গুরবাজ। ২৭ রান করে গিয়ার পাল্টানোর সুযোগ খুঁজতে ঘানিকে এরপর আক্রমণে এসে ফেরান হাসারাঙ্গা; সেই সাথে আঁটসাঁট লাইনে আফগানদের নাভিশ্বাস ছুটিয়ে ছাড়েন। সেটারই সুযোগ নিয়ে এরপর ২২ রানে থাকা ইব্রাহিম জাদরানকে ফেরান লাহিড়ু। মাঝের ওভারগুলোতে থিকশানা-রাজিথাদের দক্ষতায় রানের গতি বাড়াতে পারেননি আফগানরা, সেই সাথে উইকেটও হারিয়েছেন নিয়মিত। শেষ ওভার করতে এসে হাসারঙ্গা মাত্র ৩ রান দিয়ে মুজিব ও রশিদের উইকেট তুলে নিয়ে শেষ করেছিলেন দারুণ এক স্পেল, ১৪৪ রানে বেঁধে ফেলেছিলেন আফগানদের। সেই লক্ষ্য সহজেই টপকে গিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের ক্ষীণ আশাটুকুই জিইয়ে রাখল শ্রীলঙ্কা।