• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ইতিহাদে আর্সেনালকে নিঃস্ব করে ছেড়ে দিল সিটি

    ইতিহাদে আর্সেনালকে নিঃস্ব করে ছেড়ে দিল সিটি    

    ম্যান সিটি ৪:১ আর্সেনাল


    এ যেন বড়ভাই বনাম ছোটভাই, প্রাপ্তবয়স্কের সঙ্গে অপ্রাপ্তবয়স্কের লড়াই।  সাবেক সহযোগী মিকেল আরতেতাকে ঘরের মাঠে ডেকে এনে এক অর্থে বাস্তবতা শেখালেন পেপ গার্দিওলা। শিরোপা-প্রত্যাশী আর্সেনালকে ধবল-ধোলাই করে ডি ব্রুইনারা বুঝিয়ে দিল কেন গত পাঁচ বছরে চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। 

    টানা তিন ম্যাচে ড্র করে আর্সেনালের শিরোপা জেতার স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছিল। আজকের ম্যাচটি তাই অলিখিত ফাইনালই ছিল তাদের জন্য। বাঁচা-মরার এই ম্যাচে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে দাঁড়াতেই পারল না আরতেতার দল। ৪-১ গোলের শোচনীয় পরাজয়ের পর মুখ ঢেকেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে ওডেগার্ডদের।

    লিগে ২০১৫ সালের পর সিটির বিপক্ষে কোনো ম্যাচ জেতেনি আর্সেনাল। গার্দিওলা আসার পর জেতেনি কোনো টুর্নামেন্টেই। শিরোপার স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে হলে সেই অসাধ্য সাধন করতে হতো আরতেতার। কিন্তু নিজের সাবেক বসের সামনে এদিনও মলিন হয়ে থাকল তার ট্যাকটিস। পুরো মৌসুমে দ্রুত ম্যাচ শুরু করার অভ্যাস করা আর্সেনালকে যেন তাদের ট্যাকটিস গুলিয়ে খাওয়ালেন গার্দিওলা। সিটির চাপের মুখে প্রথম কয়েক মিনিটেই ভেঙে পড়ে গানাররা। সপ্তম মিনিটেই ম্যাচের প্রথম গোল করেন ডি ব্রুইনা।

    দুর্দান্তভাবে ম্যাচ শুরু করার পর গতিবিধি ধরে রাখে সিটি। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যান গ্রিলিস-ডি ব্রুইনারা। প্রথমার্ধের চারবার গোলে শট নেন আর্লিং হালান্ড। এরমধ্যে একটি অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে যায়, বাকি তিনটিই সেভ করেন রামসডেল।

    দাঁতে দাঁত কামড়ে যখন প্রথমার্ধ শেষ করতে যাচ্ছে আর্সেনাল, তখনই তাদের গোলে আরেকটি মরণ ঘা বসায় সিটি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ডি ব্রুইনার নেওয়া ফ্রিকিকে হেড করে বল জালে জড়ান জন স্টোনস। প্রথমে অফসাইড দেওয়া হলেও ভিএআরের হস্তক্ষেপে ম্যাচের দ্বিতীয় গোল পায় সিটি। বিরতির আগে করা এ গোলেই যেন নিস্তেজ হয়ে যায় ম্যাচের সব উত্তেজনা। আর্সেনালের ম্যাচের ফেরার সম্ভাবনা তখনই ফিকে হয়ে যায়।

    যেই কিছুটা আশা নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করেছিল আর্সেনাল, সেটিও কেড়ে নেন ডি ব্রুইনা। দ্বিতীয়ার্ধের নয় মিনিটের মাথায় নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে আরেকটি গোল করে ষোলকলা পূর্ণ করেন হালান্ড, সঙ্গে সঙ্গে ভাঙেন মোহামেদ সালাহর করা মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও। ইতোমধ্যেই ৩৩ গোল করে ফেলা এই নরওয়েজিয়ান শেষ সাত ম্যাচে রেকর্ডটা কোথায় নিয়ে যান, সেটিই এখন দেখার বিষয়।