• ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২
  • " />

     

    বিশ্বকাপে অতিরিক্ত সময় কেন এত বেশি হচ্ছে?

    বিশ্বকাপে অতিরিক্ত সময় কেন এত বেশি হচ্ছে?    

    ইরান-ইংল্যান্ড ম্যাচ যারা দেখেছেন, তাদের নিশ্চিত চোখে পড়েছে ব্যাপারটা। দুই অর্ধ মিলে প্রায় ৩০ মিনিট বেশি খেলানো হয়েছে। যার মানে মোট ১২০ মিনিটের মতো মাঠে ছিলেন ফুটবলাররা। এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচ মিলে প্রায় ৬৪ মিনিট অতিরিক্ত সময় খেলানো হয়েছে, প্রতি ম্যাচে গড়ে ১৬ মিনিট। যেখানে একটা ম্যাচে গড়পড়তা খেলানো হয় ৬-৭ মিনিট করে বাড়তি। ফিফার নতুন নিয়মের কারণেই এই বাড়তি সময়। 

    এমনিতে ফুটবলে যোগ করা সময়ের নিয়ম হচ্ছে ইনজুরির কারণে যে সময় নষ্ট হয় সেটা ম্যাচ শেষে যোগ হবে। কাল যেমন ইংল্যান্ড ইরান ম্যাচেও চোট ছিল। ইরানের গোলরক্ষক মুখে আঘাত পাওয়ায় মিনিট আটেক বন্ধ ছিল খেলাই। প্রথমার্ধে সেটার কারণেই বাড়তি সময় যোগ হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধেও হ্যারি কেইন, ম্যাগুয়েরদের কারণে খেলায় বিরতি এসেছে বারবার। সেজন্য পরে আরও সময় বেশি লেগেছে। এই যোগ করা সময়ের ১০২ মিনিটে গোল করেছেন ইরানের তারেমি, ১৯৬৬ সালের পর যেটা বিশ্বকাপের সবচেয়ে দেরিতে গোল। পরের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের ক্লাসেনও গোল করেছেন ৯৮ মিনিটে। তবে চোটই শুধু একমাত্র কারণ নয়।

    ফিফার নতুন নিয়মে শুধু চোট নয়, গোল উদযাপন, থ্রো ইন, গোলকিকের যে সময় খেলা বন্ধ থাকে, নির্ধারিত সময় শেষে তা যোগ হবে। এই নতুন আইন এই বছর চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক কিংবদন্তি রেফারি ও এখন ফিফা রেফারি কমিটির সভাপতি পিয়ারলুইজি কলিনা। ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'এই বছর যেন কেউ যোগ করা সময় বেশি দেখলে অবাক না হয়। সেটা নিয়মিত ছয়, সাত বা আট মিনিটও হতে পারে। একটা গোল হলে সেটা উদযাপন করতে গিয়েই মিনিট দেড়েক চলে যায়। কয়েকটা গোল হলে পাঁচ ছয় মিনিটও চলে যায়। আমরা এই ব্যাপারগুলো আরও নিখুঁত করার কথা ভাবছি। এখানে অবশ্য ভিএআর থাকবে না, সেটার জন্য আলাদা করে সময় হিসেব করা হবে।' 

    সেজন্যই নেদারল্যান্ডস-সেনেগাল ও যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েলস ম্যাচে ১০ মিনিট করে দ্বিতীয়ার্ধে খেলা হয়েছে। অবশ্য রাগবিতে যেমন খেলা না হলেই ঘড়ি বন্ধ হয়ে যায় ফুটবলে এখনো তা চালু করা হয়নি। তখন অতিরিক্ত সময় হবে আরও বেশি। সামনে অবশ্য সেরকম কিছু ঘটলে অবাক হওয়ার থাকবে না।