ফাইনালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ
প্রথম লেগঃ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ১-০ বায়ার্ন মিউনিখ
দ্বিতীয় লেগঃ বায়ার্ন মিউনিখ ২-১ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ
ফলাফলঃ দুই লেগ মিলিয়ে ২-২ ড্র করে অ্যাওয়ে গোলে এগিয়ে থেকে জয়ী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনার পর এবার অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে হেরে টানা তৃতীয়বারের মতো সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিল বায়ার্ন মিউনিখ। আর গত ৩ বছরের ভেতর দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠে গেল ডিয়েগো সিমিওনের অ্যাটলেটিক মাদ্রিদ।
প্রথম লেগে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকায় বায়ার্নের দরকার ছিল জয়। আর ড্র করলেই ফাইনালে নিশ্চিত হত অ্যাটলেটিকোর। প্রথম থেকেই বায়ার্নের হাই প্রেসিং গেম প্ল্যানের বিপক্ষে কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলছিল অ্যাটলেটিকো। ম্যাচের ৩১ মিনিটে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড় জাবি আলোন্সো ফ্রি কিক থেকে গোল করে ম্যাচ সমতায় আনেন। তারপর থেকেই নাটকের শুরু।
আলোন্সোর গোলের ৩ মিনিট বাদে পেনাল্টি পেয়ে যায় বায়ার্ন মিউনিখ। থমাস মুলারের পেনাল্টি কিক অ্যাটলেটিকো গোলকিপার জ্যান অবলাক ঠেকিয়ে দিলে ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ন সুযোগ নষ্ট হয় বায়ার্নের। প্রথমার্ধ শেষে দুই লেগ মিলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ১-১।
দ্বিতীয়ার্ধে একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার উঠিয়ে দ্রুতগতির মিডফিল্ডার নামান অ্যাটলেটিকো ম্যানেজার। আগুস্তো ফারনান্দেজের জায়গায় নামেন ক্যারাস্কো। ফলটাও হাতে নাতেই পেয়ে যায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ফার্নান্দো তোরেসের বাড়ান বলে গোল করে গোটা অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারিনাকে স্তব্ধ করে দেন আন্টন গ্রিজম্যান। সমীকরণও পাল্টে যায় তখনই; বায়ার্নের জিততে হলে দরকার দুই গোল। ম্যাচের বাকী সময় একের পর আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে গার্দিওলার বায়ার্ন মিউনিখ। অ্যাটলেটিকোও তাদের ‘ঐতিহ্য’ বজায় রেখে রক্ষণাত্মক খেলে হতাশ করে যাচ্ছিল বায়ার্নকে। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে ভিদালের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে অ্যাটলেটিকোর জালে বল জড়িয়ে খেলা জমিয়ে দেন বায়ার্নের পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভান্ডফস্কি।
ম্যাচে যখন বায়ার্নের আধিপত্য তখন স্রোতের বিপরীতে পেনাল্টি পেয়ে যায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। পরে অবশ্য টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় ফার্নান্দো তোরেসকে করা জাভি মার্টিনেজের ওই ফাউল ছিল ডিবক্সের বাইরে। তোরেসের নেয়া পেনাল্টি কিকটি ন্যয়ার ঠেকিয়ে দিলে আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি অ্যাটলেটিকোর। ম্যাচের বাকী সময় ও অতিরিক্ত সময়ের ৪ মিনিটেও একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গেলেও হতাশ হয়েই ফিরতে হয় বায়ার্নকে। দ্বিতীয় লেগে ২-১ গোলে আর দুই লেগ মিলিয়ে ২-২ গোলে ড্র করেও অ্যাওয়ে গোলে পিছিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বাদ পড়ল বায়ার্ন মিউনিখ।
গার্দিওলার বায়ার্ন অধ্যায় শেষ হল কোনোবারই চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে না উঠতে পারার হতাশায়।