নাইব-রশিদদের সামলিয়ে মেন্ডিসের ৯২ রানের ইনিংসে আফগানিস্তানের লক্ষ্য ২৯২
এশিয়া কাপ ২০২৩, গ্রুপ পর্ব, লাহোর (টস-শ্রীলঙ্কা/ব্যাটিং)
শ্রীলঙ্কা - ২৯১/৮, ৫০ ওভার (মেন্ডিস ৯২, নিসাঙ্কা ৪১, আসালাঙ্কা ৩৬, নাইব ৪/৬০, রশিদ ২/৬৩, মুজিব ১/৬০)
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটা হয়েছিল দারুণ। দিমুথ করুনারত্নে-পাথুম নিসাঙ্কার জুটি আফগানিস্তানের ওপেনিং বোলিংকে অনেকটাই অকার্যকর করে এগিয়ে চলেছিলেন দুরন্ত গতিতে। প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই ৬২ রান তুলে ফেলার পর অবশ্য পরের ওভারেই থামতে হয় করুনারত্নেকে। এর আগে তাকে ফেরানোর সুযোগ দুই বার তৈরি করেছিলেন গুলবদিন নাইব। শেষমেশ তার আঘাতেই ৩৫ বলে ৩২ রান করে থামেন করুনারত্নে। অন্য প্রান্তে ছুটে চলা নিসাঙ্কাও এরপর অনেকটা উইকেটটা বিলিয়েই দেন তাকে, ৪০ বলে ৪১ রান করার। নিজের পরের ওভারেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ফিফটি পাওয়া সাদিরা সামারাবিক্রমার উইকেটটাও পেয়ে যান নাইব। ভাল শুরু করেও হুট করেই খেই হারিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা।
২০ ওভারেই অবশ্য দলীয় শতরান পূর্ণ করে শ্রীলঙ্কা রান রেটে ব্যাঘাত ঘটতে দেয়নি। আসালাঙ্কার সাথে জুটি গড়ে সেটা হতে দেননি কুশল মেন্ডিস। বিশেষ করে রশিদ খানের ওপর চড়াও হওয়ার পর ৫৫ বলে ফিফটি পেয়ে যান তিনি। মাঝে কিছু সময় মিইয়ে যাওয়ার পর সেই চাপ থেকেই হাত খুলতে গিয়ে আক্রমণে ফেরা রশিদের শিকার হয়ে থামতে হয় আসালাঙ্কাকে। ১০২ রানের জুটি ভাঙে আসালাঙ্কার ৪৩ বলে ৩৬ রানের ইনিংস শেষে। শিকারের ঘ্রাণ পেয়ে আফগানরা এরপর চেপে বসে শ্রীলঙ্কার ওপর। ক্রমবর্ধমান চাপের ফলশ্রুতিতে মুজিবের ভাসিয়ে দেওয়া বলে স্টাম্প খুইয়ে উইকেটে আসা ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বিদায় ঘটে ১৪ রান করে। পরের ওভারে স্রিলাঙ্কার ভিতে লাগে সবচেয়ে বড় আঘাত। শানাকার দেওয়া ফিরতি ক্যাচ রশিদ ফেলে দিলে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে রান আউটের শিকার হয়ে ফিরে যান ৮৪ বলে ৯২ রান করা মেন্ডিস।
ওই ওভারেই শানাকা স্টাম্প খুইয়ে ফিরলে মহাবিপদে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তবে সেই বিপদ থেকে উত্তরণের উপায় বাতলে দেন দুনিথ ওয়েলালাগে ও মাহিশ থিকশানা। শেষ ৩ ওভারে ৩২ রান তোলেন এই দুজন মিলে। শেষ ওভারে নাইবের চতুর্থ শিকার হয়ে ২৪ রানে থিকশানা থামলেও ওয়েলালাগে অপরাজিত থাকেন ৩৯ বলে ৩৩ রানে, যার বদৌলতে শ্রীলঙ্কা পায় ২৯১ রানের শক্ত সংগ্রহ।
সুপার ফোরে উঠতে আফগানদের এই লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ৩৭.১ ওভারের মধ্যে। তবে তারা ৩১ ওভারের মধ্যে এই লক্ষ্য তাড়া করলে হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। আফগানরা যদি লক্ষ্য তাড়া করতে ৪৪.৫ ওভার নেয় ওভার নেয় তাহলে বাংলাদেশ থাকবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে। তবে শ্রীলঙ্কা জিতলে নেই কোনও সমীকরণের বালাই, তারাই হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও অন্য দল হিসেবে সুপার ফোরে যথারীতি থাকবে বাংলাদেশ।