• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    এবারও গোলের তালা খুলতে পারল না চেলসি-লিভারপুল

    এবারও গোলের তালা খুলতে পারল না চেলসি-লিভারপুল    

    চেলসি ০:০ লিভারপুল 


    টানা চতুর্থবারের মতো কোনো গোল ছাড়া শেষ হলো এই দুই ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচ। তবে এই চার ড্রয়ের মধ্যে তফাৎ আছে। গত মৌসুমে দুই ঘরোয়া কাপের ফাইনালে খেলেছিল দুই দল, যেখানে চ্যাম্পিয়ন লিগের ফাইনালসুলভ প্রতিদ্বন্দ্বিতা (আন্তনিও কন্তের মতে) উপহার দিয়ে ড্র করেছিল তারা। কিন্তু এই মৌসুমের দুই ম্যাচেই গড়পড়তা ফুটবল খেলে গোলশূন্য ড্র করল চেলসি ও লিভারপুল। 

    বর্তমানদের মধ্যে প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে পুরনো ও নতুন ম্যানেজারের মধ্যে লড়াই ছিল এটি। নিজের অষ্টম মৌসুমে এসে কঠিন এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া ইয়ুর্গেন এদিন দল সাজিয়েছেন একাদশে ছয়টি পরিবর্তন এনে। মোহামেদ সালাহ, ভার্জিল ভ্যান ডাইক, অ্যান্ডি রবার্টসন, ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ড; সবার জায়গা হয়েছে বেঞ্চে। এদিকে দুদিন আগে দায়িত্ব পাওয়া ব্রুনো সাল্টর অবশ্য দলে খুব একটা পরিবর্তন আনেননি। গ্রাহাম পটারের শেষ একাদশে শুধু দুটি পরিবর্তন এনেছেন তিনি। রক্ষণে ওয়েসলি ফোফানা ও মিডফিল্ডে এনগোলো কান্তেকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। 

    রক্ষণে কুলিবালি-ফোফানা-কুকুরেয়া সতর্ক অবস্থান নেওয়ায় এদিন সামনে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি লিভারপুল। পুরো ম্যাচে যত আক্রমণ হয়েছে, তার সিংহভাগ করেছে চেলসি। কান্তে, এনজো ফার্নান্দেজ ও কোভাচিচের মিডফিল্ড শুরু থেকে লিভারপুলকে ডমিনেট করেছে। যার ফলে বেশ কিছু দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেছে স্বাগতিকরা। কিন্তু সামনে ফেলিক্স-হ্যাভার্জদের ব্যর্থতায় নষ্ট হয় সবগুলো সুযোগ। 

    দুবার জালে পর্যন্ত বল জড়িয়েছিল চেলসি। প্রথমটা ২৫ মিনিটে। চিলওয়েলের কর্নার থেকে থেকে ছুটে আসা বলে দূরপাল্লার শট নিয়ে গোল করে ফেলেন রিস জেমস। কিন্তু সাথে সাথেই দেখা যায় লাইন্সম্যানের পতাকা। পরে রিপ্লেতে দেখা যায়, বিল্ড-আপে অল্পের জন্য অফসাইডে ছিলেন এনজো ফার্নান্দেজ। 

    চেলসির দ্বিতীয় বাতিল গোলটি হয় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে। ৪৮ মিনিটে কান্তের বারিয়ে দেওয়া বল নিয়ে একদম অ্যালিসনের সামনে চলে যান হ্যাভার্জ। তার শট অ্যালিসন ফিরিয়ে দিলেও বল হ্যাভার্জের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। চেলসি গোল উদযাপন করার পর ভিএআরের রিপ্লেতে দেখা যায়, আসলে হাত দিয়ে গোল করেছিলেন হ্যাভার্জ। বাতিল হয় এই গোলও। 

    এই দুটি বাদেও ম্যাচে গোল দেওয়ার মতো অনেক সুযোগ পেয়েছিল চেলসি। বিশেষ করে ফেলিক্স প্রথমার্ধেই দুটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন, কোভাচিচ হাতছাড়া করেন ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি। 

    এদিকে একাদশ বদলালেও লিভারপুলের খেলায় সমস্যা একই রয়ে গেছে। রক্ষণে নার্ভাস ও মিডফিল্ডে দুর্বল লিভারপুলের ফরওয়ার্ডরা এই ম্যাচে অংশগ্রহণই করতে পারেননি খুব একটা। এই ড্রয়ে লিভারপুলের শেষ চারের স্বপ্ন আরেকটা ধাক্কা খেলো। হাতে থাকা ম্যাচটি জিতলে চারে থাকা ইউনাইটেড তাদের চেয়ে ১০ পয়েন্টে এগিয়ে যাবে।