• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    দুই মিলানের আগ্রাসী ফুটবলের বিজ্ঞাপন, প্রথম লেগ ইন্টারের

    দুই মিলানের আগ্রাসী ফুটবলের বিজ্ঞাপন, প্রথম লেগ ইন্টারের    

    এসি মিলান ০:২ ইন্টার মিলান


    সাম্প্রতিক সময়ে ইতালিয়ান ফুটবলে কতটা পরিবর্তন এসেছে তারই একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই ম্যাচ। রক্ষণাত্মক, ক্ষেত্রবিশেষে বোরিং এবং ১-০ গোলে ম্যাচ শেষ করার দর্শনকে দূরে সরিয়ে ইতালির অনেক দলই এখন খেলছে আক্রমণনির্ভর ফুটবল। ডিরেক্ট ফুটবলকে পুঁজি করা দুই মিলানের এই লড়াইয়ে জয় পেয়েছে বেশি আগ্রাসন নিয়ে মাঠে নামা দলটিই। জেকো-মিখতারিয়ানদের প্রথমার্ধের ঝড়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম লেগে ২-০ গোলের জয় পেয়েছে ইন্টার মিলান। 

     

    অষ্টম মিনিটে হাকান শালানলুর কর্নার থেকে গোলের খাতা খুলে ইন্টার। পেনাল্টি বক্সে মিলান ডিফেন্ডার ক্যালাব্রিয়ার পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা এডিন জেকো পিছন থেকেই পা সামনে এনে নাম্বার নাইনসুলভ এক শটে বল জালে জড়ান। এর দুই মিনিটের মধ্যে আবার আক্রমণে উঠে ইন্টার। এবার লেফট উইং দিয়ে উপরে উঠে পিচের মাঝখানে লো ক্রস করেন ফেদেরিকো ডিমার্কো। মিডফিল্ড থেকে দৌড়ে আসা হেনরিক মিখতারিয়ান বক্সের সামনে থেকে সেই ক্রস কুড়িয়ে সরাসরি ঢুঁকে যান বক্সে। তাকে কেউ ট্র্যাক না করায় বক্সে মাইক মাইগনানের সামনে এসে সোজা শটেই এই গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে সক্ষম হন এই আর্মেনিয়ান মিডফিল্ডার। 

     

    আকস্মিক দুই গোলে একেবারে হতবাক হয়ে যায় মিলান। আর এই সুযোগে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের উপর আরও চড়াও হয় ইন্টার। ১৫ মিনিটে ডিবক্সের বেশ বাইরে থেকে নেওয়া শালানলুর বুলেটগতির শট বারে লেগে ফিরে আসে। তৃতীয় গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা ইন্টার ৩০ মিনিটে একটি পেনাল্টি পায়। কিন্তু সেটি আবার বাতিল করে ভিএআর। রিপ্লেতে দেখা যায় নিশ্চিত গোল দেওয়ার সুযোগ থাকলেও বক্সে ডাইভ দিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন লাউতারো মার্টিনেজ। 

     

    প্রথমার্ধে আরও বেশ কিছু দুর্ধর্ষ আক্রমণ করে ইন্টার। কিন্তু তৃতীয় গোলের দেখা আর পায়নি তারা। 

     

    ২-০ ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরতে শুরু করে এসি মিলান। সালেমেকার্স, টোনালির মতো খেলোয়াড়েরা নিজেদের উপস্থিতি টের পাওয়াতে শুরু করেন। বদলি ডিভক ওরিগি কল্যাণে সামনে আরও চড়াও হওয়ার সুযোগ পায় মিলান। ৬৪ মিনিটে টোনালির একটি শট বারে লেগে ফিরে আসে। এর বাইরেও গোল দেওয়ার মতো বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে স্তেফানো পিওলির দল। কিন্তু গোলের দেখা আর পায়নি তারা।