• ২০২৩ এশিয়া কাপ
  • " />

     

    মিরাজ-শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৩৫ রানের লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ

    মিরাজ-শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৩৫ রানের লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ    

    এশিয়া কাপ ২০২৩, গ্রুপ পর্ব, লাহোর (টস-বাংলাদেশ/ব্যাটিং)
    বাংলাদেশ - ৩৩৪/৫, ৫০ ওভার (মিরাজ ১১২, শান্ত  ১০৪, সাকিব ৩২*, নাইব ১/৬২, মুজিব ১/৬২)

     

    শ্রীলঙ্কার সাথে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পিঠে আফগানিস্তানের সাথে বাংলাদেশের ব্যাটিং কেমন হবে তা নিয়ে ছিল প্রশ্ন। সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর বাংলাদেশ দিল শক্তভাবেই। বলা ভাল দিলেন ‘মেকশিফট ওপেনার’ মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনের সেঞ্চুরির পর শেষদিকে মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের ক্যামিওতে বাংলাদেশ পেয়েছেন ৩৩৪ রানের সংগ্রহ।

    নাঈম শেখের সাথে এদিন নতুন ওপেনার মিরাজ, আর সুযোগটা মিরাজ নিলেন দুহাত ভরেই। প্রথম পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে মুজিব-উর-রহমানের দারুণ এক বলে স্টাম্প খুইয়ে ২৮ রানে নাঈম ফেরার তিন বলের মধ্যেই এদিন শূন্য রানে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। তবে সেই ধাক্কা সামলে মিরাজ-শান্ত দারুণভাবে দলের হাল ধরেন। এই এশিয়া কাপেই ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে ওপেন করেছিলেন মিরাজ প্রথমবারে মত। আর এবার তো নিজেকে নিয়ে গেলেন অন্য উচ্চতায়। ৬৫ বলে মিরাজ ফিফটি পূর্ণ করার পর অন্য প্রান্তে শান্ত দেখিয়েছেন স্বতঃস্ফূর্ত ব্যাটিং।

    ৩০ ওভারের মাথায় জুটি শতরান ছুঁলে পরের ওভারে দারুণ এক ছয় মেরে ৫৭ বলে ফিফটি পেয়ে যান শান্ত। তবে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় রান নিতে গিয়ে শান্তর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট। অবশ্য সেই চোটের শঙ্কা কাটিয়ে শান্ত গিয়ার বদলান দ্রুতই, যেটার সুযোগ নিয়ে মিরাজও প্রাণবন্ত ব্যাটিং করতে থাকেন, ফারুকীর এক ওভারে তো নেন ১৭ রান দুজন মিলে। তবে মাইলফলকের কাছাকাছি এসে দুজনের ব্যাটিংয়ের গতি কিছুটা স্তিমিত হয়ে যায়। ৪১-তম ওভারে ১১৫ বলে মিরাজ ঠিকই পেয়ে যান দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি। এক ওভার পরে মুজিবকে দারুণ এক ছয় মারতে গিয়ে চোট পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন ১১৯ বলে ১১২ রান করা মিরাজ। তার দুই বল পরেই শান্ত পেয়ে যান দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি, ১০১ বলে। তবে সেঞ্চুরির পর শান্তও বেশিক্ষণ টিক্টে না পেরে রান আউট হয়ে থামেন ১০৫ বলে ১০৪ রান শেষেউইকেটে এসেই মারমুখী ব্যাটিং করা মুশফিককেও রান আউটের শিকার হয়ে ফিরতে হয় ১৫ বলে ২৫ রানে। অবসশ রানের চাকা ততক্ষণে সচল হয়ে যাওয়ায় উইকেটে এসে সাকিব সেই উদ্দেশ্যেি ব্যাট চালাতে থাকেন। শেষ ৩ ওভারে বাংলাদেশ তাই তোলে ৩২ রান; আর সাকিব অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ৩২* রানে।