• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    চেলসি ২০২২-২৩: টড বোয়েহলির হরর-শো

    চেলসি ২০২২-২৩: টড বোয়েহলির হরর-শো    

    লিগ পজিশন: ১২তম 

    কেমন গেল মৌসুম 

    সামনে যাই ঘটুক, চেলসি ভক্তরা এই মৌসুমকে মনে রাখবে দুর্দশার বছর হিসেবে। দীর্ঘদিনের মালিক রোমান আব্রামোভিচ হঠাৎ করে বিদায় নেওয়ার পর চেলসি তার চেয়েও ‘দিলখোলা’ এক মালিক পেয়েছে। আমেরিকান ব্যবসায়ী টড বোয়েহলি চেলসির মালিকানা নেওয়ার পর গত এক বছরে খরচ করেছেন ৬৪৩ মিলিয়ন ডলার। সারা ইউরোপের খেলোয়াড় দিয়ে ড্রেসিংরুম ভারী করলেও মাঠে একেবারেই জমেনি চেলসির খেলা। লিগে মাত্র ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে মৌসুম শেষ করেছে তারা, যা প্রিমিয়ার লিগ যুগে ক্লাবের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। এই ৪৪ পয়েন্ট আদায় করতেও বেশ কয়েকবার ম্যানেজার বদল করেছেন টড বোয়েহলি। 

    দুই মৌসুম আগেই দলকে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা টমাস টুখেলের অধীনে মৌসুম শুরু করেছিল চেলসি। টুখেলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী দলে আরও অর্ধেক বিলিয়ন ইউরো ঢালা চেলসি মৌসুম শেষ করেছে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের অধীনে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মৌসুমের সর্বশেষ ১৪ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়ের দেখা পেয়েছে তারা। ‘কীভাবে একটি ক্লাব পরিচালনা করবেন না’ শিরোনামে কোনো বই লিখতে চাইলে আপনি চেলসির ২০২২-২৩ মৌসুমকে নমুনা হিসেবে নিতে পারেন। 

    মৌসুমে যা কিছু প্রাপ্তি

    এমনিতে চরম বাজে মৌসুম গেলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত খেলেছে চেলসি। লিগে ১২তম স্থানে শেষ করা চেলসির জন্য এটি একটি বড়সড় প্রাপ্তিই।  

    মৌসুমটা যে কারণে ভুলে যাওয়ার মতো 

    প্রায় সবকিছুর জন্যই। চার ম্যানেজার, ঘনবসতিপূর্ণ ড্রেসিং রুম, মাঠে একের পর এক পরাজয়। লিগের শীর্ষ ছয় দলের কারো সাথে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি তারা। সিটি, ইউনাইটেড, ব্রাইটনের কাছে অপদস্থ হয়েছে, রেলিগেটেড সাউদাম্পটনও দুবারে দেখাতেই তাদের হারিয়েছে। এই মৌসুম পুরোটাই চেলসি ভক্তদের জন্য ভুলে যাওয়ার মতো।  

    সেরা খেলোয়াড়: থিয়াগো সিলভা। 

    দলের অবস্থা টালমাটাল হলেও ৩৮ বছর বয়সী থিয়াগো সিলভা ঠিকই পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে পুরো মৌসুম খেলে গেছেন, একটি বড় সময় একাই আগলে রেখেছেন রক্ষণ। 

    সামনে কী?   

    নতুন ম্যানেজার হিসেবে মউরিসিও পচেত্তিনোকে নিয়োগ দিয়েছে চেলসি। তার প্রথম কাজ হবে ড্রেসিং রুমে কাটছাঁট করে একটি সুস্থ স্কোয়াড দাঁড় করানো। এই মৌসুমে ড্রেসিং রুমে জায়গা না হওয়ায় অনেক খেলোয়াড়কে করিডোরে কাপর বদলাতে হয়েছে। চেলসিকে আবারও একটি স্বাভাবিক ক্লাবের মতো আচরণ করতে হলে প্রথমে ৩০-৪০ জনের স্কোয়াডে কাটছাঁট করতে হবে। পূর্বে সফলভাবে সাউদাম্পটন ও টটেনহামের কোচের দায়িত্ব পালন করা মউরিসিউ পচেত্তিনোর জন্য ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে স্টামফোর্ড ব্রিজে। বোয়েহলির অর্থ এখন থেকে ঠিকভাবে খরচ করতে পারলে এবং রাইভাল ক্লাবদের মতো পরিকল্পনায় পাকা হতে পারলে ব্রিজে সোনাও ফলাতে পারেন পচেত্তিনো।