• আইপিএল ২০২৩
  • " />

     

    ইনজুরির কবলে পড়ে আইপিএলে এবার নেই যারা

    ইনজুরির কবলে পড়ে আইপিএলে এবার নেই যারা    

    আইপিএল শুরুর আগেই এবার যেন কিছুটা আলো হারিয়েছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটি। ইনজুরির করালগ্রাসে পড়ে বেশ কিছু বড় নামকে হারিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। বড় বড় কিছু খেলোয়াড়কে খোয়ানোর কারণে এখনও অনেক দলই ঠাহর করে উঠতে পারেনি বদলি হিসেবে কাকে নেওয়া যায়। এক নজরে দেখে আসা যাক কাদের এবার হারাল আইপিএল; আর বদলি হিসেবে এলো কারা।


    ঋষাভ পান্ট (দিল্লি ক্যাপিটালস)

    দিল্লির নিয়মিত অধিনায়ক তিনি। তবে এবারের আইপিএলে তাকে দেখা যাবে না, সঙ্গত কারণেই। জীবন হাতে নিয়ে যে তিনি ফিরেছেন এটাই বড় কথা। গত বছরের ডিসেম্বরে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েন তিনি। মাঠে ফিরতে এখনও পান্টের বেশ কিছুটা সময় লাগবে। পান্টের জায়গায় এবার দিল্লির অধিনায়কত্ব করবেন ডেভিড ওয়ার্নার।

    জাসপ্রিত বুমরাহ (মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স)

    গত বছরে পিঠের যন্ত্রণায় বেশ ভুগেছেন বুমরাহ। বেশ কয়েকটা সিরিজেও তাকে দেখা যায় না সেই একই ইনজুরিতে। শেষমেশ তাই সার্জারি করানোর সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। সেটার জন্য এই বছরের প্রায় পুরোটায় তাকে কাটাতে হতে পারে মাঠের বাইরে। বুমরাহর অভাব মুম্বাইয়ের জন্য এক অর্থে অপূরণীয়। মুম্বাইয়ের সাফল্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ এই ভারতীয় পেসার। এখন পর্যন্ত তাই তার বদলি ঘোষণা করেনি মুম্বাই।

    ঝাই রিচার্ডসন (মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স)

    অস্ট্রেলিয়ান এই ডানহাতি পেসারকেও এবার পাচ্ছে না মুম্বাই। পাঞ্জাব কিংসের হয়ে এর আগের মৌসুমে খেলার পর এই মৌসুমে মুম্বাই তাকে দলে ভিড়িয়েছিলেন চড়া মূল্য দিয়েই। তবে হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে ভুগতে থাকা রিচার্ডসন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সার্জারি করার। তাই এবারের আইপিএলে অংশ নেওয়া হচ্ছে না তার। তার বদলেও এখনও কাউকে নেয়নি মুম্বাই।

    জশ হেজলউড (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু)

    গত মৌসুমে বেঙ্গালুরুর হয়ে আলো ছড়িয়েছিলেন হেজলউড। তবে বেঙ্গালুরুর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এই অস্ট্রেলিয়ান পেসার থাকছেন না এবারের আইপিএলে; অ্যাকিলিস টেন্ডনাইটিসের কারণে। তার বদলে এখনও কাউকে দলে ভেড়ায়নি মুম্বাই।

    রজত পাটিদার (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু)

    ভারতীয় এই ডানহাতি ব্যাটার গত মৌসুমের এলিমিনেটরে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে যেই সেঞ্চুরি করেছিলেন তা অনেকদিন মনে রাখবে দর্শকরা। শুধু সেই ম্যাচেই নয়, মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ ফর্মে ছিলেন তিনি। এমনকি এবার ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটেও ছিলেন রানের মাঝেই। তবে পায়ের পাতার ইনজুরিতে ছিটকে গিয়েছেন মাঠের বাইরে, বেঙ্গালুরুর অ্যাকাডেমিতে চলছে তার মাঠে ফেরার জন্য প্রস্তুতি। তবে কোনও ধরণের পরীক্ষা করানোর আগেও তাকে বাইরে থাকতে হবে অন্তত তিন সপ্তাহ। আইপিএলের প্রথমার্ধে তাই এবার তিনি থাকছেন না নিশ্চিতভাবেই। তবে মাঠে ফিরতে পারবেন কি না সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে বিধায় এখনও তার বিকল্প কাউক নেয়নি বেঙ্গালুরু।

    শ্রেয়াস আইয়ার (কলকাতা নাইট রাইডার্স)

    কলকাতা এবার পাচ্ছে না তাদের নিয়মিত অধিনায়ককে। শ্রেয়াস মাঠের বাইরে ছিটকে গিয়েছেন লম্বা সময়ের জন্যই। পিঠের ইনজুরিতে ভুগতে থাকা শ্রেয়াসকে যেতে হবে শল্যবিদের ছুরির নিচে। আইপিএলের পুরো মৌসুম তো বটেই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও তাকে পাচ্ছে না ভারত। আইপিএলে এবার তার বদলে কলকাতার অধিনায়কত্ব করবেন নিতিশ রানা।

    কাইল জেমিসন (চেন্নাই সুপার কিংস)

    এর আগে বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলা এই কিউই পেসারকে এবারের নিলামে দলে ভিড়িয়েছিল চেন্নাই। তবে পিঠের ইনজুরির কারণে সার্জারি করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেমিসন। মাঠের বাইরে তাকে থাকতে হবে প্রায় চার মাস। জেমিসনের পরিবর্তে চেন্নাই দলে ভিরিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার সিসান্দা মাগালাকে।

    জনি বেইরস্টো (পাঞ্জাব কিংস)

    গলফ খেলতে গিয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর বহুদিন ধরেই ছিলেন মাঠের বাইরে; তারই পরিক্রমায় এবার আইপিএলেও খেলা হবে না জনি বেইরস্টোর। বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ ওপেনারদের একজনকে না পাওয়াটা তাই পাঞ্জাবের জন্য বিরাট এক অপূর্ণতা। সেজন্যে হয়ত এখনও তার কোনও বিকল্প ভাবতে কিছুটা সময় নিয়েছিল পাঞ্জাব। তবে এবারের বিগ ব্যাশে আলো ছড়ানো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ম্যাথিউ শর্টকে পরে দলে নিয়েছে পাঞ্জাব।

    প্রাসিধ কৃষ্ণা (রাজস্থান রয়্যালস)

    রাজস্থানের পেস ব্যাটারির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। গেলো মৌসুমে রাজস্থানকে ফাইনালে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে কৃষ্ণা নিয়েছিলেন ১৯ উইকেট। তবে মেরুদন্ডে চিড় ধরার কারণে সেটার সার্জারি আবশ্যক হয়ে গিয়েছিল তার জন্য। সেটার জন্য পুরো মৌসুমে এবার তাকে দেখা যাবে না। কৃষ্ণার জায়গায় এবার রাজস্থান দলে ভিড়িয়েছে সন্দ্বীপ শর্মাকে।