• ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২
  • " />

     

    ফ্রান্সে ভাইরাস আতংক: কেন ঠান্ডার সমস্যায় ভুগছেন ফুটবলাররা?

    ফ্রান্সে ভাইরাস আতংক: কেন ঠান্ডার সমস্যায় ভুগছেন ফুটবলাররা?    

    সেমিফাইনাল শুরুর আগে ফ্রান্সের ক্যাম্প থেকে হঠাৎ খবর: মরক্কোর বিপক্ষে নামতে পারছেন না ডিফেন্ডার দায়োত উপামেকানো ও মিডফিল্ডার আদ্রিয়ান রাবিও। চোট পাননি কোনো, কিন্তু ঠাণ্ডাড় সমস্যাই নামতে দেয়নি তাদের। পরে ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম বলেছেন, ফ্লু নিয়ে রীতিমতো ভয়েই আছেন তারা। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপে ফুটবলারদের ফ্লু একটু বেশিই হচ্ছে কেন? 

    ফ্রান্সের রাবিও ও উপামেকানো এই বিশ্বকাপে নিয়মিতই খেলেছেন। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই ঠান্ডার সমস্যায় ভুগছিলেন। সেটাই শেষ পর্যন্ত ছিটকে দিয়েছে তাদের। উপামেকানো মাঠে এসেছিলেন, রাবিওকে থাকতে হয়েছে বেস ক্যাম্পেই। দেশম অবশ্য আশাবাদী, রোববারের ফাইনালে দুজনেই নামতে পারবেন। তবে ফ্রান্সের কোচ ভাইরাস নিয়ে ভয় পাচ্ছেন ঠিকই। কাল মরক্কোর সাথে ম্যাচের পর দেশম বললেন, 'আমরা আবার ভয় পাচ্ছিলাম যদি বাকিদের মধ্যেও এই ভরাস আবার ছড়িয়ে না পড়ে। এর মধ্যেই কিংসলে কোমানেরও ঠান্ডার সমস্যা হয়েছে। উপামেকানো, রাবিও আলাদা করে অনুশীলন করেছে। আশা করছি ওদেরকে সুস্থ অবস্থায় পাব।'

    কিন্তু এই সমস্যায় ঠান্ডার সমস্যা কেন? দেশম বলছেন, কাতারে তাপমাত্রা হঠাৎ করে কিছুটা নেমে আছে। আর স্টেডিয়ামে এয়ার কন্ডিশনিং থেকেও সমস্যা হতে পারে বলে তার ধারণা। স্টেডিয়ামের এই এয়ার কন্ডিশনিং নিয়ে অভিযোগ করেছেন ব্রাজিলের অ্যান্টনিও। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ব্রাজিলের বেশ কয়েকজন ফ্লুতে ভুগেছিলেন। আবার পর্তুগালের বিপক্ষে সুইজারল্যান্ডের বেশ কয়েকজন অসুস্থ ছিলেন বলে জানা যায়।

    কাতার বিশ্বকাপে সব মাঠেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ আছে। এয়ার কন্ডিশনিং যদি বাজে ভেন্টিলেশনে করা হয় তাহলে অনেকের সমস্যা হতে পারে। কাতারে এখন তুলনামূলক গরম কম, তারপরও খেলোয়াড়দের কথা মাথায় রেখে মাঠের সব প্রান্তে নোজল থেকে ঠান্ডা হাওয়া ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আবার দর্শকের সিটের নিচ থেকেও রয়েছে ঠান্ডা হাওয়ার জন্য বিশেষ নোজল।