• আইপিএল ২০২৩
  • " />

     

    রুতুরাজের ফিফটি, ধোনির অধিনায়কত্ব, বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দশম ফাইনালে চেন্নাই

    রুতুরাজের ফিফটি, ধোনির অধিনায়কত্ব, বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দশম ফাইনালে চেন্নাই    

    কোয়ালিফায়ার ১, চেন্নাই (টস-গুজরাট/বোলিং)
    চেন্নাই সুপার কিংস- ১৭২/৭, ২০ ওভার (রুতুরাজ ৬০, কনওয়ে ৪০, শানাকা ১৭, জাদেজা ২/১৮, থিকশানা ২/২৮, চাহার ২/২৯)
    গুজরাট টাইটানস- ১৫৭, ২০ ওভার (গিল ৪২, রশিদ ৩০, শানাকা ১৭, জাদেজা ২/১৮, থিকশানা ২/২৮, চাহার ২/২৯)
    ফলাফল: চেন্নাই ১৫ রানে জয়ী


     

    গুজরাটকে রান তাড়ায় হারাতে হল করতে হয় বিশেষ কিছুই। সেটাই করে দেখাল চেন্নাই। এই মৌসুমে প্রথম দল হিসেবে গুজরাটকে গুটিয়ে ফেলার কৃতিত্ব অর্জন করেছে চেন্নাই। কঠিন এক উইকেটে ডেভন কনওয়ে- রুতুরাজ গায়কোয়াডের ৮৭ রানের ওপেনিং জুটির পর শেষ দিকে রবীন্দ্র জাদেজার বিশোর্ধ্ব রানের ইনিংসে ১৭০-পেরুনো সংগ্রহ পায় চেন্নাই। কাজটা কঠিন হলেও দলটা গুজরাট বলেই চেন্নাইকে ভাবতে হত ভিন্নভাবেই। ঘরের মাঠে দারুণ অধিনায়কত্ব করলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি; আর তার ফল তাকে দিলেন তার পুরো বোলিং ইউনিট। তারই সুবাদে নিজেদের ১৪-তম মৌসুমে এসে ১০ম বারের মত ফাইনালে জায়গা করে নিল চেন্নাই।

    ১৭৩ রানের লক্ষ্যে আরও একবার পাওয়ারপ্লেতে দীপক চাহার আঘাত হানলে ১২ রানে ফিরে যান ঋদ্ধিমান সাহা। পাওয়ারপ্লের একদম শেষ ওভারে গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে ফেরান মাহিশ থিকশানা। পাওয়ারপ্লেতে ৪১ রান তোলায় তখনও শঙ্কা জাগেনি গুজরাট শিবিরে। শুবমান গিলের সাথে জুটি গড়ে দাসুন শানাকা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও পাওয়ারপ্লের পর ৩ ওভারে মাত্র ১৮ রান তুললে স্বদেশী থিকশানার ওপর চড়াও হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শানাকা। ১০ম ওভারে ১৩ রান নিয়ে পরের ওভারে জাদেজাকেও রিভার্স সুইপ করতে গেলে ১৬ বলে ১৭ রানে ফিরতে হয় তাকে। তার এক ওভার পরেই দুই রান নিতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান গিল। পরের ওভারে নিজের স্পেল শেষ করতে এসে দারুণ এক বলে ডেভিড মিলারের স্টাম্প উপড়ে দারুণ এক স্পেল শেষ করেন জাদেজা।

    তারই পরিক্রমায় তার পরের ওভারে ফিরেই চাহার থামান ৩৮ বলে ৪২ রান করে ধুঁকতে থাকা গিলকে। গুজরাটের সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে যায় ১৫-তম ওভারে রাহুল তেওয়াতিয়া স্টাম্প খুইয়ে থিকশানার শিকার হয়ে ফিরলে। তবে হারের আগেই হাল ছাড়তে নারাজ রশিদ এরপর আরও একবার দেখান ব্যাট হাতে নিজের সামর্থ্য। পাথিরানার করা ১৬-তম ওভারে বিজয় শঙ্করকে সঙ্গী করে ১৩ রান তোলার পরের ওভারে দেশপান্ডের ওপর চড়াও হয়ে নেন ১৯ রান। তবে পরের ওভারে শঙ্করকে পাথিরানা ফেরালে পরের বলেও হয় রান আউট। রশিদকে একাই লড়তে হলে নিজের ক্রিকেটীয় বুদ্ধির ডালা আরেকবার মেলে বসেন ধোনি। অফ সাইডে ফিল্ডার সাজিয়ে সেখানেই তাকে খেলতে বাধ্য করলে দেশপান্ডের লো ফুল টসে ঠিকই ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় রশিদের দারুণ ১৬ বলে ৩০ রানের ইনিংস। শেষ বলে মোহাম্মদ শামিকে পাথিরানা ফেরালে তাই নিশ্চিত হয়ে যায় চেন্নাইয়ের ফাইনাল।

    এর আগে চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার রয়েসয়ে শুরু করেছিলেন। মাত্র ২ রানে থাকার সময় রুতুরাজ মামুলি ক্যাচ দিয়ে নালকান্দের শিকার হয়ে ফিরতে পারেন; ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন নো-বল হওয়ায়। সেটা কাজে লাগিয়ে ঠিকই ৩৬ বলে পরে ফিফটি তুলে নেন। অন্য প্রান্তে থাকা কনওয়ে অবশ্য একেবারেই সুবিধা করে উঠতে পারছিলেন না। আক্রমণের দায়িত্বতা পালন করতে গিয়েই তাই ১১-তম ওভারে মোহিতের কিছুটা খাটো লেংথের বল আকাশে ভাসিয়ে রুতুরাজ থামেন ৪৪ বলে ৬০ রানে। পরের ওভারে নবাগত শিভাম দুবে ফেরেন নূর আহমেদের শিকার হয়ে। উইকেটে এসে সময় নেওয়া আজিঙ্কা রাহানে হাত খুলতে গেলে নালকান্দের শিকার হয়ে থামেন ১০ বলে ১৭ রানে। সেই ওভারে ১৮ রান এলে আক্রমণের ধারা ধরে রাখার চাপেই পরের ওভারে শামির শিকার হয়ে শেষ হয় কনওয়ের ৩৪ বলে ৪০ রানের ধকল। পরে ডেথ ওভারে মোহিত দারুণ বল করলেও মঈন আলীকে সঙ্গী করে শামির ওভারে জাদেজা নেন ১৫ রান। ১৬ বলে জাদেজার ২২ রানের ইনিংসটাও শেষমেশ যথেষ্ট সাহায্য করেছে চেন্নাইকে।