• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    লিভারপুল বনাম চেলসি: ম্যাড়ম্যাড়ে ড্রয়ে শেষ দুই ‘মিড টেবিল’ ক্লাবের লড়াই

    লিভারপুল বনাম চেলসি: ম্যাড়ম্যাড়ে ড্রয়ে শেষ দুই ‘মিড টেবিল’ ক্লাবের লড়াই    

    লিভারপুল ০:০ চেলসি


    গত মৌসুমের কোয়াড্রপলের লড়াইয়ে ছিল লিভারপুল। শেষ পর্যন্ত চার শিরোপা জেতা না হলেও দুটি জিতেছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। সেই দুই টুর্নামেন্টেই আবার রানার-আপ হয়েছিল চেলসি। প্রিমিয়ার লিগেও লিভারপুলের পরের স্থানটি দখল করেছিল লন্ডনের ক্লাবটি। স্বাভাবিকভাবেই ইংলিশ ফুটবলের এই দুই পরাশক্তি এবারের মৌসুম শুরু করেছিল লিগ জেতার প্রত্যয় নিয়ে। কিন্তু মৌসুমের মাঝপথে যখন প্রথমবারের মতো মিলিত হয়েছে দুই দল, তখন দৃশ্যপট যে সম্পূর্ণ আলাদা। টেবিলের নবম ও দশম স্থানে থেকে ম্যাচ শুরু করা লাল ও নীল দল উপহার দিয়েছে মিড টেবিলময় এক লড়াই-ই, যা শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রয়ে।

    লিগে সর্বশেষ দুই ম্যাচেই শোচনীয়ভাবে হেরেছে লিভারপুল। ব্রেন্টফোর্ড ও ব্রাইটন, দুই দলই তাদের জালে জড়িয়েছে তিনটি করে গোল। ওদিকে চেলসি ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে গত ম্যাচে জয় পেলেও এটি ছিল সর্বশেষ ১০ ম্যাচে তাদের দ্বিতীয় জয় (অপর জয়টি এসেছে বোর্নমাউথের বিপক্ষে)। আজকে অ্যানফিল্ডের ম্যাচটি তাই দুই দলের জন্যই ছিল দুর্যোগ এড়ানোর ম্যাচ। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই সেজন্য সাবধানী ফুটবল খেলতে শুরু করে দুই দল।

    তবে ম্যাচে তৃতীয় মিনিটেই একটি গোল উপহার পেয়ে বসেছিল চেলসি। কর্নার থেকে থিয়াগো সিলভার শট বারে লেগে ফিরে আসলে রিবাউন্ড থেকে গোল করেন কাই হ্যাভার্জ। এ মৌসুমে ম্যাচের শুরুতে গোল খাওয়ার জন্য ‘কুখ্যাতি’ অর্জন করা লিভারপুল তাদের পরিচিত স্ক্রিপ্টেরই পুনরাবৃত্তি দেখতে যাচ্ছিল। তবে এবার স্বাগতিকদের জন্য ত্রাণকর্তা হয়ে হাজির হয় ভিএআর। রিপ্লেতে দেখা যায় অন্তত এক মিটার অফসাইডে ছিলেন হ্যাভার্জ। প্রথমার্ধের সবচেয়ে বড় ‘অ্যাকশন’ ছিল এটিই। বাকি ৪৫ মিনিটে কোনো দলই বলার মতো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।

     

    দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য নতুন উদ্যম নিয়ে নামে স্বাগতিকরা। চেলসির অর্ধে প্রেস ও কাউন্টার-প্রেস করে বল জিততে শুরু করে থিয়াগোরা, করতে থাকে আক্রমণ। কিন্তু সালাহ-গাকপো-এলিয়টের ফ্রন্টলাইন যে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে খেলছে, তা বেশ স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে তাদের বুঝাপড়ায়।

    ৫৫ মিনিটে বদলি হিসেবে নামেন চেলসি ১০০ মিলিয়ন ইউরোর সাইনিং মিখাইলো মুদ্রিক। এই ইউক্রেনীয় নামার পর অবশ্য আক্রমণে প্রাণ খুঁজে পায় সফরকারীরা। লেফট উইং দিয়ে বেশ কয়েকবার লিভারপুলের রক্ষণে ত্রাস সৃষ্টি করতে সক্ষম হন তিনি। তাকে আটকাতে গিয়ে হলুদ কার্ডও দেখেন জেমস মিলনার।

    মুদ্রিকের জবাবে ক্লপ মাঠে নামান তার বিগ মানি সাইনিং ডারউইন নুনেজকে। নুনেজের ক্ষিপ্রতা চেলসিকে তটস্থ করলেও এই নাম্বার নাইনকে সামাল দিতে সক্ষম হন ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত খেলা থিয়াগো সিলভা। ফলস্বরূপ গোলশূন্য ব্যবধানেই শেষ হয় দুই মিড টেবিল ক্লাবের ম্যাচ।

    এই ড্রয়ের পর চেলসি থাকছে তাদের পরিচিত দশম স্থানেই। কিন্তু সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে আটে উঠে গেছে লিভারপুল (ক্লপের দল যদিও এক ম্যাচ কম খেলেছে)। দুই দলই চতুর্থ স্থান থেকে নয় পয়েন্টের দূরত্বে অবস্থান করছে এখন।